আইসিটিতে ৪২ হাজার নতুন চাকরির সুযোগ

প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, তরুণদের তথ্যপ্রযুক্তিতে আগ্রহী ও উদ্বুদ্ধ করতে দিনব্যাপী ক্যারিয়ার ক্যাম্পের নানা ইভেন্টকে আনন্দদায়ক করে উপস্থাপন করা হবে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সম্ভাবনা নিয়ে ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে আইকন হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিত্বদের মাধ্যমে তরুণদের উদ্বুদ্ধ ও প্রেরণা জাগানো বক্তৃতা এবং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আইসিটি বিষয়ক কুইজ ও প্রশ্নোত্তরসহ নানা ইভেন্ট নিয়ে প্রতিদিনের ক্যারিয়ার ক্যাম্প পরিচালিত হবে। শিক্ষার্থীদের সামনে যদিআইটি খাতের সম্ভাবনাগুলো তুলে ধরা যায় এবং তাদের প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া যায় তাহলে তারা শিক্ষাজীবন থেকেই আইটিতে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার কথা ভাববে। আইসিটি খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের যে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে তা কাজে লাগানো যাবে। তারা বলেন, আমাদের তরুণরা নতুন নতুন প্রযুক্তিকে খুব সহজেই গ্রহণ করছে। অনেকে প্রশিক্ষণ ছাড়াই ভালো কিছু কাজ করছে। এখন সরকারের পক্ষ থেকে তাদের দক্ষ করে গড়ে তুলে দেশের সম্পদ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়ে তারা সব জেলায় যাবেন।

{ "slotId": "2452885053", "unitType": "in-article" }

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ২০২১ সাল নাগাদ আইসিটি রফতানির পরিমাণ ৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ এবং আইটি পেশাজীবীর সংখ্যা ২ মিলিয়নে উন্নীত করা হবে। দেশে আইটি শিল্পের প্রসার ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে সরকার সব ধরনের সহায়তা করবে। আইটি শিল্পের প্রসার ও কর্মসংস্থানের জন্য সরকার ইতিমধ্যে নানা কার্যক্রম নিয়েছে। ১২টি হাইটেক পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। যশোরের সফটওয়্যার পার্ক নির্মাণ সমাপ্তির পথে। কালিয়াকৈরে হাইটেক পার্কের উন্নয়ন জোরেশোরে এগিয়ে চলছে। এটি সমাপ্ত হলে প্রায় ৭০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

বিসিসির নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমার বিশ্বাস আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে আগ্রহী করে তুলবে। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে ইতিমধ্যে স্থাপিত বিশেষায়িত ল্যাবগুলোয় প্রশিক্ষণ গ্রহণে তারা উদ্বুদ্ধ হবে। অনেকেই জানেন না, আমাদের দেশে টাইটানিয়াম, স্মাকের মতো বিশেষায়িত ল্যাব রয়েছে, যেখানে বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

এলআইসিটি প্রকল্প পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প শুরু হলে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির চলমান প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়বে। বর্তমানে এলআইসিটি প্রকল্পে নিয়োজিত যুক্তরাজ্যভিত্তিক আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং আগামী তিন বছরে ৩০ হাজার আইটিতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার কাজ করছে। শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এলআইসিটি প্রকল্পের সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এছাড়াও, এলআইসিটি প্রকল্প থেকে আরও ১০ হাজার তরুণ-তরুণীকে আউটসোর্সিংয়ের প্রশিক্ষণ, আড়াই হাজার সরকারি কর্মকর্তাকে ই-গভর্ন্যান্স প্রশিক্ষণ এবং বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ আরও প্রায় আড়াই হাজার জনকে আইটির বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

{ "slotId": "", "unitType": "in-article", "pubId": "pub-6767816662210766" }

সুত্র: সমকাল

2 Comments

Leave a Reply
  1. দেশের প্রত্যেক থানা থেকে ICT তে ধারনা আছে এমন কিছু মানবসম্পদকে কাজে লাগানো উচিৎ এবং যাদের ধারনা সাথে সাথে প্রবল ইচ্ছা আছে তাদেরকে শান দিয়ে ধারালো সোর্ড বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করা উচিৎ। যদি প্রত্যেক থানায় কিছু শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া যায় তাহলে তারা শিক্ষাজীবন থেকেই আইটিতে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার কথা ভাববে এবং শিক্ষাজীবন থেকেই যখন তারা ইনকাম করা শুরু করবে, তা দেখে আরও শিক্ষার্থী ও তাদের পিতা -মাতা এই বিষয়ে তাদের ছেলে মেয়েদেরকে ICT বিষয়ে উৎসাহ দিবে।

  2. akhane kader k training korano hoe? jader training korano hoe tara ki B.Sc Engineening complete kora? Ami B.Sc.Engineering in Computer Science and Engineering der opportunity kotha jante chachi? Please response.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *