চিকুনগুনিয়ার ব্যথায় কী করবেন

0

চিকুনগুনিয়া নামক ভাইরাস জ্বরের ব্যাপক প্রকোপ দেখা যাচ্ছে এবার। ভাইরাসজনিত এ জ্বরটি প্রাণঘাতী না হলেও এ রোগে আক্রান্তরা তীব্র থেকে তীব্রতর অস্থিসন্ধি বা জয়েন্ট ব্যথায় ভুগে থাকেন।

সাধারণত এ জ্বর দুই থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে গেলেও সন্ধির ব্যথা মাসব্যাপী রোগীকে কষ্ট দিতে থাকে। তাই ব্যথার কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে কিছু পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে-

* আক্রান্ত জয়েন্টে বরফ সেক দিলে তা খুব ভালো ফল দেয়। একটা তোয়ালে বা নরম কাপড়ে বরফকুচি নিয়ে ব্যথার স্থানে ৩ থেকে ৫ মিনিট ধরে রাখুন। এভাবে ১০-১৫ মিনিট বরফ সেক দেয়া যেতে পারে। এতে প্রদাহ কমে ব্যথা কমে আসবে। সরাসরি বরফ লাগাবেন না, এতে কোল্ড বার্ন হতে পারে।

* ব্যথার স্থানে তিলের তেল দিয়ে হালকা ম্যাসাজ করা যেতে পারে। ম্যাসাজের ফলে ওই স্থানের রক্ত চলাচল বেড়ে ব্যথা কমবে। তবে অধিকহারে ও দীর্ঘ সময় ম্যাসাজ করা থেকে বিরত থাকুন। ফলে জয়েন্টের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

* অনেক চিকিৎসক এক গ্লাস দুধে আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে বলেন। হলুদের প্রদাহবিরোধী উপাদান চিকুনগুনিয়াজনিত ব্যথা কমাতে সাহায্য করে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

*ফিজিওথেরাপি : যে কোনো প্রদাহজনিত ব্যথা নিরাময়ে ফিজিওথেরাপি ব্যথানাশক বা অন্য যে কোনো কিছুর চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। ইলেক্ট্রোথেরাপি ও ওয়াক্সথেরাপি এ ধরনের ব্যথা কমাতে খুব কার্যকর। তবে চিকিৎসানির্ভর করবে রোগীর বর্তমান অবস্থার ওপর। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া জরুরি।

চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার রাখুন। টবে ছাদে জলছাদে বা কোনো পাত্রে পানি জমতে দেবেন না। মশারি ব্যবহার করুণ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

লেখক : পেইন ও ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ, এইচপিআরসি, উত্তরা, ঢাকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *