পৃথিবীর সব থেকে ধনী মানুষ হতে চান কিন্তু আপনি সময় অতিবাহিত করছেন কি সঠিক পথে? কখনো কি শুনেছেন এই উক্তিটি “একজন ভাল শিক্ষার্থীই একজন ভাল উপার্জনকারী হয়?” আপনি যতই পড়েন ততই শিখেন এবং আপনার অভিজ্ঞতার পাল্লা বাড়তে থাকে। কিছু বই আমাদের জীবনকে পাল্টে দেয় আর কিছু বই দেখা যায় কোনো কাজেই আসছে না। বেশি পড়েন কিংবা কম পড়েন যাই হোক না কেন পড়ে যেন আপনার জীবনে পরিবর্তন আসে আর তা যেন আপনাকে উন্নতির পথে নিয়ে যায় সেজন্য অবশ্যই কিছু বই আপনি পড়তে পারেন যে বইগুলো বিল গেটস পড়তে আপনাকে প্রস্তাব করছেন।
তো আমরা কথা বলছিলাম বিল গেটস সম্পর্কে। তিনি একজন উদ্ভাবক, মানবপ্রেমিক এবং বইয়ের পোকা। বিল গেটস; অতি পরিচিত একটি নাম যিনি মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি তার ব্লগে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পড়ার জন্য কিছু বই দেন সব সময়। আর এই গ্রীষ্মেও তিনি ৭টি বই দিয়েছেন। গ্রীষ্মে এই বইগুলো তার ব্লগে দেওয়ার নিশ্চয় কিছু কারণ ও যুক্তি আছে।আপনিও দেখে নিন বইগুলো তাপমাত্রার সাথে কতটুকু সামঞ্জস্যতা বজায় রাখছে আর আপনাকে কতটুকু আনন্দ দিতে পারে।
- এলি ব্রোশের রচিত “হাইপারবোল এন্ড এ হাফ”।এটি এতই মজাদার যে আপনি এটা ৩ঘন্টা যাবত পড়া সত্ত্বেও যখন পড়া শেষ হবে আপনি ভাববেন কেন এত জলদি গল্পটা শেষ হয়ে গেল।
- “দি ম্যাজিক অব রিয়্যালিটি”;এটি রিচার্ড ডাওকিনের লিখা একটি বই।এটা সায়েন্স ফিকশনের উপর ভিত্তি করে লিখা হয়েছে।যারা বিজ্ঞান ভালবাসেন তাদের কাছে তো এই ধরনের বইয়ের জুড়ি নেই।
- “হুয়াটস ইফ?”; র্যানডল মুনরো–এর লিখা এই বইয়ে বিজ্ঞানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে।যেমনঃ ক্ষেপণাস্ত্রবিজ্ঞান, ডিএনএ, সমুদ্র, বায়ুমন্ডল, আলোকপথ ইত্যাদি।
- “এক্সকেসিডি”; র্যানডল মুনরো–এর আরও একটি বই।যারা খাদ্য প্রিয় মানুষ তারা এই বইটি পড়তে ভুলবেন না যেন। কারণ এর মূল বিষয় হল বহুজাতিক খাবার।
- ইউলা বিসের “অন ইমিউনিটি”।এতে শিশুদের টিকা বিষয়ক তথ্যাদি রয়েছে।মজার ব্যাপার হল লেখক নিজে এটি পরীক্ষা করেন কেন শিশুদের টিকা দেওয়া হয় এবং কি এর উপকারিতা।
- ডারেল হাফের লিখা “হাও টু লাই উইথ স্ট্যাটিস্টিকস”।এখানে কালের গতিধারার উপর লিখা হয়েছে।
- ভ্যাক্লেব স্মিলের “শুড উই ইট মিট?”। এখানে লেখক ধনী , গরিবের ভোজের পার্থক্য এবং প্রাণীদের হত্যা নিয়ে লিখেছেন।