কীভাবে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ান স্টুডেন্ট ভিসা পাবেন

Related image

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রেলিয়া বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় জনপ্রিয় স্থান। অস্ট্রেলিয়ার উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা,  বিভিন্ন খাতে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অস্ট্রেলিয়াতে ১২৫টি নিবন্ধিত উচ্চ শিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় ৪০টি,আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় ২টি ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ১টি।    

{ "slotId": "2452885053", "unitType": "in-article" }

অস্ট্রেলিয়ায় কেন পড়াশোনা করবেন?

  • আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সেরা কয়েকটি স্থানের মধ্যে একটি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।
  •  এখানে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ডিগ্রি প্রদানকারী অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
  •  তুলনামূলকভাবে স্বল্প টিউশন ফি দিয়ে  পড়াশোনা করতে পারবেন।
  • স্বল্প খরচে বাস করতে পারবেন।
  • শিক্ষা খাতে নিত্যনতুন বৈচিত্র্য দেখতে পাবেন।
  • পড়ালেখার পাশাপাশি কাজ করার সুযোগ পাবেন।
  • অনেক ধরনের কোর্স থেকে নিজের পছন্দমতো কোর্স বাছাই করে পড়তে পারবেন।

কোন ধরনের ভিসা নির্বাচন করবেন?

অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করে ক্যারিয়ার গড়ে তোলার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসা প্রচলিত আছে। অস্ট্রেলিয়ায় মূলত তিন ধরনের স্টুডেন্ট ভিসা প্রচলিত। এই তিন ধরনের ভিসা থেকে আপনার প্রয়োজনমতো ভিসা বাছাই করে সেটির জন্য অ্যাপ্লাই করতে হবে।

স্টুডেন্ট ভিসা (সাবক্লাস ৫০০)

এই ধরণের ভিসায় একজন রেজিস্টার্ড শিক্ষার্থী যেকোনো ধরনের কোর্স করতে পারবেন। এই ধরণের ভিসা পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীর বয়স কমপক্ষে ছয় বছর হতে হবে। এছাড়া যেকোনো অস্ট্রেলিয়ান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পেতে হবে এবং স্বাস্থ্য বীমা থাকতে হবে। এ ধরনের স্টুডেন্ট ভিসায় কোন স্পন্সরের দরকার পড়বে না।

এ ধরনের ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই ভিসা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে পড়ালেখার পাশাপাশি পার্ট টাইম চাকরিও করতে পারবেন। আপনার ভিসার আবেদন ফর্মে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের নাম উল্লেখ করে দিতে পারেন কিংবা চাইলে তাদের জন্য আলাদা করেও ভিসার আবেদন করাতে পারেন। এই স্টুডেন্ট ভিসায় ৩০০০০ থেকে ৩৫০০০ টাকার মতো খরচ হতে পার।

{ "slotId": "", "unitType": "in-article", "pubId": "pub-6767816662210766" }

স্টুডেন্ট গার্ডিয়ান ভিসা (সাবক্লাস ৫৯০)

এ ধরনের ভিসা পেতে হলে আপনার পরিবারবর্গের কোনো সদস্যকে পূর্বেই অস্ট্রেলিয়ার অধিবাসী হতে হবে। এছাড়া পড়ালেখার খরচ ও বাসস্থান খরচ ওঠানোর মতো যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ থাকতে হবে ও কমপক্ষে ২১ বছর বয়সী হতে হবে। স্পন্সর ছাড়াও এ ধরনের ভিসার আবেদন করা যায়।

এ ধরনের ভিসা সর্বোচ্চ পাঁচ বছর মেয়াদি হয়ে থাকে। পড়ালেখার পাশাপাশি পার্ট টাইম ও ফুল টাইম চাকরিও করতে পারবেন। পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের জন্য আলাদা আলাদা ভিসার আবেদন করতে হবে। এই স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করতে ৩০০০০ টাকা থেকে ৩৫০০০ টাকার মতো খরচ হতে পার।

স্পেশাল ক্যাটাগরি স্টুডেন্ট ভিসা (সাবক্লাস ৪৪৪)

এই  ভিসা পেতে হলে আপনার পরিবারের যেকোনো সদস্য বা আত্মীয়স্বজনকে নিউজিল্যান্ডের অধিবাসী হতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য বীমাও থাকতে হবে। ভিসার আবেদন করার জন্য স্পন্সরের দরকার পড়বে না।

এ ধরনের ভিসার কোন মেয়াদ থাকে না। পড়ালেখার পাশাপাশি যেকোন ধরণের চাকরিও করতে পারবেন। পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের জন্য আলাদা কোন ভিসার আবেদন করতে হবে না। এছাড়া এই ভিসায় আবেদন করতে কোনো ধরনের খরচ হয় না।

ভিসার আবেদন করার জন্য ইন্টারনেট থেকে ভিসার আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করতে পারবেন অথবা যেকোন ট্র্যাভেল এজেন্সি থেকেও ভিসা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান পাবেন। এছাড়াও ভিসা সংক্রান্ত যেকোন তথ্যের জন্য ভিসা সম্বন্ধীয় ফর্ম ডাউনলোড করতে পারেন।

যেভাবে ভিসার জন্য আবেদন করবেন

প্রথম ধাপ

স্টুডেন্ট ভিসার ধরন নির্বাচন করে, ভিসার আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করুন। তারপর সেটা পূরণ করে অনলাইনেই আবেদন করুন। উল্লেখ্য যে, আপনি যেকোন ট্র্যাভেল এজেন্সি অথবা অস্ট্রেলিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার থেকেও ভিসার আবেদন ফর্ম সংগ্রহ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আলাদা সার্ভিস ফি প্রযোজ্য।

দ্বিতীয় ধাপ

আবেদন করার পর, বিভিন্ন সাপোর্টিং ডকুমেন্টেশন ভিসার আবেদন ফর্মের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। সাপোর্টিং ডকুমেন্ট ওয়েবসাইট থেকে স্ক্যান করাতে হবে।

তৃতীয় ধাপ

আপনাকে যেকোনো ধরনের অস্ট্রেলিয়ান স্টুডেন্ট ভিসার জন্য ইমি অ্যাকাউন্ট (ImmiAccount) করতে হবে। অনলাইনে আপনার সকল সাপোর্টিং ডকুমেন্ট স্ক্যান করা হবে এই ইমি অ্যাকাউন্টের দ্বারা। ইমি অ্যাকাউন্টকে অনলাইন ভিসা অ্যাসিস্ট অ্যাকাউন্টও বলা হয়ে থাকে।

চতুর্থ ধাপ

অস্ট্রেলিয়ান ভিসা অফিসে সকল ধরনের সাপোর্টিং ডকুমেন্টের কপি জমা দিতে হবে। যদিও এই ধাপটি সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। আপনার ভিসা আবেদন ফর্মের সাথে সাপোর্টিং ডকুমেন্টে যদি কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে সে সমস্যার সমাধান করার জন্যই আপনাকে ভিসা অফিসে যেতে হবে।

{ "slotId": "2452885053", "unitType": "in-article" }

ভিসার আবেদন করার জন্য কী কী সাপোর্টিং ডকুমেন্টের দরকার পড়বে?

ভিসার আবেদন করার জন্যে যেসকল সাপোর্টিং ডকুমেন্টের দরকার পড়বে সেগুলো হচ্ছে,

  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে  চিঠি
  • জেনুইন টেম্পোরারি এন্ট্রান্ট (জিটিই)
  • ব্যাংক ব্যালেন্সের প্রমাণপত্র
  • স্বাস্থ্য বীমা (ওএসএইচসি)
  • ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণপত্র/ আইইএলটিএস (IELTS) স্কোর
  • অপরাধমূলক ও ফৌজদারী কাজের প্রমাণপত্র
  • ভিসার আবেদন ফর্ম
  • চারটি পাসপোর্ট আকারের ছবি
  • বৈধ পাসপোর্ট
  • ভিসা এনরোলমেন্টের ইলেকট্রনিক কনফার্মেশনের স্ক্যান কপি
  • একাডেমিক ও কাজের অভিজ্ঞতার ডকুমেন্ট

ভিসা আবেদন করার পরে কী করতে হবে?

অস্ট্রেলিয়ান স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করার পর, আপনার জন্মদিন ও ভিএলএন নাম্বার দিয়ে ভিসার অবস্থান ট্র্যাকিং করতে পারবেন। ভিসার অবস্থান ট্র্যাকিং করার জন্য এখানে ক্লিক করুনঅনলাইন অ্যাপ্লিকেশন সাবমিশন সম্পর্কেও এখান থেকে জানতে পারবেন।

ভিসা ও ভর্তির প্রসেসিং হওয়ার জন্য কমপক্ষে ৮০ থেকে ৯০ দিন লাগতে পারে। অনলাইনে ভিসার আবেদন করার জন্য সর্বোচ্চ ৩০০০০ টাকা থেকে ৩৫০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। অনলাইন ভিসা অ্যাসিস্ট বা ইমি অ্যাকাউন্ট করার জন্য ১০০০ টাকা থেকে ১৩০০ টাকা খরচ হবে। বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্টের জন্য ২৫০০ টাকা থেকে ২৮০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

{ "slotId": "2452885053", "unitType": "in-article" }

Related image

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *