সাধারনত একজন ছাত্র শিক্ষাজীবনে যা অধ্যয়ন করে কর্মক্ষেত্রে তা কার্যকর করা হয় না। কর্মক্ষেত্র একটি ভিন্ন জগত যেখানে সবকিছুরই ব্যবহারিক রূপ দিতে হয়। কেউ যদি নতুন করে বাণিজ্যিক জগতে প্রবেশ করে এবং তার যদি ধারনা কম থাকে তাহলে নিজেকে সাহায্য করার জন্য নিম্নোক্ত বইগুলো পড়তে পারেনঃ
“সো গুড দেয় কান্ট ইগনোর ইউ” এবং “জিরো টু ওয়ান”-
কিভাবে আপনি নিজের কাজ অথবা ব্যবসা শুরু করবেন সেই ধারনাগুলো কেল নিউপোর্ট রচিত “সো গুড দেয় কান্ট ইগনোর ইউ” এবং পিটার থিল রচিত “জিরো টু ওয়ান” এই বইগুলোতে উপদেশ আকারে দেওয়া আছে। এমনকি নিজের সুদূরপ্রসারী স্বপ্নকে কিভাবে বাস্তবায়ন করবেন সে কথাও এই বইগুলোতে আছে।
“দি ব্ল্যাক স্যোয়ান”, “থিঙ্ক এন্ড গো রিচ”, “স্ট্রেংথ ফাইন্ডার ২.০”, “দি ইন্টিলিজেন্ট ইনভেস্টর”–
কিভাবে অল্প সময়ে অনেক ধরনের কাজ করা যায় এর উপর ভিত্তি করে নাসিম তালেব “দি ব্ল্যাক স্যোয়ান” বইটি লিখেছেন। বাণিজ্যের জগতে প্রবেশের পরপরই কিভাবে অল্প সময়ে পেশাগত যোগ্যতা অর্জন করা যায় তার কথা বলা হয়েছে নেপোলিয়ান হিলের লিখিত “থিঙ্ক এন্ড গো রিচ” বইটিতে। টম রাথ “স্ট্রেংথ ফাইন্ডার ২.০” বইটিতে বর্ণনা করেছেন কিভাবে শুরু থেকেই নিজের কাজের সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় এবং নিজের দুর্বলতাগুলোকে কিভাবে নিজের দক্ষতায় পরিণত করা যায়। কিভাবে কম সময়ে বেশি উপার্জন করা যায় তার কথা বলা হয়েছে ব্যাঞ্জামিন গ্রাহামের লিখিত “দি ইন্টিলিজেন্ট ইনভেস্টর” বইটিতে।
“লীন ইন” এবং “গার্লবস”-
মেয়েদের পেশাগত জীবনে কিভাবে চলতে হয়, কিভাবে কাজ করলে সফল হওয়া খুব সহজ এবং কিভাবে সর্বদা নিজেকে উন্নতির দিকে ধাবিত করা যায় তার উপর জোড় দিয়ে লিখা হয়েছে শেরিল স্যান্ডবার্গ এর “লীন ইন” বইটি। একজন মেয়ে কিভাবে তার পেশাগত জীবনে নিজেকে অনেক বেশি স্বতঃস্ফূর্ত করে তুলতে পারবে তার বর্ণনায় দিয়েছেন সোফিয়া অ্যামোরুসো তার “গার্লবস” বইয়ে।
“দি পাওয়ার অব হেভিট”-
চার্লস ডিউহিগ এর এই বইটিতে বর্ণনা করা হয়েছে কিভাবে কাজের পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত জীবনে ভাল, সুস্থ ও সুন্দর থাকা যায়। কারণ ব্যক্তিগত জীবনের ভাল থাকার উপর নির্ভর করে পেশাগত জীবনে মনোনিবেশের ব্যাপারটা।
“গিভ এন্ড টেক”, “হাও টু উইন ফ্রেন্ডস এন্ড ইনফ্লুয়েন্স পিপল”, “কুয়াইট”-
আদম গ্র্যান্ট তার “গিভ এন্ড টেক” বইটিতে বলেছেন কিভাবে গবেষণাধর্মী কাজ করে নতুন কিছু উদ্ভাবন করা যায় যেন সহকর্মীদের কাছে একজনের তার গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায়। ডেল কার্নিগ লিখিত “হাও টু উইন ফ্রেন্ডস এন্ড ইনফ্লুয়েন্স পিপল” বইয়ে বলা হয়েছে কিভাবে একজন তার কাজের মাধ্যমে তার সহকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবে এবং কিভাবে নিজের উপস্থাপনার মাধ্যমে অন্যদের কাজের প্রতি উৎসাহিত করবে। কারণ এইগুলো একজন ভাল কর্মকর্তা হতে সাহায্য করে। উল্লেখিত বইগুলোর মত সুশান চেইনও তার “কুয়াইট” বইটিতে বলেছেন কিভাবে নিজেকে একজন ভাল কর্মকর্তা হিসেবে গড়ে তোলা যায়।
“প্রিডিক্টেবলি ইরেশনাল”-
ডেন এরিলির এই বইয়ে বলা হয়েছে কিভাবে বোঝা যাবে পেশাগত জীবনে সহকর্মীদের ব্যবহার কেমন এবং কার কথায় জটিলতা ও কার সাথে কাজ করা উচিত।
“চুজ ইউরসেল্ফ”, “ক্রিয়েটিভিটি,ইঙ্ক”-
নিজের দক্ষতা কিভাবে অর্জন করতে হয় এবং কিভাবে কাজ করলে সফল হওয়া যায় সে কথাই বলা হয়েছে জেমস আলটাচারের “চুজ ইউরসেল্ফ” বইয়ে। নতুন কিছু উদ্ভাবনের মাধ্যমে কিভাবে নিজেকে আরও বেশি সাবলীল করে তোলা যায় তার কিছু বর্ণনা আছে ইড ক্যাটমালের “ক্রিয়েটিভিটি,ইঙ্ক” বইটিতে।
“নেভার ইট এলোন”, “মাইন্ডসেট”-
কাজের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনের সম্পর্কগুলো সুন্দর আছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখার কথা বলেছেন কিথ ফেরাযযি তার “নেভার ইট এলোন” বইটিতে। কিভাবে পেশাগত জীবন ও ব্যক্তিগত জীবনের সামঞ্জস্য রেখে নিজেকে পরিচালনা করতে হবে সে কথাগুলো বলা হয়েছে ক্যারল ডুয়েকের “মাইন্ডসেট” বইয়ে।