অনেকদিন আগের কথা, দু‘জন লোক একসাথে রেলরোড তৈরির কাজ করতেছিলো, তো প্রচন্ড গরমে তারা রেলরোড থেকে বাহিরে বিশ্রাম করতেছিলো। একজন মানুষ কার ড্রাইভ করতেছিলো তাদের পাশের রাস্তা দিয়ে , যদিও সে কারের জানালা নামিয়ে রেখেছিলো ! কিন্তু এসি এর শব্দের জন্য বাহিরের শব্দ শুনা যাচ্ছিলো না। সে চিৎকার করে বললো, হেই তুমি টম না ? টম ওই দুই জনের মধ্যে একজন, যারা রেল রোডে কাজ করছিলো ! টম প্রতি উত্তরে , হেই ক্রিস তোমাকে দেখে আমার অনেক ভালো লাগছে ! আহা ! হবেই তো ২০ বৎসর পর ! কেমন আছো ক্রিস ? তারা কিছুক্ষন বিভিন্ন কথা বললো নিজেরদের মধ্যে এবং একসময় ক্রিস ড্রাইভ করে চলে গেলো।
যখন ক্রিস চলে গেলো, তখন টমের সঙ্গী টমকে জিজ্ঞেস করলো ” আচ্ছা টম আমি যতটুকু জানি যে ব্যক্তি চলে গেলো সে এই রেলরোডের মালিক এবং তার সম্পদের পরিমান বিলিয়ন ডলার” , কিন্তু তোমার সাথে কিভাবে পরিচয় তার? টম তখন তার দিকে ঘুরে বললো শুনো, আমি আর ক্রিস একসাথে রেলরোডের কাজ করতাম, এই একই দিনে ২০ বৎসর আগে ! আমার আর ক্রিসের মধ্যে একমাত্র ডিফারেন্সটা হলো আমি কাজ করতে আসতাম $১.২৫/ঘন্টা এবং সে আসতো এই রেলরোডের জন্য !!!
Perspective. Aspiration. Ambition. এই তিনটা শব্দই আলাদা করে দেয় কে আসে পে চেকের জন্য আর কে আসে ওয়ার্ল্ড কে বদলাতে দিতে !
তো কামিং বিগ ডাটা ইরা আসলে টেকনোলজি ওয়ার্ল্ডে সবার জন্যই একটা চান্স, যারা ক্যাচ করতে পারবে তারা উঠে আসবে তাছাড়া বাকিরা ছিটকে পড়বে !!! বিগ ডাটা আসলে অনেক বড় একটা আশীর্বাদ কোম্পানিগুলোর জন্য এবং এমনকি নিজেদের জন্যও , যারাই আমরা ইন্টারনেট এবং টেকনোলজি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।
চলুন একটু স্টেপ ব্যাক করি এবং দেখে নেই, টেকনোলজি ওয়ার্ল্ড কিভাবে চেঞ্জ হয়ে হয়ে গেছে গত শতাব্দী থেকে :
১. ৮০ ভাগ ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন এখন আনস্ট্রাকচার্ড।
২. আনস্ট্রাকচার্ড ডাটা স্ট্রাকচার্ড ডাটা থেকে ১৫X ভাবে বেড়েই চলছে।
৩. ইনফরমেশনগুলো এক্সেস পাওয়া যেন সবার গণতান্ত্রিক অধিকার হয়ে দাঁড়িয়েছে , মানে সবার জন্য ইনফরমেশন গুলা এভেইল্যাবল।
৪. ২০২০ সালের মধ্যে ডাটা ক্রিয়েটিং রেট হবে ৪৪ ট্রিলিয়ন গিগাবাইটস। [ফোর্বস ]
এগুলো নতুন কি ! নরমাল ব্যাপার। আচ্ছা এখন আসি যারা আমরা ইনভেস্টমেন্ট করেছি গত দশকে তাদের কি লস খেতে হবে ওর সব ইনভেস্টমেন্টই কি ব্যর্থ ? অবশ্যই না ! এখনও আমাদের রিলেশনাল ডাটা স্টোর এবং ওয়্যারহাউস দরকার , কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনেক বেশি এক্সপ্যান্ড করতে হবে আরো। আমাদেরকে বিগ ডাটা টেকনোলজির সাথে ট্রাডিশনাল টেকনোলজিকে কম্বাইন করে বেটার বেনিফিট খুঁজতে হবে !
ধরুন, সামনে খুব কাছের এক বন্ধুর জন্মদিন ,ভাবছেন একটা গিফট না দিলে কি আর হয় ! সোজা চলে গেলেন বসুন্দরায় ইনফিনিটিতে । আপনি আপনার বন্ধুকে সারপ্রাইজ দিতে চান, কিন্তু তার বডি ফিটনেস জানেন না। Don’t worry !!! 😀 just enter his Picture. Computer will predict his exact size which will be fit about himself.
ওকে, বন্ধুর জন্য না নিজের জন্য কিনতে চান ।তাহলে, ড্রেসটা ফিট আছে কিনা এর জন্য previous dress খুলে এগাইন পরে চেক করে নেওয়াটা একটা বিরক্তের কাজ ! সো হোয়াট, আপনাকে কিছুই করতে হবে না জাস্ট কম্পিউটারে আপনার পছন্দের ড্রেসটাতে ক্লিক করবেন আর সামনে VR or Monitor এ একদম থ্রিডি ইমেজ দেখবেন । আর ভাবতে হবে না ড্রেসটা মানাবে কিনা !!!! দেন কম্পিউটারেই চেক আউট করে বের হবেন এবং দেখবেন আপানার প্যাকেট আপনার জন্য রেডি 😀
চালু করা টিভির সামনে এক দম্পতি ঝগড়া করাতে পরবর্তী কমার্শিয়াল ব্রেকে চলে আসলো স্থানীয় ম্যারেজ কাউন্সিলরের বিজ্ঞাপন–আপনি কি ডিভোর্স নিয়ে চিন্তিত !!! ভেরাইজন তার পেটেণ্ট ডাটাবেসে এই প্রযুক্তি পাশ করিয়ে নিয়েছে বেশ আগে।
ধরেন যমুনা ফিউচার পার্কে ফ্র্রিল্যান্ডের শোরুম পার হয়ে চলে যাচ্ছেন একটা শার্ট মনে ধরলো আপনার। দামটাই মনকে সায় দিলো না বরং আর একটু কম হতে পারতো । হাঁটতে শুরু করলেন আগের মতো। আপনি হয়তোবা জানেন না যে জানালাতে লাগানো ওয়াইফাই সেন্সর আপনার স্মার্টফোনতাকে স্ক্যান করে নিয়েছে এর মধ্যে অথবা আপনার মোশন কে ডিটেক্ট করেছে। কতোজন দাড়িয়েছিলেন সেই ডিসপ্লের সামনে, কতোজন এরপর দোকানে ঢুকেছেন আর কতোজন ঢোকেননি – তার কাউন্ট ডাউন চলে যাচ্ছে ফ্রীল্যান্ডের ডাটাবেসে । কতোক্ষণ দাড়িয়েছিলেন ক্রেতা তার উপর নির্ভর করছে দামটা যুতসই হয়েছে কিনা। ব্র্যান্ডগুলো যদি এটাই না বের করতে পারে তাহলে বিক্রি ব্যবসায় কেনো নামছে তারা ?
আমি বিগ ডাটা টেকনোলজির সাথে পার্টিসিপেট করতেছি কারণ , আমি জানি আমরা টেকনোলজি ওয়ার্ল্ড কে সম্পূর্ণ বদলে ফেলতে পারি , যা কিনা অনেক পরিতৃপ্তি দিবে আমাকে ওই $১.২৫/ঘন্টা ইনকাম করার চেয়ে। ?
So guys, Welcome to the era of Big Data.
Data Science Enthusiast
Dept. of Software Engineering
Daffodil International University
বিগ-ডাটা এবং ডাটা-সায়েন্স এর মধ্যে পার্থক্য কী ? ডাটা-সায়েন্স এর উপরে বাংলাদেশে কি কোন কোর্স আছে ?
জানালে খুব উপকৃত হতাম ।
তাই বাংলাদেশের তরুণদের দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে ইয়ুথ কার্নিভাল, বাংলাদেশ সায়েন্স সোসাইটি এবং আয়ারল্যান্ড ভিত্তিক বিগডেটা এনালাইসিস কোম্পানি লেন যৌথভাবে শুরু করতে চলেছে ” Online Course in Big Data”.
https://www.facebook.com/events/490025364689435/?acontext=%7B%22ref%22%3A%224%22%2C%22feed_story_type%22%3A%22308%22%2C%22action_history%22%3A%22null%22%7D