যেখানে পেলেকেও ছাপিয়ে গেলেন মেসি

দুজন দুই ভিন্ন যুগের খেলোয়াড়। খেলার ধরনও ভিন্ন। ষাট-সত্তরের দশকে ফুটবলটাকে নিজের মতো করে রাঙিয়ে গেছেন পেলে, এখন সেই দায়িত্ব অনেকটাই নিজের কাঁধে নিয়ে রেখেছেন লিওনেল মেসি। শুধু বর্তমান সময়ই নয়, সর্বকালের সেরার বিতর্কেও পেলে ও ডিয়েগো ম্যারাডোনার সঙ্গে বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের নাম চলে আসে।

{ "slotId": "2452885053", "unitType": "in-article" }

কিন্তু ভিন্ন সময়ের ফুটবলারদের মধ্যে তুলনা করা কঠিন, কষ্টসাধ্যও। তবে সংখ্যা যদি কথা বলে, সে ক্ষেত্রে একটা দিক দিয়ে গতকাল রোববার ব্রাজিল কিংবদন্তিকে পেরিয়ে গেছেন মেসি—শিরোপা সংখ্যায়। সেভিয়ার সঙ্গে গতকাল রাতে কোপা দেল রে শিরোপা জয় ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার মিলিয়ে মেসির ৩০তম, যেখানে ক্যারিয়ারে পেলে সব মিলিয়ে ট্রফি জিতেছেন ২৯টি।

বয়স মাত্র ২৮, এরই মধ্যে ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে ২৮টি শিরোপা জিতেছেন মেসি। ক্যারিয়ারে এখনো তো অনেক সময় পড়েই আছে সামনে। ট্রফি ক্যাবিনেটের কলেবর যে আর কত বাড়াবেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক, কে জানে! আর্জেন্টিনার হয়ে অর্জনের খাতাটায় অবশ্য এখনো শূন্যতার হাহাকার। ২০০৮ অলিম্পিকে সোনার মেডেল আর ২০০৫ সালে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ ছাড়া আলবিসেলেস্তেদের হয়ে এখনো কিছু জেতা হয়নি মেসির।

জাতীয় দলের হয়ে অর্জনে অবশ্য পেলে অনেক এগিয়ে। শুধু মেসিই কেন, অন্য সবার চেয়েই যোজন যোজন এগিয়ে। ব্রাজিলকে তিনটি বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন। ক্লাব ক্যারিয়ারে প্রায় পুরোটাই সান্তোসে কাটানো পেলে সেখানে ট্রফি জিতেছেন ২৫টি, এর বাইরে শেষ বয়সে নিউইয়র্ক কসমসে খেলতে গিয়েও সেখানে জিতেছেন একটি ট্রফি। সূত্র: মার্কা।

{ "slotId": "", "unitType": "in-article", "pubId": "pub-6767816662210766" }


মেসির ক্যারিয়ার ট্রফি:

স্প্যানিশ লিগ ৮টি
স্প্যানিশ সুপার কাপ ৬টি
চ্যাম্পিয়নস লিগ ৪টি
কোপা দেল রে ৪টি
উয়েফা সুপার কাপ ৩টি
ক্লাব বিশ্বকাপ ৩টি
অলিম্পিক ২০০৮

২০০৫ অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ

পেলের ক্যারিয়ার ট্রফি:
ক্যাম্পিওনাতে পলিস্তা (সাও পাওলোর পেশাদার লিগ) ১০ বার
ব্রাজিলেইরাও সিরি ‘আ’ (ব্রাজিলের লিগ) ৬ বার
টর্নিও রিও-সাও পাওলো (রিও ও সাও পাওলোর ক্লাবগুলোর প্রতিযোগিতা, এখন বিলুপ্ত) ৪ বার
কোপা লিবার্তাদোরেস (দক্ষিণ আমেরিকান ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ) ২ বার
ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ (উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী ও লিবার্তাদোরেস জয়ীর মধ্যে ম্যাচ) ২ বার
ইন্টারকন্টিনেন্টাল সুপার কাপ (১৯৬৮ ও ১৯৬৯ সালে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টটিতে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের বিজয়ীরাই খেলার সুযোগ পেতেন) ১ বার
(নিউইয়র্ক কসমসের হয়ে) নর্থ আমেরিকান সকার লিগ ১ বার

 

Collected

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *