নিজের ওপর আস্থা ছিল মেহেদী হাসান মিরাজের; টার্নিং উইকেটে দলকে বোলিংয়ে সহায়তা করতে পারবেন। তবে অতিথিদের কাঁপিয়ে দেওয়ার মতো এমন বোলিং করবেন তা ভাবেননি তরুণ এই অফ স্পিন অলরাউন্ডার।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রথম দিনে সবটুকু আলো কেড়ে নিয়েছেন মিরাজ। ৩৩ ওভার বল করে ৬৪ রানে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। দেশের হয়ে সবচেয়ে কম বয়সে অভিষেকে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব ১৮ বছর ৩৬১ দিন বয়সী এই তরুণের।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ জানালেন, অভিষেকটা এতটা উজ্জ্বল হবে ভাবতে পারেননি তিনিও।
“আসলে অনেক ভালো লাগছে। এ দিনটার কথা, এই ম্যাচের কথা আমার সারা জীবন মনে থাকবে। আমার ডেব্যু ম্যাচ, আমি ৫ উইকেট পেয়েছি। ইংল্যান্ডের সঙ্গে পাঁচ উইকেট পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের বিষয়।”
মিরাজের স্পিনেই ২১ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ইংল্যান্ড। পরে প্রতিরোধ গড়া জো রুট, অর্ধশতক করা দুই ব্যাটসম্যান মইন আলি ও জনি বেয়ারস্টোকেও ফেরান তিনি।
ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই মুশফিকুর রহিম বল তুলে দেন মিরাজের হাতে। শুরুতে একটু বাইরে বল করছিলেন তিনি। তবে হাতে তুলে দেওয়ার সময় অধিনায়ক তাকে স্টাম্পে বল করার মন্ত্র শোনাচ্ছিলেন।
“মুশফিক ভাই আমাকে বারবার বলছিল, বল স্টাম্পে রাখিস। স্টাম্পে বল রাখলে এলবিডব্লিউ বা বোল্ড হওয়ার সুযোগ থাকবে। যখন বুঝতে পারলাম যে, স্টাম্পে করলে ফল পাব, তখন থেকেই ‘স্টাম্প টু স্টাম্প’ বল করার চেষ্টা করেছি। এভাবে বল করে সফলতা পেয়ে গেছি আর কি…।”
তার সেই সফলতায় প্রথম দিনে ৭ উইকেটে ২৫৮ রানের বেশি করতে পারেনি ইংল্যান্ড।
হঠাৎ আসা সুযোগ দুই হাতে কাজে লাগানোর আশা ছিল মিরাজের। ভালো করার আত্মবিশ্বাস ছিল। কিন্ত জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সারা দিন যা করলেন ততটা করার কথা ভাবতে পারেননি তিনিও।
“আমি আসলে এতটা ভাবিনি যে, আমি ৫ উইকেট পাবো। তবে চেষ্টা করেছি যে, দলের জন্য পারফর্ম করার। আমি কখনওই চিন্তা করিনি এতটা দাপট দেখাতে পারব।
COLLECTED