উইন্ডোজ এর অতীত ও ভবিষ্যত (পর্ব ২)

পূর্বের পোস্ট এ আপনাদের সাথে Windows এর কয়েকটি ভার্সন নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আজ বাকিগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

তবে চলুন দেরি না করে শুরু করে দেয়া যাকঃ

Windows ME (2000)

নতুন শতাব্দীর নতুন উইন্ডোজ। এর উচ্চারন মূলত উইন্ডোজ এম ই। এটি ছিল একটি গ্রাফিক্যাল অপারেটিং সিস্টেম এবং উইন্ডোজ এবং উইন্ডোজ 9.x সিরিজের সর্বশেষ অপারেটিং সিস্টেম। এটি ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০০০ সালে রিলিজ লাভ করে। এটাকে অনেকে উইন্ডোজ ৯৮ এর সাকসেস ভার্সন হিসেবেও মনে করেন।

Windows 2000 (2000)

উইন্ডোজ ২০০০ মূলত ক্লায়েন্ট ও সার্ভার উভয় পিসিতেই ব্যবহৃত হত। এটি ১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০০০ সালে মাইক্রোসফট কতড়িক অবমুক্ত হয়। এটি চারটি ভার্শনে রিলিজ হয়ঃ

  1. Professional
  2. Server
  3. Advanced Server
  4. Datacenter Server

 

Windows XP:

Windows XP এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম এর মাঝে অন্যতম। এমনকি এর পরে যেসকল উইন্ডোজ ভার্সন এসেছে তার মাঝেও এটি এখনো চলছে। এটি মাইক্রোসফট কতৃক রিলিজ হওয়া একটি পারসোনাল কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম যা অক্টোবর ২০০১ এ রিলিজ হয়। এতে ইউজার ইন্টারফেস আগের থেকে আরও সুন্দর করা হয় এবং এতে ইন্টারনেট ফাংশনালিটি আরও উন্নত করা হয়। এতে প্রথম DIRECTX 9 ব্যবহার করা হয়।

Windows Vista (2006)

এক্সপির পরে উইন্ডোজ এর পরবর্তী সংস্করণ এর নাম উইন্ডোজ হলো Windows Vista (ভিস্তা)। এতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়। বিশেষ করে এর ইউজার ইন্টারফেস কে আরও সুন্দর করে তোলা হয়। কিন্ত এর ব্যবহার অনেক জটিল ছিল তাই এটি পূর্বের তুলনায় কম ব্যবহার বান্ধব ছিল। ফলে এটি অতোটা ব্যবসাসফল হতে পারেনি।

Windows 7 (2009)

উইন্ডোজ ভিস্তায় সমস্যার মুখোমুখি হয়ে মাইক্রোসফট মেনু ডিজাইনিং এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি করার উপর বেশী জোর প্রদান করে। এরই ফলাফল হিসেবে বাজারে আসে Windows 7। এই অপারেটিং সিস্টেম টি খুবই চমৎকার ভাবে তৈরি করা হয়েছে। ইন্টারফেস অনেকটা vista এর মত হলেও এতে অনেক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। ইউজার ফ্রেন্ডলি হওয়ায় এটি খুব দ্রুতই জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে আসে।

Windows 8 (2012)

Windows 7 এ সফল হবার পর মাইক্রোসফট একটি ভিন্ন এবং সম্পূর্ণ নতুন ডিজাইনে একটি উইন্ডোজ বাজারে আনার পরিকল্পনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় Windows 8 এর জন্ম হয়। এর ইন্টারফেস সম্পূর্ণ নতুনভাবে ডিজাইন করা হয় এবং এই ডিজাইন এর নাম দেয়া হয় ম্যাটেরিয়াল ডিজাইন। এটি পার্সোনাল কম্পিউটারের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছিল। কিন্ত এতে কিছু সমস্যা বিদ্যমান ছিল যার মাঝে প্রচলিত স্টার্ট মেনু আইকন না থাকা অন্যতম।

Windows 8.1 (2013)

Windows 8 এ কিছু সমস্যা হওয়ার কারনে মাইক্রোসফট ২০১৩ সালে এটির দ্বিতীয় একটি ভার্সন অবমুক্ত করে যার নাম দেয়া হয় Windows 8.1 । এতে স্টার্ট মেনু আইকন ফিরিয়ে আনা, আরও উন্নত হার্ডওয়্যার সাপোর্ট সহ পুরোনো ভার্সন এর সমস্যাগুলির সমাধান করা হয়েছে।

Windows 10 (2015)

বর্তমানে মাইক্রোসফট আরও সুন্দর একটি গ্রাফিক্যাল ওএস আনার পরিকল্পনা করছে। এজন্য তারা কাজও শুরু করে দিয়েছে। তারা এই উইন্ডোজ এর নাম দিয়েছে উইন্ডোজ ১০ বা Windows 10। এতে Windows 7 Windows 8 এর চমৎকার এক সংমিশ্রন ঘটানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে ২০১৫ সাল অর্থাৎ এবছরই এটি অফিশিয়ালি রিলিজ হবে।

আজ এ পর্যন্তই। দেখা যাক উইন্ডোজ আগামীতে আমাদের জন্য কি নতুন চমক নিয়ে আসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *