তার প্রতিটি কালেকশনই এক্সক্লুসিভ।তাই নির্দিষ্ট সংখ্যাক ক্রেতার কাছেই তুলে ধরতে চান তার অনবদ্য ডিনারসেট ডিজাইন।এমনটাই জানালেন নিশিতা ঠাকুরদাস।
কলেজে পড়ার সময়ই একটা প্রজেক্টের জন্য আমায় ডিনারসেট ডিজাইন করতে হয়েছিল।সেই থেকে শুরু।তবে প্রথম্বার কাজটা করার পরে বেশ উপভোগ করছিলাম।ডিজাইনার হওয়ার আগে প্রায় দশ বছর আমি একটি কর্পোরেট ব্রান্ডিং কোম্পানির হয়ে কাজ করতাম।সেখানে গ্রাফিক ডিজাইনার ছিলাম আমি।তবে দশ বছর ধরে কাজ করতে করতে আর নতুন করে কোন উৎসাহ পাচ্ছিলাম না।তবে মনের ভিতর ডিনার প্লেট ডিজাইন করার ঈচ্ছাটা কিন্তু থেকেই গেছিল।তাই আমি নিজের মত করে রিসার্চ করতে শুরু করি।যে ডিনারপ্লেট গুলো সবাই ব্যবহার করে সেগুলো সবই ওল্ড ফ্যাশন্ড।ডিজাইগুলো সবই পুরনো ধাঁচের।ভেবে ফেললাম এই জায়গাটাকে এক্সপ্লোর করতে হবে।এখান থেকেই এরকম অফফিট পেশার কথা মাথায় আসে।চেয়েছিলাম বাজারে প্রচলিত একঘেয়ে ডিজাইন এর বদলেতে নতুন ধাচেঁর কিছু ডিজাইন আন্তে।তবে পেশাদার হিসাবে শুরু করার আগে রীতিমত হোমওয়র্ক করেই মাঠে নেমেছিলাম!আমার নিজস্ব ডিনারওয়্যার ব্র্যান্ড শুরু করি আটমাস আগেই।আমার ডিজাইনগুলো সবই এদেশের সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে।প্রতিবছর আমি নতুন ডিজাইন লঞ্ঝ করি।কোনও জিনিসই আমি খুব বেশী পরিমান তৈরী করি না।আর আমার এই এক্সক্লুসিভ কালেকশনের ইউএসপি হলো এগুলো আপনি দির্ঘদিন ,কয়েক প্রজন্ম ধরে ব্যবহার করতে পারবেন।আমার ‘মুঘল গার্ডেন্স’ কালেকশনে সাবেকি ঐতিহ্যের ছোঁইয়া পাবেন।২৪ ক্যারেট সোনার উপর হ্যান্ডক্রাফটের কাজে ফুটিয়ে তুলেছি গোলাপের পাপড়ি,টিয়াপাখি সহ আরও নানা ধরনের মোটিফ।আবার ‘লোটাস অফ ফতেহপুর’কালেকশনে সাদা পোর্সেলিনের উপর ২৪ ক্যারট সোনার কাজে ফুটে উঠেছে মুঘল ঐতিহ্য।আবার ‘ইন্দিরা’ ডিনারপ্লেট কালেকশনে রয়েছে প্ল্যাটিনামের ছোঁয়া।আসলে আমার কালেকশন পুরোটাই নিশ ক্রেতার জন্য।শুধু ডিনারপ্লেট নয়,সার্ভিং বোল,প্ল্যাটার থেকে শুরু করে ন্যাপকিন রিং-সবই ডিজাইন করে থাকি আমি।আর প্রতিটা কাজের ডিটেলিংয়ের দিকে আমার সতর্ক নজর থাকে।কোয়ালিটির সজ্ঞে কখন কম্প্রোমাইজ করিনি আমি।আমি বেজ্ঞালুরেতে থাকি বলে ওখানেই আমার স্টোর।
তবে পুনেতেও আমার একটি স্টোর আছে।আর খুব তাড়াতাড়ি দিল্লি,কলকাতা আর মুম্বাই স্টোর খোলার পরিকল্পনা আছে।তবে আমার প্রতিটা প্রডাক্টই যেহেতু এক্সক্লুসিভ,তাই আগে থেকে অর্ডার দিতে হয়।গত আটমাস ঘরে আমি খুব ভাল রেস্পন্স পাচ্ছি।বিয়ের উপহার হিসাবে অনেকেই আমার প্রডাক্ট কেনেন।বাজারে যা পাওয়া যায়,উপহার হিসাবে তা নিন্তানই একঘেয়ে।তাই সকলে একটু অন্যকিছু চান।আমার প্রডাক্টগুলো তাদের সেই চাহিদাই পুরন করে।যারা আমার থেকে প্রডাক্ট কিনেছেন তারা অনেকেই সোনা আর প্লাটিনামের কোয়ালিটির প্রশংসা করেছেন।প্রডাক্ট কন্সেপশন থেকে ডিজাইনিং পুরোটাই আমার দায়িত্বে।আর আমার ম্যানুফ্যাকচাররা বেশিরভাগই বিদেশের।জিনিস্টা তৈরী হয়ে গেলে আমি ইম্পোর্ট করে এ দেশে নিয়ে আসি।ছোটবেলায় আমি প্রচুর ছবি আকতাম।আমার মা আমাকে অনেক আর্ট এগজিবেশ্নে নিয়ে যেতেন।তাই ডিজাইনের উপর ভালবানা ছোটবেলা থেকেই ছিল্।বিশ্বের নানা জায়গায় ঘুরেও আমি শিল্পের অনেক উপাদান সংগ্রহ করি।অবসরে স্ক্রেচিং করি।এর থেকেও অনেক নতুন নতুন আইডিয়া পাওয়া যায়।ক্রিয়েটিভিটি বাড়তেও সাহায্য করে এগুলা।
এই পেশায় আসতে হলে
# আমি তো নিজের প্যাশেন খ্যাতিরেই এখানে এসেছি।তাই বাকিদেরও এই পরামর্শ দেব।তাহলে মনেই হবে না যে আপনি কাজ করছেন।
# ছবি আকতে জানতে হবে।শিল্পের প্রতি ভালবাসা থাকতে হবে।উদ্ভাবনী ক্ষমতা থাকার দরকার।নতুন চিন্তাভাবনা না থাকলে আপনার ডিজাইন কখনই এক্সক্লুসিভ হয়ে উঠবে না।