যে দশটি জিনিস আমাদের জীবদ্দশায় অদৃশ্য হয়ে যাবে (পর্বঃ ১)

টেকনোলজি খুব দ্রূত আমাদের জীবনকে করছে উন্নত এবং সেই সঙ্গে আমাদের জীবনে চলে আসছে পরিবর্তন। যখন আমরা শুনি আমাদের চেয়ে বয়স্ক ব্যক্তিরা বলছে যে “আগে তারা অনেক সুন্দর দিন কাটাত” তখন হয়ত আমরা বুঝতে অক্ষম হয়ে পরি যে এমন পরিস্তিতির সম্মুখীন আমাদেরও একদিন হতে হবে। আমাদের বেড়ে উঠার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চারপাশের অনেক কিছুই সেকেলে হয়ে যাচ্ছে, কিছু পরিবর্তন ভাল দিক বয়ে আনছে কিছুবা খারাপ দিক বয়ে আনছে। পরিশেষে, এই পরিবর্তনগুলি ভাল বা খারাপ কিনা আমরা তাদের কীভাবে মানিয়ে নিয়ে চলতে পারি সেই অংশের উপর নির্ভর করে।

{ "slotId": "2452885053", "unitType": "in-article" }

১) ডাকঘর-  আপনি কি এমন একটি পৃথিবীর কল্পনা করতে পারেন যেখানে ডাকঘর বলে কোনো কিছু থাকবে না! গভীরভাবে আর্থিক কষ্ট ভোগতে হতে পারে পোস্ট অফিস দীর্ঘমেয়াদী বন্ধ থাকার কথা ভাবলে। ইমেল, ফেড ইএক্স এবং ইউ.পি. এর মাধ্যমে সর্বনিম্ন আয়ের জন্য সম্পূর্ন বিলুপ্ত না করে বাঁচিয়ে রাখা উচিৎ ডাকঘরকে। যদিও প্রতিদিন আপনার মেইলের অনেক অংশজুড়ে থাকে মূল্যহীন মেইল ও বিল।

২) চেক-  ব্রিটেন ইতিমধ্যে  চেক প্রক্রিয়া বাতিল ব্যবস্থা নিচ্ছে। ২০১৮ সালের মাঝে এটি পুরুপুরি লোপ পাবে। কারণ চেক প্রক্রিয়া একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া এবং এর ফলে অনেক ডলার খরচ হয়। চেক এর পরিবর্তে প্লাষ্টিক কার্ড ও অনলাইন লেনদেনের ব্যবস্থা চালু করা হবে। এর পরিণামস্বরূপ ডাকঘরেরও মৃত্যু ঘটবে। আপনি যদি কখনো মেইল দ্বারা আপনার বিল পরিশোধ করা না থাকেন তবে এই ডাকঘর ব্যবসা একেবারে গুটিয়ে যাবে।

৩) খবরের কাগজ-  নতুন যুব সমাজ খবরের কাগজ পড়ে না বললেই চলে। তারা অবশ্যই দৈনন্দিন সরবরাহকৃত প্রিন্ট সংস্করণ সংগ্রহ করতে আগ্রহী নয়। অনলাইন কাগজ পড়ার জন্য, আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পরিশোধ করতে হয়। মোবাইল ইন্টারনেট ডিভাইস এবং ই-পাঠকদের বৃদ্ধি করতে একটি সংগঠন সব সংবাদপত্র ও পত্রিকা প্রকাশকদের এক জোট করে। তারা অ্যাপল, আমাজন এবং প্রধান সেল ফোন কোম্পানি সঙ্গে দেখা করেছেন সাবস্ক্রিপশন পরিসেবার জন্য একটি মডেল তৈরি করে দেওয়ার জন্য।

{ "slotId": "", "unitType": "in-article", "pubId": "pub-6767816662210766" }

৪) বই- একজন বইপ্রেমি হিসেবে আমি বলছি যে বইয়ের অস্তিত্ব কখনো বিলুপ্ত হবে না । আমি আমার হাতে রাখা প্রকৃত বইটি কখনো ছেড়ে দিব না আর এরই মাঝে পৃষ্ঠা উল্টিয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়ে চলেছি।
আমি একই কথা আইটিউন্স থেকে গান ডাউনলোড করার বিষয়েও বলেছিলাম। আপনি আমার কাছে হার্ড কপি সিডি চাইলে আমি দিতে পারব না। আমি আবিষ্কার করেছিলাম সর্বশেষ গানের অ্যালবাম বাড়িতে বসেই অর্ধমূল্য দিয়ে পেতে পারি, ঠিক সেই সময় থেকে আমি দ্রুত আমার মন পরিবর্তন করি। একই জিনিস বই সঙ্গে ঘটবে।
আপনি অনলাইনে একটি “বইয়ের ষ্টোর” থেকে ব্রাউজ করে অধ্যায় পড়তে পারেন বইটি তা কেনার আগে এবং মূল্য একটি বাস্তব বইয়ের প্রায় অর্ধেক। দাম কম বলে এটি সুবিধাজনক মনে হয়। পর্দায় আপনার আঙ্গুলের খেলা শুরু হতে থাকে আর আপনি সেই আপনি সেই গল্পের মাঝে এমনভাবে হারিয়ে যান যে আপনি নিমিষেই ভুলে বসবেন বইয়ের পরিবর্তে আসলে একটি গ্যাজেট ধারণ করে রেখেন।

৫) ল্যান্ডলাইন টেলিফোন-   আপনার যদি একটি বড় পরিবার থেকে না থাকে আর স্থানীয় কল অনেক করার প্রয়োজন না থাকে তবে ল্যান্ডলাইন টেলিফোনের কোনো প্রয়োজন হবে না। বেশির ভাগ লোকই এটি রাখেন কারণ এটি তাদের কাছে সবসময় ছিল।

কিন্তু আপনার অতিরিক্ত সেবার জন্য ডবল চার্জ পরিশোধ করতে হবে। সকল সেল ফোন কোম্পানি আপনার কলের মিনিটের বিরুদ্ধে কোন অতিরিক্ত চার্জ আদায় করে না। তাই ল্যান্ডলাইন টেলিফোনের চেয়ে সেল ফোন ব্যবহার করা অধিক সহজ ও লাভজনকও বটে।

আজ এ পর্যন্তই। সামনের পর্বে পরবর্তী আর পাঁচটি সম্পর্কে জানব আমরা। ধন্যবাদ।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *