শুরুতে তোলা ঝড়টা মাথায় রাখলে একেও কম মনে হচ্ছিল। কিন্তু শেষের প্রত্যাশিত ঝড়টা শুধু ঈশান কোণে উঁকিঝুঁকি দিল, রুদ্ররূপে পাকিস্তানকে কাঁপাতে পারল না। পাকিস্তানকে স্বস্তি দিয়ে বাংলাদেশের থামল ৯ উইকেটে ৩৪১ রান করে।
৩৪১ রানেও স্বস্তি! হঠাৎ করে এমন কিছু পড়লে অবিশ্বাস জাগতে পারে। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশে যেভাবে শুরু করেছিল তাতে এটাও কম মনে হচ্ছে। মাত্র ২৭ রানে সৌম্য সরকারকে হারালেও তামিম ইকবাল ওটা নিয়ে একদমই মাথা ঘামালেন না। আয়ারল্যান্ডের ফর্মটা টেনে নিয়ে এলেন এ ম্যাচেও। ৯৩ বলে ৯ চার ও ৪ ছক্কায় পেয়েছেন সেঞ্চুরি (১০২)। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন পুরো আয়ারল্যান্ড সফরে বসে থাকা ইমরুল কায়েস। তিনে নামা ইমরুলের ৬১ রান এসেছে ৬২ বলে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এ দুজনের ১২২ বলে ১৪২ রানেই বড় স্কোরের ভিত্তি পেল বাংলাদেশ।
মোহাম্মদ আমিরকে বিশ্রাম দিয়ে নামা পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ কোনোভাবেই দাঁত বসাতে পারছিল না বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। তবে দ্রুত রান তোলার তাড়ায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন। তামিম ও ইমরুল দুজনই ফিরেছেন শাদাব খানের লেগ স্পিনে। এরপর ভালো শুরু করেও ইনিংসের পূর্ণতা না দিয়ে ফিরেছেন মুশফিক (৩৫ বলে ৪৬), সাকিব (২৭ বলে ২৩)। একই দোষে আউট লোয়ার অর্ডারের মাহমুদউল্লাহ (২৪ বলে ১৯) ও মোসাদ্দেক (১৫ বলে ২৬)।
শেষ দশ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৭৩ রান করেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের জুনায়েদ খান ৭৩ রান দিয়ে পেয়েছেন ৪ উইকেট। আরেক বাঁহাতি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ ৯ ওভারে ৬৮ রান দিয়েও ছিলেন উইকেটশূন্য। ডানহাতি পেসার হাসান আলীই কেবল একটু নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন, ১০ ওভারে ৫৮ রান দিয়ে পেয়েছেন ২ উইকেট।
Source: Prothom Alo