বিল গেটসের মতে ভবিষ্যতে চাকরির বাজারে সাফল্যের জন্য তিনটি দক্ষতা অপরিহার্য
ফের কলেজে ভর্তি হতে পারলে পড়াশোনার বিষয়বস্তু হিসেবে বেছে নিতেন আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এনার্জি বা বিদ্যুৎ ও বায়োসায়েন্স। গেলো সোমবার এক টুইটে এমনটা বললেন এ ধনকুবের বিল গেটস। সম্প্রতি মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস তরুণদের দারুণ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তাতে আছে ভবিষ্যতে তারা কী করবেন, কোন পেশায় যাবেন বা কোন বিষয়ে পড়াশোনা করবেন তা নিয়ে নানান পরামর্শ।
আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এনার্জি বা বিদ্যুৎ ও বায়োসায়েন্স । বর্তমানে এ তিন বিষয়কে সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল হিসেবে উল্লেখ করে বিল গেটস বলেন, এ বিষয়গুলোর কোনো একটিতে পড়াশোনা করে বিশাল প্রভাব রাখা যায়। প্রযুক্তি ও অর্থনীতি খাতের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আসছে দু’দশকের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এতটাই পরিবর্তন আসবে যে অনেক প্রতিষ্ঠান কাজের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নেবে। কারখানা, নির্মাণ প্রতিষ্ঠান, এমনকি খুচরা বিক্রির দোকানগুলোতেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহৃত হবে। এ ছাড়া শক্তির উৎস হিসেবে নবায়নযোগ্য শক্তি, যেমন: সৌর ও বায়ুশক্তির ব্যবহার বাড়বে। আসছে ১৫ বছরের মধ্যেই বৈদ্যুতিক খাতে অবিশ্বাস্য পরিবর্তন ঘটবে বলে মনে করেন বিশ্বের সবচেয়ে সম্পদশালী ব্যক্তি বিল গেটস। তিনি বলেন , বায়োটেকনোলজি বা জীবপ্রযুক্তির প্রবৃদ্ধি দ্রুত ঘটছে। অনেক ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান উন্নত ওষুধ তৈরি থেকে শুরু করে চিকিৎসা খাত উন্নত করতে কাজ করছে। তাই এই তিন ক্ষেত্রের যেকোনো একটি এখন বেছে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ১৮ বছর বয়সের তরুণদের জন্য গেটসের পরামর্শ, ‘তোমাদের বয়সে আমি অনেক কিছু করেছি। তোমরাও দ্রুত যেকোনো জায়গা থেকে অসমতার বিরুদ্ধে কাজ শুরু করে দিতে পারো।’