সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে প্রথম ধাপে আবেদনকারী প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ) আগামী ২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের দ্রুত ভাইভা নেওয়ার পর আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এ ধাপের প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে চায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেছেন, প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা ২৪ নভেম্বর নেওয়ার পর দ্রুত ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর মৌখিক পরীক্ষাও শুরু করে দেওয়া হবে। প্রথম ধাপের মৌখিক পরীক্ষা চলমান অবস্থায় দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার পর তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষার তারিখ প্রকাশ করা হবে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ৩১ জানুয়ারির মধ্যে প্রথম ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের নিয়োগপ্রক্রিয়া আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের।
নিয়োগপ্রক্রিয়ায় গতি আনতে এবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য তিনটি ধাপ করা হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এসব বিভাগে আবেদনের শেষ সময় ছিল গত ২৪ মার্চ।
তিন ধাপে সহকারী শিক্ষক পদে আবেদন করেছেন ১১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৩১ জন। এর মধ্যে প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০ জন চাকরিপ্রার্থী।
সহকারী শিক্ষক পদে প্রথম ধাপে লিখিত পরীক্ষা পরিচালনার জন্য বিভাগগুলোর কেন্দ্রের সংখ্যা ও প্রার্থী ধারণক্ষমতার তথ্য জানতে চেয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে চিঠি দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ইতিমধ্যে লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের জন্য বিভাগগুলোয় কেন্দ্রসংখ্যা ও কেন্দ্রগুলোয় সর্বোচ্চ পরীক্ষার্থী ধারণক্ষমতার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে আগের মতো এবারও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) পরীক্ষা ব্যবস্থাপনায় থাকবে। এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়ার পর দ্রুত ফল প্রকাশ করা হবে। এবার বিভাগ ধরে ধরে আলাদাভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করায় মৌখিক পরীক্ষা শেষ করতেও বেশি সময় লাগবে না। তাই দ্রুত চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে।