ইলেকট্রিক্যাল & ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এর চাকুরির পরীক্ষার প্রশ্নত্তর-০২

ইলেকট্রিক্যাল & ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এর চাকুরির পরীক্ষার প্রশ্নত্তর-০২

{ "slotId": "2452885053", "unitType": "in-article" }

১) কারেন্ট সোর্স কি?
উত্তরঃ লোডের রেজিস্ট্যান্স যাই হোক না কেন যে সোর্স সব সময় নিদিষ্ট পরিমান কারেন্ট সরবারাহ করে তাকে কারেন্ট সোর্স বলা হয়।
.
২) সার্কিট ব্রেকার ছাড়া অনাকাঙ্ক্ষিত কারেন্ট কে নিয়ন্ত্রণ করা যায় কি?
উত্তরঃ হ্যা। কারেন্ট সীমিত করন রিয়্যাক্টরের মাধ্যমে।
.
৩) ক্যাপাসিটর ব্যাংক কিভাবে তৈরি করা হয়?
উত্তরঃ তিন ফেজের ক্ষেত্রে তিনটি ক্যাপাসিটর কে স্টার বা ডেল্টায় কানেকশন করে। সিঙ্গেল ফেজ হলে সরাসরি লাইন টু ফেজে সংযোগ করে ক্যাপাসিটর ব্যাংক তৈরি করা হয়।
.
৪) একই ক্যাবলের মধ্য দিয়ে যথাক্রমে এসি ও ডিসি পাওয়ার প্রেরন করলে কখন বেশি রেজিস্ট্যান্স ক্রিয়া করবে?
উত্তরঃ এসিতে।
.
৫) একটি ৪০০ ভোল্ট লাইন থেকে ট্রান্সফরমার ছাড়া কিভাবে ২৩০ভোল্ট পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ লোড সমেত লাইন টিকে স্টারে সংযোগ করে।
.
৬) কম ফ্রিকুয়েন্সির অসুবিধা কি?
উত্তরঃ
ক) ইনক্যান্ডিসেন্ট বাতির চঞ্চল আলোকচ্ছটা দূষনীয়।
খ) এতে ব্যবহারকৃত ট্রান্সফারমার ও মোটরের সাইজ বড় হয়।
.
৭) সেনসর ও ট্রান্সডিউসারের মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ ট্রান্সডিউসার এক এনার্জী কে অন্য এনার্জীতে কনভার্ট করে। আর সেনসর কোন বস্তুকে ডিটেক্ট করে তাকে ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালে কনভার্ট করে।
.
৮) এনার্জী সেভিং বাল্ব বা ইলেকট্রনিক ব্যালাস্ট টির সার্কিট টি ঠিক আছে কি না কিভাবে বুঝবেন?
উত্তরঃ ব্যালাস্ট বা এনার্জী সেভিং বাল্বের সার্কিটটির যে চারটি টার্মিনাল টিউবে সংযুক্ত করা হয় তাদের আলাদা আলাদা দুটি অংশ কে শর্ট করে সাপ্লাই প্রান্তটি কে একটি সিরিজ লাইনে সংযুক্ত করতে হবে। সার্কিট ভালো থাকলে সিরিজ ল্যাম্প টি জ্বলে উঠবে,অন্যথায় জ্বলবে না।
.
৯) CFL এর পূর্ন নাম কি?
উত্তরঃ Compact Flourescent Lamp.
.
১০) বিভিন্ন ইলেকট্রিক মেশিনে ব্রাশ হিসেবে কপার ব্যবহার করা হয় না কেন?
উত্তরঃ তামা পজেটিভ তাপমাত্রা গুনাঙ্ক বিশিষ্ট হওয়ায় ঘর্ষনেরর ফলে উৎপন্ন তাপে এর রোধ বাড়ে তা ছাড়াও এটি অপেক্ষাকৃত দ্রুত ক্ষয় হওয়ায় ব্রাশ হিসেবে এর ব্যবহার সীমিত।
.
১১) টর্ক কি?
উত্তরঃ এটি একটি ক্রিয়াশীল বলের মোমেন্ট কে বুঝায় যা কোন বস্তু কে একটি অক্ষের সাপেক্ষে ঘুয়ায় বা ঘুরাতে চায়।
.
১২) কয়েক প্রকার তরল ইনসুলেটিং পদার্থের নাম কি কি?
উত্তরঃ
ক) ইনসুলেটিং পেইন্ট।
খ) ইনসুলেটিং ভার্নিশ।
গ) ইনসুলেটিং তেল।
.
১৩) তার ও ক্যাবলের মাঝে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ
ক) তার খোলা বা হালকা ইনসুলেশন যুক্ত হয় কিন্তু ক্যাবল সব সময় ইনসুলেটেড হয়।
খ) তার সলিড বা স্ট্র্যান্ডেড হয় কিন্তু ক্যাবল সব সময় স্ট্র্যান্ডেড হয়ে থাকে।
.
১৪) AWG কি
উত্তরঃ American Wire Gauge.
.
১৫) সিঙ্গেল ফেজ মেটর বা ফ্যান চালু করতে ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা হয় কেন?
উত্তরঃ প্রাইম মুভার ছাড়া কোন রোটর কে ঘুরাতে গেলে স্টেটরে ঘুরন্ত চুম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি করতে হবে। আর ঘুরন্ত চুম্বক ক্ষেত্র সৃষ্টির প্রধান শর্ত হলো মিনিমাম ২ টি ফেজ থাকতে হবে বাট আমাদের সাপ্লাই সিঙ্গেল ফেজ। তাই আরেকটি ফেজ সৃষ্টিতে ক্যাপাসিটর use করা হয়।
.
১৬) কেন Dc জেনারেটর বা Ac অল্টারনেটরে প্রাথমিক অবস্থায় Ac ভোল্টেজ উৎপন্ন হয়?
উত্তরঃ যেহেতু উভয় ক্ষেত্রেই স্থায়ী চুম্বক ক্ষেত্রের ভিতরে কন্ডাক্টর কে ঘুরানো হয় এবং এ কন্ডাক্টরের সাথে ফ্লাক্স লিংকেজেরর পরিবর্তনের হার শূন্য হতে বৃদ্ধি পেয়ে সর্বোচ্চ হয়ে আবার শূন্যততে পৌছায়। এর ফলে ভোল্টেজ ও শূন্য হতে সর্বোচ্চ হয়ে শূন্যতে আসে। নর্থ ও সাউথ পোল থাকায় এই ঘটনা টা একবার পজেটিভ ও একবার নেগেটিভ দিকে সংঘটিত হয়। অর্থাৎ Ac ভোল্টেজ উৎপন্ন করে।
.
১৭) VDR কি?
উত্তরঃ Voltage Dependent Resistor.
.
১৮) একই কন্ডাক্টরে যথাক্রমে Ac ও Dc ভোল্টেজ প্রেরন করলে লাইন রেজিস্ট্যান্স কোনটায় বেশি হবে?
উত্তরঃ Ac তে।
.
১৯) কি কি কারনে পাম্প মোটর স্টার্ট নেয় না?
উত্তরঃ
ক) ফিউজ পুড়ে গেলে।
খ) মোটর বিয়ারিং জ্যাম হলে।
গ) ওয়াইন্ডিং গ্রাউন্ড হলে।
ঘ) কয়েল শর্ট বা স্টার্টারের সমস্যা হলে।
.
২০) নাইক্রোম কি কি উপাদান নিয়ে গঠিত?
উত্তরঃ
ক) নিকেল———- ৬১%
খ) ক্রোমিয়াম——১৫%
গ) আয়রন——–২৪%
.
২১) রোটর কিভাবে বা কেন ঘোরে?
উত্তরঃ স্টেটর কয়েলে পলিফেজ সংযুক্ত করে সাপ্লাই দিলে এতে ঘুরন্ত চুম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয় যা সিনক্রোনাস স্পিডে ঘুরতে থাকে। এ ঘুরন্ত চুম্বক ক্ষেত্র রোটর কন্ডাকক্টর কে কর্তন করলে ফ্যারাডের ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ইন্ডাকশন নীতি অনুসারে রোটর কন্ডাক্টরে EMF আবিষ্ট হয়। যেহেতু রোটর সার্কিট বন্ধ অবস্থায় থাকে সেহেতু আবিষ্ট তড়িৎ চাপের জন্য কারেন্ট প্রবাহিত হয় এবং রোটরে ঘূর্নক উৎপন্ন করে।
.
২২) সার্কিট ব্রেকার নির্ধারনের কৌশল কি?
উত্তরঃ যে সকল লোডের জন্য সার্কিট ব্রেকার নির্ধারন করতে হবে তার মোট ওয়াট বের করে উক্ত ওয়াট কে ২৩০ দ্বারা ভাগ করে যে অ্যাম্পিয়ার পাওয়া যাবে তার ১.৫ গুন অ্যাম্পিয়ার বিশিষ্ট সার্কিট ব্রেকার নিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *