এটা ঠিক যে “ক্লাউড” শব্দটি না পড়ে বা শুনে আধুনিক যুগে একটি কারিগরি বাণিজ্য পত্রিকা পড়া বা এক ঘণ্টার বেশি টিভি প্রোগ্রাম দেখা প্রায় অসম্ভব। আমরা কম বেশি সবাই জানি ক্লাউড কী? তাই না? সাধারণভাবে ক্লাউড অর্থ মেঘ। কিন্তু এক্ষেত্রে অর্থটা ভিন্ন। তাহলে কি তথ্য জমা রাখার একটা ব্যবস্থা যা বাতাসের মাধ্যমে আদান প্রদান হয়? হ্যাঁ, ঠিক আছে, তবে বিষয়টি আরও একটু জটিল।
তাহলে ক্লাউড কী?
মৌলিকভাবে ক্লাউড কম্পিউটিং মানে একটি মেশিনের সীমিত শক্তির পরিবর্তে অনেকগুলো মেশিনের শক্তি সংযুক্তির মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণ ও পরিচালনা করা বোঝায়। এজন্য অনেকগুলো সার্ভার এবং রাউটার একসাথে এক জায়গায় বসাতে হয়, অনেকটা গুদাম ঘরের মতো। যাতে করে সারা বিশ্বের মানুষজন তাদের তথ্য সংরক্ষণ এবং আদান প্রদান করতে পারে।
প্রাথমিক পর্যায়
ক্লাউড একটি শব্দ বা ধারণা যা এখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। আপনি যদি সবাইকে জিজ্ঞেস করেন কবে থেকে এটি শুরু হয়েছে? তাহলে তারা হয়ত বলবে ২০০৩ কিংবা ২০০৪ এই সময়ে। কিন্তু কমপ্যাক কম্পিউটারের ইঞ্জিনিয়ারদের ১৯৯৬ সালে কিছু ফ্রেসব্যাক যুক্ত নথিপত্র ছিল। তখন ক্লাউডের প্রথম ব্যবহার হয়। গুগলের এরিক স্মিথ ২০০৬ সালে এগুলো কিনে নেয় এবং পরবর্তী সময়ে ক্লাউড ব্যবসার মডেল হয়ে যায়। যখন আপনি আপনার মোবাইল থেকে গুগল ম্যাপে প্রবেশ করেন কিংবা গুগল ডকুমেন্টে প্রবেশ করেন তখন আসলে আপনি গুগল ক্লাউডে প্রবেশ করছেন। তখন আপনার প্রয়োজন মতো তথ্য গুগল তাদের ক্লাউড থেকে আপনার সামনে উপস্থাপন করে। মাইক্রোসফট ক্লাউডের আরও এক বড় খেলোয়াড়। সম্প্রতি তারা তাদের অফিস ৩৬৫ তে ক্লাউড ফিচার যুক্ত করেছে।
ক্লাউড নিরাপত্তা
যে কোনো প্রযুক্তির ব্যবহারের জন্য কিছু নিয়মকানুন থাকে, ক্লাউড প্রযুক্তিরও কিছু আছে। এগুলোর মধ্যে একটা ব্যপার হলো নিয়ন্ত্রণ। যখন ক্লাউড বেস সিস্টেম সরানো হয় তখন সার্ভিসদাতা কোম্পানি কিছু কিছু জিনিসের উপর নিয়ন্ত্রণ দিয়ে থাকে। যখন এতে কিছু ঝুঁকি থাকে সঙ্গে সঙ্গেই এটি অনুমতি চেয়ে থাকে। তাছাড়া হার্ডড্রাইভ চুরি/নষ্ট/ কিংবা ভেঙ্গে যাওয়া, সার্ভার ঘর প্লাবিত হওয়া বা অভারহিট হওয়া এই সমস্যাগুলোও হয়ে থাকে।
এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মুলত অনেক ব্যবহারকারীর তথ্য জমা রাখা ও আদানপ্রদান করা যায়। এছাড়া ব্যবহারকারী পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে যে কোন ডিভাইস দিয়ে তার সকল তথ্য দেখতে, পরিবর্ধন কিংবা পরিমার্জন করতে পারে।
তথ্যসূত্রঃ business2community.com