সঠিক রিজ্যুমি/সিভি লেখার কিছু টিপস

চাকরি খুঁজছেন অথবা উপযুক্ত রিজ্যুমি লিখতে গিয়েও থমকে যাচ্ছেন। এই সমস্যাগুলো সবার ক্ষেত্রেই হতে পারে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে, রিক্রুটাররা গড়ে ৩.১৪ মিনিট ব্যয় করেন শুধুমাত্র রিজ্যুমি/সিভি পড়ে দেখতে। এমনকি প্রত্যেক ৫ জন ক্যান্ডিডেটের মধ্যে একজন ইন্টারভিউ থেকে রিজেক্ট হয় শুধুমাত্র রিজ্যুমির কারণে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে, চাকরি খোঁজার শুরু থেকে ধরেই সঠিক আর উপযুক্ত রিজ্যুমি তৈরি করাটা খুবই প্রয়োজনীয় ধাপ। চলুন তাহলে জেনে নিই, রিজ্যুমি/সিভি লেখার এমন কিছু টিপস সম্পর্কে। দুই পর্বের এই আর্টিকেলের আজকে হচ্ছে প্রথম পর্ব।

{ "slotId": "2452885053", "unitType": "in-article" }

সঠিক রিজ্যুমি/সিভি লেখার কিছু টিপস (প্রথম পর্ব)

Source: zety.com

প্রফেশনাল ইমেইল অ্যাড্রেস তৈরি করার চেষ্টা করুন

শুরুতেই ইমেইল এড্রেস নিয়েই কথা বলতে হচ্ছে কারণ প্রফেশনাল ইমেইল অ্যাড্রেস তৈরি করাটা সবার জন্যই জরুরী। কারণ, একশভাগের মাঝে ছিয়াত্তর ভাগ ক্যান্ডিডেটই শুধুমাত্র প্রফেশনাল ইমেইল অ্যাড্রেস না থাকার কারণে চাকরি পায় না। সুতরাং আপনি যদি এখনো অনেক আগের তৈরি করা ইমেইল অ্যাড্রেস ব্যবহার করতে থাকেন তাহলে আপনার ইমেইল অ্যাড্রেস পরিবর্তন করার সময় এসেছে। চেষ্টা করবেন অন্যান্য ইমেইল ক্লায়েন্টের বদলে জিমেইল অথবা আউটলুক মেইল ব্যবহার করার।

{ "slotId": "", "unitType": "in-article", "pubId": "pub-6767816662210766" }

Source: nelake.info

আপনার যোগাযোগের তথ্য আপডেট করুন

ইমেইল অ্যাড্রেস পরিবর্তনের সাথে সাথেই চেষ্টা করবেন রিজ্যুমিতে দেয়া যোগাযোগের তথ্য পরিবর্তন করতে। নিশ্চয়ই আপনি চাইবেন না যাতে ভুল নাম্বারে ফোন দিয়ে রিক্রুটাররা আপনার উপর শুরু থেকেই অসন্তুষ্ট হোক। যোগাযোগের তথ্যে অনেক ক্ষেত্রেই ক্যান্ডিডেটরা জন্ম তারিখ ও বৈবাহিক অবস্থার উল্লেখ করেন না, যেটা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা উচিত।

Source: mymakeoverutah.com

রিজ্যুমির ফন্টের আকার দশ কিংবা বারো ব্যবহার করুন

সবসময় খেয়াল রাখবেন যাতে রিজ্যুমি কম্পিউটারে টাইপ করার সময় ফন্টের আকার দশ কিংবা বারো হয়। অতিরিক্ত ছোট আকারের ফন্ট ব্যবহার করলে রিক্রুটারদের পড়তে সমস্যা হতে পারে আবার অতিরিক্ত বড় আকারের (যেমন: ১৭, ২০, ২৫ ইত্যাদি) ফন্ট ব্যবহার করলেও রিজ্যুমি দেখতে খারাপ দেখাবে, যেটা আপনার রিজ্যুমির ডিজাইন নষ্ট করে দেবে।

Source: tionet.org

রিভার্স ক্রনোলজিক্যাল অর্ডারে তথ্য যুক্ত করুন

অনেক রিজ্যুমিতে দেখা যায় যে, ক্যান্ডিডেট তার পূর্বের চাকরির অবস্থান থেকে শুরু করে একেবারে শেষের দিকে বর্তমান চাকরির তথ্য দিয়ে থাকেন। এটাকে বলে ক্রনোলজিক্যাল অর্ডার। আপনাকে বর্তমান চাকরির অবস্থান থেকে শুরু করে তারপর শেষের দিকে পূর্বের চাকরির অবস্থান সম্পর্কে লিখতে হবে। এটাই হচ্ছে রিভার্স ক্রনোলজিক্যাল অর্ডার। একইভাবে শিক্ষাজীবনের তথ্যেও রিভার্স ক্রনোলজিক্যাল অর্ডার ব্যবহার করা উচিত।

Source: zety.com

রিজ্যুমির অ্যালাইনমেন্ট বামদিকে সরিয়ে রাখুন

রিজ্যুমি টাইপ করার সময় অনেকেই অতিরিক্ত ডিজাইন করতে গিয়ে রিজ্যুমির ডিফল্ট অ্যালাইনমেন্ট বাম দিক থেকে সরিয়ে ডানে বা মাঝখানে নিয়ে আসেন, যেটা করা একেবারেই উচিত নয়। রিজ্যুমির অ্যালাইনমেন্ট সরিয়ে ফেলা মানে রিক্রুটারের জন্য তথ্য খোঁজাটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। সেক্ষেত্রে রিক্রুটার হয়তো ঝামেলা মনে করে আপনার রিজ্যুমি রিজেক্ট করে দিতে পারেন।

Source: paramminfratech.com

{ "slotId": "2452885053", "unitType": "in-article" }

বোল্ড, ইটালিক ও আন্ডারলাইনের সঠিক ও উপযুক্ত ব্যবহার করুন

রিজ্যুমি লেখার সময় অনেকেই বোল্ড, ইটালিক ও আন্ডারলাইনের যথাযথ ব্যবহার না করে, যেখানে সেখানে লেখা বোল্ড করে রাখেন কিংবা কোনো লেখা ইটালিক করলে অন্য লেখা আন্ডারলাইন করে রাখেন, যেটা করা সম্পূর্ণ নিষেধ। যদি আপনি একটি সাবহেডিংয়ে আন্ডারলাইন ব্যবহার করে থাকেন তাহলে প্রত্যেক সাবহেডিং আন্ডারলাইন করুন। মনে রাখবেন, বোল্ড, ইটালিক কিংবা আন্ডারলাইন ব্যবহার করা হয় লেখা ফরমেটিংয়ের কাজে, ডিজাইন করার জন্য নয়।

Source: free-wired.com

সঠিক, উপযুক্ত ও প্রফেশনাল ফন্ট ব্যবহার করুন

আপনার কাছে হয়তো মনে হতে পারে যে, রিজ্যুমি লেখার ক্ষেত্রে ফন্টের স্টাইল তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা পালন করে না, কিন্তু প্রফেশনাল ফন্ট ব্যবহারের কারণে আপনার রিজ্যুমি দেখতে আরো বেশি আকর্ষণীয় ও পড়ার যোগ্য হয়ে উঠবে। সুতরাং রিজ্যুমি লেখার সময় ভেরদানা (Verdana), অ্যারিয়াল (Arial) অথবা হেলভেটিকার (Helvetica) মতো ফন্ট ব্যবহার করা উচিত। অন্যদিকে কমিক স্যানস (Comic Sans), প্যাপিরাস (Papyrus) কিংবা কার্লস এমটির (Curlz MT) মতো ফন্ট ব্যবহার থেকে দূরে থাকবেন।

{ "slotId": "2452885053", "unitType": "in-article" }

Source: enjoymyanmarholiday.com

সহজ ও সাবলীল সাবহেডিং ব্যবহার করুন

রিজ্যুমি লেখার ক্ষেত্রে অনেক ক্যান্ডিডেটকেই দেখা যায় যে, তারা সাবহেডিং হিসেবে তিন অথবা চার শব্দ ব্যবহার করে থাকে কিংবা জটিল ধরণের সাবহেডিং লিখে থাকে। সাবহেডিংয়ের এই জটিলতার কারণে আপনার রিজ্যুমি বাতিল হয়ে যেতে পারে। সঠিক ও উপযুক্ত কিছু সাবহেডিং হচ্ছে রিজ্যুম সামারি (Resume Summary), এক্সপেরিয়েন্স (Experience), এডুকেশন (Education), স্কিলস (Skills) ইত্যাদি। জটিল ও অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু সাবহেডিং হচ্ছে অ্যাবাউট মি (About Me), অ্যাক্রিডিটেশন (Accreditation), প্রফেশনাল ব্যাকগ্রাউন্ড (Professional Background), ওয়ার্ক হিস্টোরি (Work History) ইত্যাদি।

Source: lyingfishcoffeedc.com

{ "slotId": "2452885053", "unitType": "in-article" }

রিজ্যুমির সফট কপিতে ইউ আর এল যুক্ত করুন

যদি আপনি সফট কপিতে অর্থাৎ পিডিএফ কিংবা ফাইল আকারে আপনার রিজ্যুমি তৈরি করে থাকেন তাহলে সেখানে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটের লিংক, পূর্বে যেসব কোম্পানিতে কাজ করেছেন তাদের ওয়েবসাইটের লিংক, আপনার পোর্টফোলিওর লিংক, ফেসবুক প্রোফাইলের লিংক, লিংকডিন প্রোফাইলের লিংক ইত্যাদি যুক্ত করুন।

Source: thebalancecareers.com

সঠিক ধাপে রিজ্যুমি সেকশন যুক্ত করুন

রিজ্যুমির টেমপ্লেট বাছাই করা শেষ হয়ে গেলে অবশ্যই সঠিক লে আউটে রিজ্যুমি তৈরি করুন। সবসময় চেষ্টা করবেন সঠিক ধাপে রিজ্যুমির প্রত্যেকটি সেকশন যুক্ত করতে। আপনার নাম দিয়ে রিজ্যুমি লেখা শুরু করবেন। তারপরের সেকশন হওয়া উচিত আপনার যোগাযোগের তথ্য। এই সেকশনের পর যুক্ত করুন রিজ্যুমি সামারি বা অবজেকটিভ। তারপর, যদি আপনি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার শিক্ষাজীবনের তথ্য যুক্ত করুন আর যদি একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে আপনার এক্সপেরিয়েন্স সেকশন যুক্ত করুন।

{ "slotId": "2452885053", "unitType": "in-article" }

Source: weare.guru

বারবার চাকরির বিস্তারিত বর্ণনা পড়ুন

আপনি হয়তো চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে শুরুতেই চাকরির বিস্তারিন বর্ণনা পড়েছেন। কিন্তু তারপরেও আপনার উচিত বারবার সেই বর্ণনা পড়ে দেখা। কারণ ক্যান্ডিডেটরা গড়ে মাত্র ৭৬ সেকেন্ড সময় ব্যয় করেন চাকরির বিস্তারিত বর্ণনা পড়ার ক্ষেত্রে। তাই আপনার উচিত বারবার চাকরির বিস্তারিত বর্ণনা পড়ে দেখা যাতে কোনো কিছুই বাকি না থেকে যায়।

Featured Image: abbeyplacements.com

সঠিক রিজ্যুমি/সিভি লেখার কিছু টিপস (দ্বিতীয় পর্ব)

আপনি হয়তো বারবার চাকরি থেকে বহিষ্কৃত হচ্ছেন কিংবা আপনার রিজ্যুমির সাথে মিল রেখে সঠিক চাকরি খুঁজছেন অথবা উপযুক্ত রিজ্যুমি লিখতে গিয়েও থমকে যাচ্ছেন। এই সমস্যাগুলো সবার ক্ষেত্রেই হতে পারে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে, রিক্রুটাররা গড়ে ৩.১৪ মিনিট ব্যয় করেন শুধুমাত্র রিজ্যুমি পড়ে দেখতে। এমনকি প্রত্যেক ৫ জন ক্যান্ডিডেটের মধ্যে একজন ইন্টারভিউ থেকে রিজেক্ট হয় শুধুমাত্র রিজ্যুমির কারণে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে, চাকরি খোঁজার শুরু থেকে ধরেই সঠিক আর উপযুক্ত রিজ্যুমি তৈরি করাটা খুবই প্রয়োজনীয় ধাপ। চলুন তাহলে জেনে নিই, রিজ্যুমি লেখার এমন কিছু টিপস সম্পর্কে। দুই পর্বের এই আর্টিকেলের আজকে হচ্ছে দ্বিতীয় পর্ব। প্রথম পর্ব এখান থেকে পড়তে পারেন।

Source: 99designs.com

মার্জিন ব্যবহার বাধ্যতামূলক

অনেকেই হয়তো ভেবে থাকেন যে, রিজ্যুমি লেখার ক্ষেত্রে মার্জিনের ব্যবহার ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয় কিন্তু মনে রাখবেন যে, মার্জিন আপনার লেখাকে আরো স্পষ্ট ও রিজ্যুমির ডিজাইনকে আরো সুন্দর করে তোলে। চেষ্টা করবেন, উপর ও নিচের দিকের মার্জিন কমপক্ষে ০.৫ থেকে ১ ইঞ্চি এবং বাম ও ডান দিকের মার্জিন কমপক্ষে ০.৭৫ থেকে ১.২৫ ইঞ্চি পর্যন্ত দেওয়ার জন্য।

Source: creativemarket.com

উপযুক্ত ফাইলের নাম ব্যবহার করুন

মেইলের মাধ্যমে রিজ্যুমি পাঠাতে গেলে অনেকেই ফাইলের নাম যা ইচ্ছে দিয়ে দেয়। এতে করে ফাইলটি ডাউনলোড করার পর রিক্রুটারের জন্য আপনার ফাইলটির নাম মনে রাখা কষ্টকর হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে সঠিক আর উপযুক্ত নাম ব্যবহার করুন। যেমন: আপনার রিজ্যুমি ফাইলটির নাম Resume না দিয়ে Your_Name_Resume হিসেবে দিলে সহজেই মনে রাখা সম্ভব হবে।

Source: chjp.com

প্যারাগ্রাফ আকারে না লিখে বুলেটিন আকারে লিখুন

আপনার অভিজ্ঞতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাজের অবস্থান ইত্যাদি তথ্য প্যারাগ্রাফ আকারে না লিখে বুলেটিন হিসেবে লিখুন। এতে করে রিজ্যুমির ডিজাইনও সুন্দর হবে এবং রিক্রুটার সহজেই আপনার সেকশনগুলোকে আলাদা করে পড়তে পারবেন।

Source: canva.com

বিশেষ ক্ষেত্রে ছোটো আকারের বর্ণনা যুক্ত করুন

ধরুন, আপনি সর্বশেষ চাকরি করেছেন তিন অথবা পাঁচ বছর পুর্বে এবং বর্তমনে নতুন চাকরি খুঁজছেন। এই ক্ষেত্রে আপনার কাজের মাঝে যে পাঁচ বছর খালি রয়ে গিয়েছে এবং এই পাঁচ বছর আপনি কী করেছেন সে সম্পর্কে ছোট আকারে (সর্বোচ্চ ১৬০-২৫০ শব্দে) বর্ণনা লিখে দিবেন। এতে করে রিক্রুটার আপনার লাইফস্টাইল ও কাজের ধারা সম্পর্কে বুঝতে পারবেন।

Source: lifeunchained.org

একটি রিজ্যুমির সফট কপি ও হার্ড কপি দুটোই তৈরি করুন

অনেক চাকরির বিজ্ঞাপণে হয়তো আপনাকে ইমেইলের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে ও সেখানেই আপনার রিজ্যুমির সফট কপি প্রেরণ করতে হয়। এই কাজ করতে গিয়ে অনেকেই রিজ্যুমির হার্ড কপি সাথে রাখেন না। কিন্তু ইন্টারভিউয়ে যাওয়ার সময় অবশ্যই রিজ্যুমির হার্ড কপিও সাথে রাখা উচিত। কারণ রিজ্যুমির হার্ড কপি সাথে থাকলে রিক্রুটার আপনার সেনসিটিভিটি ও দায়িত্ববোধ সম্পর্কে ধারণা পাবেন।

Source: michaelpage.com

সব ধরণের অর্জন ও সার্টিফিকেট রিজ্যুমিতে যুক্ত করুন

অনেকেই জায়গার অভাবে বা বিভিন্ন কারণেই রিজ্যুমিতে নিজের অর্জনগুলো বা সার্টিফিকেটগুলো যুক্ত করেন না। কিন্তু মনে রাখবেন যে, সার্টিফিকেট ও নিজের অর্জনগুলো রিজ্যুমিতে যুক্ত করা খুবই জরুরী। এতে করে রিক্রুটার আপনার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সত্যতার প্রমাণ পেয়ে যাবেন।

Source: kymusichalloffame.com

রিজ্যুমি আপনার জন্য তৈরি করবেন না, তৈরি করুন রিক্রুটারদের জন্য

রিজুইমির ডিজাইন, ফন্ট, ফন্টের আকার, রিজ্যুমির টাইপ, লেআউট ইত্যাদি নিজের পছন্দমতো না দিয়ে রিক্রুটারের যেভাবে পছন্দ হবে সেভাবে দেয়ার চেষ্টা করুন। রিক্রুটারের পছন্দ হবে কোন ডিজাইনে, রিক্রুটার চাকরির বিজ্ঞাপনে কী চেয়েছেন, রিক্রুটার চাকরির তথ্য হিসেবে কী দিয়েছেন, রিক্রুটার আপনার কাছ থেকে আশা করেন ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর থাকা উচিত আপনার রিজ্যুমিতে।

Source: fiverr.com

প্রুফ রিডিং করুন

রিজ্যুমি লেখার পরে অনেকে দ্বিতীয়বার আর রিজ্যুমি খুলেই দেখেন না। সেক্ষেত্রে রিজ্যুমিতে অনেক ভুল থেকে যায়। প্রায় ৬১ শতাংশ রিক্রুটারই রিজ্যুমিতে টাইপিং মিসটেক কিংবা স্পেলিং মিসটেক দেখলে রিজ্যুমি বাতিল করে দেন। আর তাই আপনার উচিত বারবার ভালো করে রিজ্যুমি খতিয়ে দেখা। রিজ্যুমি লেখার সময় গ্রামারলির মতো অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করলে প্রুফরিডিং করার কষ্ট অনেকখানিই কমে যায়।

Source: zety.com

ধন্যবাদ পত্র বা ধন্যবাদ মেইল প্রেরণ করুন

রিজ্যুমি যদি ততটা ভালো না হয় তাহলে এই টেকনিক ব্যবহার করতে পারেন। যদিও এটা সবসময়েই ব্যবহার করা উচিত। ইন্টারভিউ দিয়ে আসার পরে যে কোম্পানির জন্য ইন্টারভিউ দিয়েছেন সেই কোম্পানির ইমেইলে ধন্যবাদ মেইল বা ধন্যবাদ পত্র পাঠাতে পারেন। এতে করে রিক্রুটাররা কাজের প্রতি আপনার সিরিয়াসনেস নিয়ে নিশ্চয়তা পাবেন।

Source: fiverr.com

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল পরিষ্কার করুন

মনে রাখবেন, আপনি যদি রিজ্যুমিতে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলের লিংকগুলো দিয়ে থাকেন তাহলে অনেক রিক্রুটাররাই আপনার ফেসবুক প্রোফাইল কিংবা লিংকডিন প্রোফাইল ঘুরে আসতে পারেন। তারা যাতে আপনার প্রোফাইল দেখে কোনো ধরণের নেগেটিভ রিয়েকশন না দিতে পারে, সেজন্য আপনাকে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলগুলো যথেষ্ট পরিষ্কার করে রাখতে হবে।

Source: fiverr.com

রিজ্যুমিতে ‘শখ’ সেকশন ব্যবহার করুন

অনেকেই রিজ্যুমি লেখার সময় ‘শখ’ সেকশন ব্যবহার করেন না। কিন্তু আপনার পার্সোনালিটি ও প্রফেশনালিজম বোঝানোর জন্য ‘শখ’ ও ‘ইন্টারেস্ট’ সেকশন যুক্ত করা উচিত। অনেক ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র পার্সোনালিটির কারণেই আপনার চাকরির সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেড়ে যেতে পারে।

Source: fiverr.com

রিজ্যুমিতে ভুল তথ্য যুক্ত করবেন না

অনেকেই হয়তো নিজের অভিজ্ঞতা কিংবা কাজের অবস্থান পরিবর্তন বা পরিমার্জন করে কিংবা ভুল তথ্য দিয়ে রিজ্যুমি পূর্ণ করে রাখেন। কিন্তু এই ব্যাপারে বিশেষ সতর্ক থাকা উচিত যে, ভুল তথ্য দেয়ার কারণে আপনার রিজ্যুমি বাতিল হয়ে যেতে পারে ও চাকরি থেকে বহিষ্কৃত হতে পারেন এমনকি বিশেষ ক্ষেত্রে আপনাকে কোর্ট-কাচারিতে দৌড়তে হতে পারে।

Source: zety.com

দুই পৃষ্ঠার বেশি রিজ্যুমি লিখবেন না

চেষ্টা করবেন এক পৃষ্ঠায় আপনার রিজ্যুমি সম্পন্ন করতে। যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে দুই পৃষ্ঠার মধ্যেই আপনার সব তথ্য যুক্ত করুন। অতিরিক্ত পৃষ্ঠা থাকলে রিক্রুটার আপনার রিজ্যুমি পড়তে গিয়ে বিরক্ত হয়ে যেতে পারেন।

Featured Image: blog.kudoswall.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *