আমরা অনেক জেনে,শুনে এবং চিন্তা ভাবনা করে নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী সব চাইতে ভালো চাকরিটাতে যোগদান করার চেষ্টা করি। একটা সময় সে স্বপ্নের চাকরিটি পেয়েও যাই। কিন্তু বিপত্তি দেখা দেয় চাকরিতে জয়েন করার পর। আশে পাশের পরিবেশের সাথে নিজেক মানিয়ে নিতে গিয়ে আপনার হয়তো মনে হয় আপনি এই চাকরিটার যোগ্য নন। আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরিতে আপনার পজিশন বেশি হয়ে গেছে ইত্যাদি অনিশ্চয়তায় ভোগেন। কিন্তু সত্যিকার অর্থে কি তাই? নিচের ছয়টি কারণ দেখুন আর নিজেকে জানানোর চেষ্টা করুন যে আপনি আপনার কাজটির জন্য সত্যিকার অর্থেই যোগ্য!
১) আপনি আপনার কাজের ব্যাপারে উৎসাহী।
আপনি যে ফিল্ডে নিজেকে তৈরি করে উঠিয়েছেন সে ফিল্ডাতে আপনার অভিজ্ঞতা আছে বলেই আপনি সেখানে জয়েন করতে পেরেছেন। আপনি ঐ কাজটিতে উৎসাহী ছিলেন বলেই আপনি সেখানে চাকরি করার চেষ্টা করেছেন। পরবর্তিতে সেখানে স্বপ্ন অনুযায়ী চাকরিটা পেয়েও গেছেন। চাকরিটা পাওয়ার জন্য আপনাকে ইন্টারভিউ দিতে হয়েছে। অন্যান্য নিয়োগকর্তাদের নিজের কাজের মাধ্যমে ইম্প্রেস করেই আপনি আপনার লক্ষে পৌছাতে পেরেছেন। তাই বলাই যায় আপনি আপনার কাজের প্রতি উৎসাহী। এবং ঐ কাজের জন্য আপনি যোগ্যও বটে।
২) আপনার মধ্যে সততা রয়েছে।
নিয়োগকর্তারা বিশ্বাসযোগ্যদের ভালোবাসে। আপনি যদি আপনার কাজে ততটা দক্ষ নাও হোন। আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা। আপনার আচার ব্যবহার। আপনার সৎ ব্যাক্তিত্ব। আপনাকে খ্যাতিমান করে তুলবে। এরপর অবশ্যই অবশ্যই নিয়োগকর্তাদের কাছে আপনি একজন নির্ভরযোহ্য চাকরিজীবী হিসেবে পরিচিত করতে পারবেন।
৩) আপনি সাহসী।
হেনরি দি বালজাকের মতে, “সাহস এবং কাজের মধ্যেই সুখ নির্ভর করে।”
আপনি নতুন কিছু করতে ভালোবাসেন। নতুন কোনো কাজকে চ্যালেঞ্জের সাথে গ্রহন করতে পারেন। যে কোনো কাজের ব্যাপারে আপনি ঝুঁকি নিতে পারেন। আপনি সত্যটা অতি সহজে সাহসের সাথে বলতে পারেন। আপনার দাবি গুলো সাহসের সাথে নিয়োগকর্তাদের সম্মুখে উপস্থাপন করতে পারেন। আপনি আপনার কাজ থেকে সব চাইতে কঠিন মূহুর্তেও কাজ থেকে সরে দাড়ান না। তাহলেই আপনি যোগ্য। কেননা একজন যোগ্য চাকরিজীবী তারাই যারা তাদের মনের সকল কথা গুলো কাজের মাধ্যমে বলতে পারে।
৪) আপনি কর্মদক্ষ।
“তোমার মাথায় একটা ব্রেইন রয়েছে। তোমার পায়ে রয়েছে ফিট জুতো। তুমি তোমার নিজেকে পরিচালনা করতে পারো এবং দিক নির্দেশনা দিতে পারো যেটা তোমার পছন্দ।” –ডক্টর সিউস
আপনি নিজের প্রতি বিশ্বাসী যে। আপনার কাজের মাধ্যমে আপনি আপনার নিয়োগকর্তা অথবা মালিককে অসন্তুষ্ট করেন না। আপনাকে যে কাজ দেয়া হয় আপনি সেই কাজ দক্ষতার সাথে করে।
৫) আপনি সবার স্নেহ পাওয়ার যোগ্য।
আপনি যোগ্য ব্যাক্তিত্ব। নিজের কাজ গুলো অনেক ধৈর্যের সাথে এবং দক্ষতার সাথে করেন। সাথে সাথে সম্মলিত কাজ গুলোকে আপনার সাথের জনকে বুঝিয়ে দেন। তাছাড়াও আপনি আপনার অন্যান্য কলিগদের সাথে ভালো ব্যবহার করেন। তাদের যে কোনো কাজে সাহায্য করেন। তাদের পরিবারের সাথে আপনার রয়েছে বিশেষ সম্পর্ক। তাহলে আপনি অবশ্যই তাদের স্নেহের যোগ্য। আর কর্পোরেট লাইফে এ যোগ্যতা যেমন সবার থাকে না। তেমনি যাদের এ যোগ্যতা রয়েছে তাদের অবস্থানটা আরো ঢের উপরের দিকে অগ্রসর হবে।
৬) যে কোনো কাজ করার ব্যাপারে আপনার রয়েছে অত্যাধিক ইচ্ছাশক্তি।
অবশ্যই কাজের স্থান গুলোতে সব সময় প্রতিযোগীতা লেগেই থাকে। কে উপরের স্তরে অগ্রসর হতে পারবে। কে সব চাইতে সম্মানিত আসনটিতে বসতে পারবে। এসব অহরহ লেগেই থাকে কর্পোরেট অফিসে। কিন্তু আপনার যদি আপনার কাজের ব্যাপারে থাকে অধমনীয় ইচ্ছাশক্তি তাহলে আপনি অতি সহজের আপনার স্বপ্নের স্থানটি সহজে পাবেন।