অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরলে কর্মীদের উৎপাদনশীলতা বাড়ে

0

৩.৮ বিলিওনের টেক স্টার্টআপ স্ল্যাক সিইও স্টুয়ার্ট বাটারফিল্ড অফিসে দীর্ঘ সময় ধরে কাজে বিশ্বাসী নন। এ কারণেই স্ল্যাকের একটি আভ্যন্তরীণ মন্ত্র হলো, “কঠোর পরিশ্রম করুন, দ্রুত ঘরে ফিরে যান”। বাটারফিল্ড বলেন, “আমার অভিজ্ঞতায় দেখা সবচেয়ে উৎপাদনশীল কর্মী তারা যারা বিকেল ৫ টা ৩০ মিনিটের মধ্যে বাড়ি ফিরে যান। এরা কাজের ব্যাপারে উচ্চমাত্রায় মনোযোগী হন। আর লোকে দিনে মাত্র ৬ থেকে ৮ ঘন্টার বেশি কঠোর মানসিক পরিশ্রম বা চিন্তা-ভাবনা করতে পারেন না।”

তবে এখনকার কর্মপরিবেশে সারাদিনই উৎপাদনশীল থাকা অতটা সহজ নয়। যেখানে সারাক্ষণই বিভিন্ন সফটওয়্যারে অসংখ্য ফাইল চালাচালি হয় সেখানে নির্দিষ্ট কোনো ফাইলের সর্বশেষ সংস্করণটি কোথায় এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়াটা খুব সহজ নয়। স্ল্যাক এর কর্মী সংখ্যা মাত্র ৩৫০ জন। তা সত্ত্বেও কম্পানিটি ৮০টি ভিন্ন ভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে।

বাটার ফিল্ড এই সমস্যার সমাধান করতে চান। তার বিশ্বাস স্ল্যাক থেকেই তিনি এ সমস্যার সমাধানে একটি উত্তর পেয়ে যাবেন। স্ল্যাক নামের কমিউনিকেশন অ্যাপটি মাত্র দু্ই বছরের চেয়ে সামান্য বেশি সময়ের মধ্যে তার টেক স্টার্টআপকে ৩.৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয়ের সুযোগ করে দিয়েছে। তার ধারণার কেন্দ্রে রয়েছে একটি চ্যাট বট। এই প্রযুক্তি ইউজারদেরকে থার্ডপার্টি অ্যাপ কন্টেন্টে প্রবেশের সুযোগ করে দেয়। স্ল্যাকের মতো চ্যাট প্রোগ্রামের মধ্যেই এই সুযোগ করে দেওয়া হয়। এবং অন্য কোনো অ্যাপ খুলে এটি দেখার প্রয়োজনও পড়ে না।

উদাহরণত, ইউজাররা স্ল্যাক ব্যবহার করেই সেলসফোর্স থেকে তথ্য খুঁজে পেতে পারেন। অথবা ব্যয় প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেন। বাটারফিল্ড দেখতে পাচ্ছেন, ভবিষ্যতে স্ল্যাক আরো স্মার্ট এবং আরো বুদ্ধিমান হবে। কারণ এটি অারো বেশি তথ্য জড়ো করছে এবং সবচেয়ে পুনরাবৃত্তিমূলক কাজগুলো স্বয়ংক্রিয় করছে। যেমন, কে কোন প্রকল্প পরিচালনা করছে তা খুঁজে বের করা।

তবে রাতারাতিই এমনটি ঘটেছে বলে মনে করছেন না বাটারফিল্ড। স্ল্যাক এই সম্প্রতি মাত্র দৈনিক ৩০ লাখ সক্রিয় ব্যবহারকারীর মাইলফলক ছুঁয়েছে। আর এর বেশিরভাগ কাস্টমারই ক্ষুদ্র দল বা ব্যবসা। আর এ কারণেই গুগলের মতো একটি স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম গড়ে তুলতে পারেনি স্ল্যাক। কারণ এর কাছে যথেষ্ট তথ্য নেই।

কিন্তু অসংখ্য লোক বাটারফিল্ডের দূরদর্শিতায় বিশ্বাস করেন। কারণ মাত্র গত দুই বছরের মধ্যেই তিনি ভিসি অর্থায়নের ৫৪০ মিলিয়ন ডলার তুলে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। আর তার বিশ্বাস সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্ল্যাক সকলকে আরো স্মার্ট এবং দক্ষ করে তুলবে।

 

সুত্র: বিজনেস ইনসাইডার

Courtesy: কালের কণ্ঠ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *