দু’ম্যাচে ১৯ উইকেট, ১২৯ বছরের বিশ্বরেকর্ড ভাঙলেন মিরাজ

ম্যাচের সেরা তো বটেই। সিরিজেরও সেরার শিরোপা উঠল মিরাজেরই মাথায়। অভিষেক সিরিজ জুড়েই শুধু থাকলেন মেহেদি হাসান মিরাজ।

প্রথম টেস্টে অল্পের জন্য হারের পর থেকেই আফসোসটা ঘর করে বসেছিল মিরাজের মনে। ওটাই ছিল তাঁর প্রথম টেস্ট। অভিষেকেই প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন ১৮ বছরের এই বিস্ময় বালক। কিন্তু সেই খুশি হারিয়ে গিয়েছিল দলের হারের সঙ্গেই। কারণ ব্যাট হাতে যে কিছুই করতে পারেননি তিনি। সেই আফসোস মিটিয়ে নিলেন দ্বিতীয় টেস্টে। না ব্যাটে তাঁকে কিছু করতে হয়নি। বল হাতে বাজিমাত করে গেলেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক। নাম লিখিয়ে ফেললেন বিশ্ব ক্রিকেটে।  টেস্ট কেরিয়ারের শুরুর দুই টেস্টে সর্বোচ্চ ১৯ উইকেট নিয়ে বাজিমাত খুলনার ছেলের।

অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসেই ছ’উইকেট। ৩৯.৫ ওভার বল করে সাতটি মেডেন ও ৮০ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ছ’উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে এসেছিল এক উইকেট। কিন্তু হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় টেস্টে বল হাতে একইভাবে শুরু করেছিলেন মিরাজ। এ বার যেন আত্মবিশ্বাসটা আরও বেড়ে গিয়েছিল। আবারও প্রথম ইনিংসে ছ’উইকেট। ২৮ ওভারে দুটো মেডেনসহ ৮২ রান। এ বার অবশ্য এখানেই শেষ নয়। দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও ছয়। তিন ইনিংসে বল হাতে ছক্কা হাঁকিয়ে বিশ্বরেকর্ডেও নাম লিখিয়ে ফেললেন তিনি। অভিষেক দুই টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড করে ফেললেন তিনি। দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের উইকেটটিও এল তাঁরই বলে। ২১.৩ ওভারে দুটো মেডেন ও ৭৭ রান দিয়ে নিলেন ছ’উইকেট। মোট ১৯ উইকেট নিয়ে ছাপিয়ে গেলেন অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, জিম্বাবোয়ের বোলারদের। ১২৯ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিলেন বাংলাদেশের এই বিস্ময় বালক।

অভিষেক দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট নেয়ার রেকর্ড

নাম                             দল              প্রতিপক্ষ           উইকেট        গড়

মেহেদি হাসান মিরাজ    বাংলাদেশ           ইংল্যান্ড           ১৯          ১৫.৬৩
জন জেমস ফেরিস        অস্ট্রেলিয়া          ইংল্যান্ড           ১৮          ১৩.৫০
চার্লি টার্নার                অস্ট্রেলিয়া          ইংল্যান্ড           ১৭           ৯.৪৭
অ্যাডাম হাকলি           জিম্বাবুয়ে          নিউজিল্যান্ড       ১৬          ২৩.১৮
টম কেন্ডাল                অস্ট্রেলিয়া          ইংল্যান্ড            ১৪          ১৫.৩৫
স্কলিফিল্ড হাই              ইংল্যান্ড          দক্ষিণ আফ্রিকা     ১৪           ১৫.৭১

 

সূত্র : আনন্দবাজার

Youth Carnival: