ইতালিতে বিনা খরচে উচ্চশিক্ষার জন্য সরকার স্কলারশিপ সহ ৮০০টির বেশি স্কলারশিপ সুবিধা

বিদেশে যাঁরা পড়াশোনা করতে চান, তাঁদের অনেকের পছন্দের শীর্ষে ইতালি। দেশটিতে স্কলারশিপও মেলে। যাঁরা বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ খোঁজেন, তাঁদের জন্য ইতালি দারুণ জায়গা। ইতালির শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ৮০০টির বেশি বৃত্তি প্রদান করে। আবাসন খরচ, টিউশন ফি, মাসে ২ হাজার ৫০০ ডলারসহ নানা সুযোগ–সুবিধা পাওয়া যায় এসব বৃত্তিতে। উল্লেখযোগ্য কিছু বৃত্তির কথা এখানে তুলে ধরা হলো—

{ "slotId": "2452885053", "unitType": "in-article" }

ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ
ইতালি সরকার দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বিদেশি শিক্ষার্থীদের মাস্টার্স এবং পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য বৃত্তি প্রদান করে থাকে। এ বৃত্তিতে মাসে ৯০০ ইউরো, টিউশন ফি ও স্বাস্থ্যবিমা মিলবে।

স্কুয়োলা নর্মাল সুপেরিয়র স্কলারশিপ
স্কুয়োলা নর্মাল সুপেরিয়র স্কলারশিপে চার বছর মেয়াদি ৭৫টি পিএইচডি স্কলারশিপ দেয় দেশটি। এ বৃত্তি দেশি ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য। এ স্কলারশিপের আওতায় শিক্ষার্থীরা টিউশন ফি ও থাকার সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া গবেষণা পরিচালনার জন্য শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত অর্থ পেতে পারেন।

আর্তুরো ফালাচি পিএইচডি ফেলোশিপ
আর্তুরো ফালাচি পিএইচডি ফেলোশিপে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপক অর্থায়ন করে থাকে। এ ফেলোশিপের মেয়াদ দুই বছর। ক্ষেত্রবিশেষে আরও এক বছর বাড়তে পারে। এ বৃত্তিতে উপবৃত্তি, স্বাস্থ্যবিমা ও অতিরিক্ত নানা সুবিধা পাওয়া যাবে।

{ "slotId": "", "unitType": "in-article", "pubId": "pub-6767816662210766" }

বোকোনি ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ
বোকোনি ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপের সুযোগ পান স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা বিদেশি শিক্ষার্থীরা। আবাসন সুবিধা, টিউশন ফি ছাড়াও প্রতিবছর স্নাতক শিক্ষার্থীরা ১২ হাজার ইউরো ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা ১৩ হাজার ইউরো পান।

বোলোগনা ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ
স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী বিদেশি শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ অর্থায়ন করে বোলোগনা ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ। টিউশন ফিসহ বছরে ১১ হাজার ইউরো শিক্ষা অনুদান পাওয়া যায় এই স্কলারশিপের আওতায়।

কীভাবে বাংলাদেশ থেকে ইতালির স্টুডেন্ট ভিসা পাবেন

ভিসার আবেদন করার জন্য কী কী সাপোর্টিং ডকুমেন্টের দরকার পড়বে?

ভিসার আবেদন করার জন্যে যেসকল সাপোর্টিং ডকুমেন্টের দরকার পড়বে সেগুলো হচ্ছে,

  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে চিঠি
  • জেনুইন টেম্পোরারি এন্ট্রান্ট (জিটিই)
  • ব্যাংক ব্যালেন্সের প্রমাণপত্র
  • স্বাস্থ্য বীমা (ওএসএইচসি)
  • ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণপত্র
  • অপরাধমূলক ও ফৌজদারী কাজের প্রমাণপত্র
  • ভিসার আবেদন ফর্ম
  • চারটি পাসপোর্ট আকারের ছবি
  • বৈধ পাসপোর্ট
  • ভিসা এনরোলমেন্টের ইলেকট্রনিক কনফার্মেশনের স্ক্যান কপি
  • একাডেমিক ও কাজের অভিজ্ঞতার ডকুমেন্ট
  • আইইএলটিএস (IELTS) স্কোর / ইংরেজি ভাষার দক্ষতা পরীক্ষার স্কোর

ভিসা আবেদন করার পরে কী করতে হবে?

ইতালির স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করার পর, আপনার জন্মদিন ও ভিএলএন নাম্বার দিয়ে ভিসার অবস্থান ট্র্যাকিং করতে পারবেন। ভিসার অবস্থান ট্র্যাকিং করার জন্য এখানে ক্লিক করুন।  ভিসা ও ভর্তির প্রসেসিং হওয়ার জন্য কমপক্ষে ৯০ থেকে ১২০ দিন লাগতে পারে। অনলাইনে ভিসার আবেদন করার জন্য সর্বোচ্চ ৪০০০০ টাকা থেকে ৫৫০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। অনলাইন ভিসা অ্যাসিস্ট অ্যাকাউন্ট করার জন্য ১০০০ টাকা থেকে ১৩০০ টাকা খরচ হবে। বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্টের জন্য ২৫০০ টাকা থেকে ২৮০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *