বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় সাবজেক্ট চয়েজ করতে গিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়েননি-এমন মানুষ খুবই বিরল। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার পর আপনি কোন কোন সাবজেক্ট পেতে পারেন, কোন সাবজেক্টের ক্যারিয়ার ভালো, কোন সাবজেক্ট আপনার প্যাশনের সাথে এরকম নানা প্রশ্ন আপনার মনের মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকে। দেখে নেওয়া যাক এক্ষেত্রে আপনার করণীয় কী –
১। আপনার নিজের প্যাশনের দিকে তাকান
বিশ্ববিদ্যালয়ে তো পড়বেন আপনিই। তাই পছন্দই তো সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে। যে সাবজেক্টে আপনি চার বছর পড়াশোনা করবেন-তা নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে হলে কী কষ্টই না হতে পারে, বুঝতে পারছেন! তাই আপনি যদি আপনার পছন্দের সাবজেক্টে পড়ার সুযোগ পান, তাহলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন সুযোগটা ঠিকভাবে কাজে লাগানোর।
২। নিজের প্যাশন নিয়ে কনফিউজড
অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় নির্দিষ্ট কোন বিষয়ই তার ভালো লাগে না। আবার প্যাশন চেঞ্জ হতেও কিন্তু অহরহ দেখা যায়। আবার পছন্দমতো সাবজেক্টে পড়ার সুযোগই বা কয়জন পায়! এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হচ্ছে আপনি যে সাবজেক্টে সুযোগ পান-সেটাকে প্যাশন হিসেবে নিন।
৩। চোখ রাখুন বিগত বছরগুলোর ফলাফলে
আগের বছরগুলোতে কোন সাবজেক্ট কত পজিশন পর্যন্ত গেছে, সে ব্যাপারে খোঁজ নিন। যদিও প্রতি বছরই তা পরিবর্তন হয়, তারপরও আপনি কোন কোন সাবজেক্ট পেতে পারেন তার উপর মোটামুটি একটা ধারণা পাবেন।
৪। পড়তে পারেন সাবজেক্ট রিভিউগুলো
ইন্টারনেটের এই যুগে একটু সার্চ দিলেই মিলবে সাবজেক্ট রিভিউগুলো। রিভিউ থেকে আপনি সাবজেক্ট ও ঐ সাবজেক্ট সম্পর্কিত ক্যারিয়ার সম্পর্কে ভালোই ধারণা পাবেন। যা আপনাকে আপনার পছন্দমতো সাবজেক্ট নির্বাচনে সাহায্য করতে পারে।চাইলে https://www.facebook.com/udvash/posts/10152098797931081 এই লিংকেও ঘুরে আসতে পারেন!
৫। ইন্টারনেটের সাহায্য নিন
ইন্টারনেটে সাবজেক্টগুলো সম্পর্কে একটু ঘাটাঘাটি করুন। দেখুন সাবজেক্টের বর্তমান ক্যারিয়ার কেমন ও কয়েক বছর পর এর ক্যারিয়ার কেমন থাকতে পারে। দেখতে পারেন https://immuntasir.wordpress.com/2015/11/04/ভর্তি-পরীক্ষা-এবং-সাবজেক/
৬। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট দেখুন
প্রায় সব ডিপার্টমেন্ট অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে কোন সাবজেক্টে কী কী কোর্স করানো হয়, তা দেওয়া থাকে। কোর্সগুলোর নাম দেখে ধারণা নিন আপনার ভালো লাগবে কিনা। আর বিস্তারিত জানার জন্য গুগল তো আছেই!
৭। পরামর্শ নিন সিনিয়রদের
আপনার সিনিয়ররাই হচ্ছেন আপনার জন্য বেস্ট পরামর্শক। কেননা তারা আগেই এই ধাপ পেরিয়ে এসেছেন এবং অবশ্যই আপনার থেকে অনেক বেশি অভিজ্ঞ। বিশেষ করে আপনার পরিচিত, শুভাকাঙ্ক্ষী ও আপনি যে বিষয়ে পড়তে চান, তাদের কথা শুনুন। তাদের সুপরামর্শই পারে আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে।
পরিশেষে না বুঝে, না জেনে সিদ্ধান্ত না নিয়ে বুঝে-শুনে, যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিন। আপনাকে পরামর্শ দেবার মানুষের অভাব পাবেন না। কিন্তু যারা কিছু না জেনেই পরামর্শ দেন, তাদের কথা শোনা আপনার জন্য কতটা ফলপ্রসূ? তাই যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিন!
তথ্যসূত্র
১। www.bridgewateruk.com/2014/08/should-your-choice-of-university-or-degree-subject-define-your-career/