
বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিকভাবে অনেক পরিচিতি পেয়েছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের কাছে কানাডার উচ্চশিক্ষার সার্টিফিকেট বেশ মূল্যবান।
কানাডায় ২০২৬ সালের লেস্টার বি পিয়ারসন বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন। বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
# আবেদনের শেষ তারিখ: ৭ নভেম্বর ২০২৫
# বৃত্তির মেয়াদ: ৪ বছর
বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে—
কানাডার প্রাচীন ও শীর্ষস্থানীয় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮২৭ সালে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি শুধু কানাডায় নয়, বিশ্বজুড়েই খ্যাতি অর্জন করেছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি প্রধান ক্যাম্পাস রয়েছে। এগুলো হলো সেন্ট জর্জ, স্কারবরো ও মিসিসাগা। এখানে প্রায় ৯০ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন।
পড়াশোনার ক্ষেত্র—
টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও ব্যবস্থাপনা, জীবনবিজ্ঞান, ভৌত ও গাণিতিক বিজ্ঞান, কম্পিউটারবিজ্ঞান, প্রকৌশল, কাইনেসিওলজি ও শারীরিক শিক্ষা, সংগীত, স্থাপত্যসহ ৭০০টির বেশি স্নাতক প্রোগ্রামে ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ রয়েছে।

আবেদনের যোগ্যতা—
১. কানাডার নাগরিকত্ব নেই, এমন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবেন।
২. বৃত্তির নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানে সক্ষম হতে হবে।
৩. স্নাতকের জন্য উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল থাকতে হবে।
৪. ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে। আইইএলটিএসে ন্যূনতম ৬.৫ পেতে হবে।
৫. ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা থাকলে ইংরেজি দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হবে না।
সুযোগ-সুবিধা—
১. বৃত্তিটির জন্য যেকোনো দেশের শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবেন।
২. লেস্টার বি পিয়ারসন বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত।
২. নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ টিউশন ফি বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে।
৩. পাঠ্যবই সরবরাহ করা হবে।
৪. স্বাস্থ্যবিমা প্রদান করবে।
৫. বৃত্তির মেয়াদকাল পর্যন্ত সম্পূর্ণ আবাসন ব্যবস্থার সুযোগ।
আবেদনপ্রক্রিয়া—
আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
Leave a comment