বর্তমান যুগে আইডিয়া এতোই সুলভ যে প্রতিদিনের জীবনে কোথাও না কোথাও অহরহ বিভিন্ন আইডিয়া পাওয়া যাচ্ছে। আর ডিজিটাল এই যুগে আপনার আইডিয়া যে একেবারেই স্বতন্ত্র হবে তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তাই, নিজেকে “জিনিয়াস” ভাবার আত্নতুষ্টির জালে না পরে বরং নিজেকে প্রাথমিক ভাবে পাঁচটি প্রশ্নের সামনে দাঁড় করান। এই প্রশ্নগুলো বিভিন্ন ধাপে আপনারর অনেক দ্বিধা দূর করবে, তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে।
১। আমি কি আমার উদ্যোগ সম্পর্কে জানি?
যদি আপনার উদ্যোগ হয় আপনার নিজের অভিজ্ঞতালব্ধ কোন বিষয়ের উপর, তবে তা নিয়ে কাজ করতে হয়তো খুব বেশি সমস্যা হবে না। কারণ, এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নুন্যতম জ্ঞান আপনার আছে। এবং একটি প্রতিষ্ঠান বা উদ্যোগের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নিজের ব্যবসায় সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। বড় বড় সব উদ্যোগের পেছনের উদ্যোক্তারা শুধু উদ্যোগ সম্পর্কে নয়, ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে প্রতিটি বিষয়ে সুক্ষ ধারণা রাখেন। তাই একটি নতুন উদ্যোগ মানে নিজে সর্বাত্নকভাবে ওই কাজে নিয়োজিত করা, সবসময়ের জন্য। এই বিষয়টি মাথায় রাখা প্রয়োজন।
২। আমি কি আমার সমস্যা নিজে সমাধানে সক্ষম?
একটি আইডিয়া কখনোই বাস্তব রূপ নিতে পারেনা যখন আপনি আপনার ব্যবসায়ের কোন সমস্যা ধরতে বা সমাধান করতে না পারেন। প্রতিটিদিন নতুন নতুন সমস্যা উদ্ভব হতে পারে যেকোন উদ্যোগেই। তাই সমস্যা সমাধানের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে আগেই।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হলো, কখনোই প্রথমেই একটি আইডিয়া নিয়ে খুব বেশিদূর চিন্তা করবেন না। তারচেয়ে কাজ করার সময় ডিটেইল প্ল্যান এর দিকে নজর দিন বেশি। খুঁজে বের করুন আপনি কেন সমস্যায় পরছেন এবং কিভাবে তা সমাধান করা সম্ভব।
৩। আমি কি করে আমার আইডিয়ার ব্যবহারকারী পাব?
আপনার ইতোমধ্যেই আইডিয়া নিয়ে কাজ করা হয়ে গেছে, এরপর অবশ্যই পরের কাজ হবে কি করে আপনার আইডিয়ার প্রথম ১০০ ব্যবহারকারী পাবেন। এই প্রশ্ন খুব সহজেই আপনার টার্গেট কাস্টোমার ঠিক করতে, মার্কেট বেছে নিতে সাহায্য করবে। কি করে তাঁদের কাছে পৌছানো যাবে সেটিও বেছে নিতে হবে। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বিভিন্ন গ্রুপ, বিভিন্ন বয়সের মানুষ এর সাথে যোগাযোগ করুন, কথা বলুন এবং ধারণা নিন।
৪। আমি কি করে আমার আইডিয়া গ্রাহকদের পছন্দের করে তুলবো?
এটি একটি জটিল ও কষ্টকর বিষয়। তবে, “কষ্ট ছাড়া কেষ্ট মেলেনা” এটি মনে রাখুন। প্রথম ১০০ ব্যবহারকারী পেয়ে গেলে নিজের আইডিয়া সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেয়ে যাবেন আপনি। এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পয়েন্ট হলোঃ
- পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে আগে আপনার আইডিয়া নিয়ে কথা বলুন। আইডিয়াকে সবাই বুঝতে পারে এমন পর্যায়ে রাখুন প্রাথমিকভাবে।
- নেটয়ার্কিং শুরু করুন। শুধু পন্য বিক্রির উদ্দেশ্যেই নয়, বরং মতামত জানাটাই প্রাথমিক পর্যায়ে বেশি জরুরী।
৫। আমার পন্য কেনাতে গ্রাহক আগ্রহী তো?
একটি পন্য ততক্ষন পর্যন্ত শুধুমাত্র একটি আইডিয়া যখন পর্যন্ত কেউ আপনার কাছ থেকে তা কিনে নেবেনা। তাই, নিজের আইডিয়া নিয়ে কথা বলার সময় সম্ভাব্য গ্রাহকদের কাছ থেকে জেনে নিন গ্রাহক আপনার পণ্যের জন্য টাকা খরচ করতে রাজী কিনা। তাঁরা আপনাকে এই বিষয়ে ধারণা নিতে সাহায্য করবে।
তথ্যসূত্রঃ techinashia.com
Comment text..