প্রথম বিশ্ব খেতাব জেতেন। পরে তিনি প্রথম বক্সার হিসেবে তিনবার বিশ্ব হেভিওয়েট শিরোপা জেতেন।
‘আমিই সেরা’, দাবি করেছিলেন আলি। তার এই দাবির সঙ্গে দ্বিমত করা মানুষের সংখ্যা কমই। আলি ছড়া কাটতেন, ‘আমি প্রজাপতির মতো উড়ি আর মৌমাছির মতো হুল ফোটাই’। বক্সিং রিংয়েও তা করে দেখিয়েছেন তিনি।
১৯৮১ সালে পেশাদার বক্সিং থেকে অবসর নেওয়ার আগে ৬১টি পেশাদার লড়াইয়ের মধ্যে ৫৬টিতে জেতেন আলি। এর মধ্যে ৩৭টি লড়াইয়ে প্রতিপক্ষকে নকআউট করেছেন তিনি। নিজে একবারও নকডআউট হননি।
‘শতাব্দীর সেরা ক্রীড়াবিদ’ হিসেবে খেতাব পাওয়া আলি শুধু বক্সিংয়ের রিংয়েই দুর্দান্ত ছিলেন না, ম্যাচের আগে-পরে কথাবার্তাতেও ছিলেন পটু। তিনি ছিলেন একজন মানবাধিকার কর্মী যিনি খেলা ও জাতীয়তার সীমা ছাড়িয়ে পুরো বিশ্বে পরিচিত হয়ে ওঠেন।
রোম অলিম্পিকের পর আলি পেশাদার জগতে পা রাখেন। ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৭, ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৮ ও ১৯৭৮ থেকে ১৯৮০ সালের শুরু পর্যন্ত তিনি বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন ছিলেন।
লিস্টনের সঙ্গে প্রথম লড়াইয়ের আগে থেকেই তখনও ক্যাসিয়াস ক্লে নামেই পরিচিত আলি নেশন অব ইসলাম নামে একটি সংস্থার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন, যাদের উদ্দেশ ছিল যুক্তরাষ্ট্রে আফ্রিকান আমেরিকানদের সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন করা। পরে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং নাম বদলিয়ে রাখেন মুহাম্মাদ আলি।
১৯৬৭ সালে ভিয়েতনামে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ নেওয়ার বিরোধিতা করে দেশে সমালোচনার মুখে পড়েন আলি। তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে অস্বীকার করায় তার বিশ্বচ্যাম্পিয়নের খেতাব ও বক্সিং লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া হয়। তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডও দিয়েছিল আদালত তবে আপিলে তা নাকচ হয়ে যায়।
Collected