ধনী হতে না পারার পিছনে যে কারণগুলো অন্তরায়

সবাই আর্থিকভাবে সফল হতে চায়, তাহলে কেন সবাই ধনী নয়? উত্তর কিন্তু এত সহজ নয়। কাজ পাওয়ার অনেক বেশী প্রতিযোগিতা যেখানে, সেখানে কাজ পাওয়াটা অনেক কঠিন হয়ে পরে। কিন্তু কিছু মানুষ দরিদ্র কারণ তারা মন থেকে নিজেকে দরিদ্র বলে মনে করে। মানুষের ধ্বংসাত্মক আচরণ, ভুল এবং মতাদর্শের কিছু ভুল প্রদর্শন তাকে সাফল্য অর্জন থেকে বিরত রাখে।

দেরিতে শুরু করার মনোভাব

মনে রাখবেন সময় স্রোত কারুর জন্য অপেক্ষা করে না। তাই আজ থেকেই শুরু করুন। সময় এগিয়ে যাবে আর তার সাথে পাল্লা দিয়ে আমাদেরও এগিয়ে যেতে হবে। আপনার ইনকাম কম হলে আজ থেকেই অল্প অল্প করে জমানো শুরু করুন। ঋণ থাকলে আজ থেকেই শোধ করার জন্য জমাতে থাকুন। মনে রাখবেন, আগে আপনার ঋণ পরিশোধ করুন। তা নাহলে টাকা জমানো কখনই সম্ভব হবে না। যা করবেন, আজ থেকেই করুন।

মাত্রাতিরিক্ত খরচ

বেহিসেবি খরচ করার ফলে আপনি সঞ্চয় করতে পারছেন না। এতে করে আপনি গরিব থেকে যাচ্ছেন। প্রতিমাসে আপনার উপার্জনের সব টাকা আপনি খরচ করে ফেললে কখনো ধনি হতে পারবেন না। তাই প্রয়োজন অনুসারে খরচ করুন

পর্যাপ্ত সঞ্চয়ের অভাব

সঞ্চয় তো করবেন, কিন্তু শুরুটা কিভাবে হতে পারে? খুব বেশি লক্ষ্য নির্ধারণ করবেন না। এর ফলে আপনি কোনো লক্ষ্যেই পৌঁছতে পারবেন না।

আপনার পরিবারের যে কেউ যে কোন সময়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। তাঁদের কথা মনে রেখে আজই একটি ইমার্জেন্সি ফান্ড তৈরি করে ফেলুন। কেউ অসুস্থ না হলে সে ইমার্জেন্সি ফান্ড  অন্য কোনো কাজে লাগাতে পারেন। যেমন কলেজের টিউশন ফি অথবা আপনার পছন্দের কোন জিনিস কেনার জন্য। সঞ্চয়ের মনোভাব পারে আপনাকে ধনি হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে।

 

ঋণ শোধ না করা

কখনোই ঋণের বোঝা বইতে যাবেন না। এটি ধনী না হওয়ার পিছনে একটি বড় বাধা। ঋণ শোধ করে সঞ্চয়ের কথা ভাবুন।

লক্ষ্যহীন জীবন

কোন ধরণের সুনিশ্চিত পরিকল্পনা ছাড়া ধনী হওয়ার চিন্তা করা আর বামুন হয়ে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখা অনেকটা একই ব্যাপার। কিভাবে সঞ্চয় করতে চান তা আগে নির্ধারণ করুন।

ঝুঁকি না নেওয়া

সফল মানুষ ভয়কে আলিঙ্গন করতে জানে। জীবনে ঝুঁকি না নিলে কোনো কিছু পাওয়া যায় না। উপার্জন করা অর্থ বিনিয়োগ খাতে লাগান। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করুন। খারাপ কিছু হলে অন্তত ভেসে থাকার জন্য খড়কুটো পাবেন!

অভিযোগ করা

অভিযোগ করা বন্ধ করুন। এর পরিবর্তে বাজে অভ্যাসগুলোর জন্য নিজেকেই দায়ি করুন এবং কিভাবে নিজেকে পরিবর্তন করা যায় তা নিয়ে চিন্তা করুন। লেগে থাকলে আপনি অবশ্যই পারবেন।

উপদেশ না শোনা

সবকিছু ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়ে পথ চলতে যাচ্ছেন? ভাগ্য বদলানোর হাতিয়ার রয়েছে আপনার নিজ হাতে। অন্যদের উপদেশকে গ্রহণযোগ্যতা দিতে শিখুন। কোনো উপদেশ এড়িয়ে যাবেন না।

এইসকল বিষয়ের প্রতি একটি সচেতন হোন। দেখবেন দরিদ্রতা আপনার জীবন থেকে পালাবে একদিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *