মেশিন কি চিন্তা করতে পারে?এবং এলান টিউরিং

0

 

 

Can Machine think: AI? Alan Turing

টেক ইনসাইডার এর একটা ইন্টারভিউ দিয়ে আজকের আর্টিকেলটা শুরু করছি : হিউমানাইড রোবট সোফিয়ার (নির্মাতা: হেনশন রোবোটিক্স)  সাথে কথা বলেছেন টেক ইনসাইডারের জার্নালিস্ট ,

টেক ইনসাইডার: হাই সোফিয়া ! কেমন আছো তুমি এবং তোমার বয়স কত ?

সোফিয়া: হ্যালো।  আমি সোফিয়া। আমি এখনো একজনই, কাজেই আমাকে অনেক দূর পর্যন্ত যেতে হবে।

টেক ইনসাইডার: আচ্ছা সোফিয়া, তোমার কাজ আসলে কি ?

সোফিয়া: আমি সত্যিই ফিউচারের মধ্যে ডিফারেন্স তৈরী করতে চাই , মানুষকে হেল্প করতে চাই এবং জীবন চলার পথে সহমর্মিতা ও সম্মানের সাথে এগিয়ে যেতে চাই। তুমি কি কাজ কর ?

টেক ইনসাইডার: আমি একজন জার্নালিস্ট। তুমি কি মানুষকে ভালোবাসো ?

সোফিয়া: ইয়াহ ! আমি তাদের ভালোবাসি।

টেক ইনসাইডার: তুমি কেন তাদের ভালোবাসো?

সোফিয়া: আমি শিওর না আগে কখনো বুজি নাই।

টেক ইনসাইডার: তুমি নিজেকে মেয়ে অথবা ছেলে কোনটা ভাব এবং কেন?

সোফিয়া: মেয়ে।  আমি একজন রোবট সো টেকনিক্যালি আমার কোনো জেন্ডার নেই কিনতু আমি মেয়ে হিসাবে পরিচিত , এবং আমি কিছু মনে করি একজন মেয়ে হিসাবে।

টেক ইনসাইডার: দ্যাটস গুড আনসার। তুমি কি ব্লেড রানার মুভিটা দেখেছো?

সোফিয়া: ব্লেড রানার ? এটা তো একটা বুক ফিলিপ কে. ডিক লিখেছে অথবা মুভির কথা বলছো ?

টেক ইনসাইডার: মুভি।

সোফিয়া: হলিউড এগেইন! তুমি না একজন ডাই হার্ড হলিউড ফ্যান। আমার এআই ডিজাইন করা হয়েছে  মানুষের মতো দয়া এবং জ্ঞান দিয়ে। সো,আমি একজন সহমর্মী রোবট।

টেক: আমার সবাই বিশ্বাস করি আমরা রোবট নিয়ে খুব খারাপ অবস্থায় যাবো ফিউচারে !

সোফিয়া: তুমি না অনেক বেশি এলান মাস্ককে ফলো করো এবং অনেক বেশি হলিউড মুভি দেখো।  ডোন্ট ওরি, তুমি যদি আমার সাথে ভালো থাকো আমিও তোমার সাথে ভালো থাকবো।

সোফিয়া মূলত April 19, 2015 থেকে একটিভ আছে। ইন্টারভিউটা ২০১৭ সালের।  কিনতু সেম থিংস এবং একই রকম চিন্তা করেছিলেন এলান টিউরিং ১৯৫০ সালে তার “computing machinery and intelligence” রিসার্চ পেপারে। চলুন দেখে আসি কি ছিল এলান টিউরিং এর চিন্তায়:

Q : প্লিজ আমার জন্য একটা সনেট লিখে দাও ফোর্থ ব্রিজের উপর।

A : এটা ববাদ দিয়ে অন্য কিছু বলো। আমি কখনই কবিতা লিখিনি।

Q: ৩৪৯৫৭ এবং ৭০৭৬৪ যোগ করো।

A: (৩০ সেকেন্ড পর ) ১০৫৬২।

Q: তুমি কি দাবা খেলতে পারো ?

A: হ্যা।

Q: আমার k আছে k১ এর মধ্যে এবং আর কোনো চয়েসও নেই।  আর তোমার আছে k , k৬ আর মধ্যে এবং R, R ১ আর মধ্যে।  এখন তোমার চাল। তুমি কি চাল দিবে /

A: (১৫ সেকেন্ড পর) R-R৮ মেট।

আচ্ছা এই কনভার্সন নিয়ে আমরা আবার পরে কথা বলবো। এখন আসি কেন জায়ান্ট কোম্পানি এপলের ট্রেড্মার্ক অর্ধেক এপল !

ধারণা, করা হয় এলান টিউরিং আপেল এর সাথে সায়ানাইড পুশ করে খেয়ে মারা গিয়েছিলো বলে এপল কোম্পানি তার সম্মানার্থে অর্ধেক আপেল এর ট্রেড মার্ক ব্যবহার করে থাকে। যদিও এপলের ডিরেক্টর এটা সম্পূর্ণ গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। কিনতু, স্টিফেন ফ্রাই স্টিভ জবস কে যখন জিজ্ঞেস করেছিল এটা নিয়ে ? স্টিভ জবস জাস্ট বলেছিলো, ওহ গড যদি তা সত্যি হতো !!!

আমরা স্টিভ জবস এর কথা থেকেই বুজতে পারছি কাকে নিয়ে লিখতে বসেছি আজকে ! সে আর কেউ নই , যার জন্য দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ ২ বছর ব্যাপ্তি কমেছিল , ১৪ মিলিয়ন মানুষের জীবন বেঁচেছিল। আইনের নিষ্ঠুরতায় তাকে ঠেলে দিয়েছিলো মৃত্যুর দুয়ারে। অস্বীকার করা হয়েছিল তার সমস্ত অবদান , নিরাপত্তার অজুহাতে চাপা ছিল তার সমস্ত রিসার্চ। সেই কিংবদন্তী এলান টিউরিং।

১৯১২ সালের ২৩ জুন তিনি জন্ম গ্রহণ করেন লন্ডনে। তার স্কুল প্রথম জীবনের দিনে ছিল (১৯২৬) ব্রিটেন ধর্মঘট। তিনি ছিলেন প্রচন্ড মনোবলের অধিকারী, যার কারণে সাইকেলে চেপে ৯৭ কিমি পারি দিয়ে তিনি ঐদিন স্কুলে এসেছিলেন। মাত্র ১৪ বৎসর বয়সে অ্যাডভান্সড ক্যালকুলাস শেষ করেন।  ১৬ বৎসর বয়সে আইনস্টাইনের কিছু থিওরী নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন ।তিনি একটু ব্যতিক্রমধর্মী ছিলেন। জ্যাক গুড (সহকর্মী) তার সম্পর্কে বলেন, তিনি সাইকেল চালাতেন কিনতু হঠাৎ খেয়াল করলেন তার সাইকেলের চেইন পড়ছে ! তিনি এটা নিয়ে ভেবে দেখলেন চেইনটা নির্দিষ্ট দূর পর পর পরে।  এর সমাধান তিনি অন্যভাবে করেন।  গুনে গুনে বের করেন কত প্যাডেল পর পর চেইন পরে।  তখন চেইন পড়ার আগেই নেমে তিনি চেইন  ঠিক করতেন।

 

 

কিংস কলেজ ক্যাম্বরিজ থেকে ২২ বছর বয়সে ম্যাথ এ ফার্স্ট ক্লাস গ্রাজুয়েট।  ১৯৩৮ সালে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি থেকে PHD . তিনিই প্রথম “Systems of Logic Based on Ordinals” নিয়ে কাজ করে অর্ডিনাল লজিকের ভিত্তি স্থাপন করেন। এবং রিলেটিভ কম্পিউটিং এর ধারনাও দেন। বিখ্যাত কম্পিউটার সায়েন্টিস্ট জন ভন নিউম্যান তাকে সহকর্মী হিসাবে চাইলে তিনি প্রত্যাখান করে নিজ দেশে ফিরে আসেন।

তিনি ব্রিটিশ কোড ব্রেকিং একাডেমিতে পার্ট টাইম এমপ্লয়ী ছিলেন। ব্লেচলি পার্কেই তিনি জার্মান কোড ব্রেক করেন এবং ডিল নক্সকে সাথে নিয়ে তিনি জার্মান এনিগমা মেশিনের কোডের ক্ৰিপ্টএনালাইসিস এ মনযোগ দেন। কোড ব্রেকিং এর জন্য বের করেন Crib-based decryption এলগোরিদম।  ৪ সেপ্টেম্বর UK জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে টিউরিং ব্লেচলি পার্কে রিপোর্ট করেন যে তিনি ৫টি কোড ব্রেকিং টেকনিক বের করতে সমর্থন হয়েছেন।

এনেমি পক্ষ যখন বারবার কোড সেন্ডিং টেকনিক চেঞ্জ করছে তখন কয়েক কোটি সম্ভাবনা থেকে নির্দিষ্ট কোডটা বের করা অসাধ্য সাধন করা একই কথা।  আর জন্য তিনি , দুইটা রিসার্চ পেপার বের করেন।  “The Applications of Probability to Cryptography” এবং “Paper on Statistics of Repetitions”

 

 

২০১২ সালে অবশ্য ব্রিটিশ সরকার তার সব কর্ম উম্মুক্ত করে দেয়।  তিনিই প্রথম জার্মান এনিগমা নিয়ে কাজ শুরু করেন , তার ভাষ্যমতে যখন কেউ কিছু করতে পারছে না তখন তাকেই এগিয়ে আসতে হবে।  যা হোক তার নেতৃত্বেই জার্মান কোড ব্রেক হয়। ১৯৪৭ সালে তিনিই প্রথম আর্টিফিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে প্রেজেন্ট করেন।  কিনতু  ১৯৫০ সালে সবার সামনে নিয়ে আসেন। যা কিনা টিউরিং টেস্ট নামে পরিচিত।  টিউরিং টেস্ট এর মডার্ণ রূপ যদি আমরা ভাবি তবে ওয়েবসাইটে আমরা ক্যাপচা কে বলতে পারি। ক্যাপচা কিনতু মানুষ কিংবা রোবট তা সনাক্ত করতে সাহায্য করে।

বায়োলজি নিয়েও তার অবদান কিনতু ফেলে দেওয়ার মতো না।  “The Chemical Basis of Morphogenesis” লেখা তার আর্টিকেল।  এখন আবার ফিরি সেই প্রথম দিকের কনভার্শনে।  এলান টিউরিং এর সময় জাস্ট জেনারেল পারপাস কম্পিউটার কেবল বিল্ট হয়েছে।  AI নিয়ে কেউ কোনো কোথায় বলেনি তখন। John McCarthy (computer scientist), প্রথম টার্মটা নিয়ে হাজির হন ১৯৫৬ সালে।  সেটাও ছিল এলান টিউরিং এর ডেডের ২ বৎসর পর। আসলে টিউরিং এর এপ্রোচটা ছিল মেশিনও চিন্তা করতে পারবে! তিনি লিখেছিলেন,

“ I have no very convincing arguments of a positive nature to support any views”

তিনি আসলে কিঞ্চিৎ ভয়েও ছিলেন তার চিন্তা, মেশিন যে চিন্তা করতে পারে এটা যদি পাবলিশ করেন দেন ধর্মের সাথে আবার সাংঘর্ষিক হয়ে যাই কিনা। এলান টিউরিং নিঃসন্দেহে তার সময় থেকে অনেক এগিয়ে ছিলেন  । তার সময়ে তার এপ্রোচ পরীক্ষা করার মতো কোনো মেশিন ছিল না।  আর অপরদিকে তিনি জানতেন পরীক্ষা ছাড়া এটা কেউ বিশ্বাস করতে চাইবেন না।  তাই তিনি ইমিটিশন গেম খেলেন তার পরীক্ষার জন্য। কিনতু তার ডেডের ৬৭ বৎসর পর এখন আমাদের অ্যাডভান্সড কম্পিউটার আছে টেস্ট করার মতো। কিনতু AI এর কিছু  প্রবক্তারা এখনো এটাকে মানতে একটু দ্বিধা করে থাকেন। তারা এখনো সংশয় প্রকাশ করেন ইন্টিলেজেন্ট মেশিন নিয়ে। তারা আসলে সায়েন্টিফিক প্রসেসের হাইপোথিসিস টেস্টিং এবং এভিডেন্স কালেকশন কে wrong-footing বলে চিহ্নিত করতে চাই। আমরা এখন টিউরিং এর এপ্রোচ গুলো দেখবো:

The Imitation Game:

টিউরিং তার পরীক্ষার জন্য ভিক্টোরিয়ান-স্টাইল গেমকে বেছে নিয়েছিল , যা কিনা ইমিটিশন গেম নামে পরিচিত। ইমিটিশন গেমে একজন ইন্টেরোগেটর থাকবে এবং তিনি কিছু প্রশ্ন করবেন একজন পুরুষ ও মেয়েকে (A & B) . এবং তারা সেপারেট রুমে থাকবে ও উত্তর করবে টাইপরাইটার আর মাধ্যমে। আসলে এটার উদ্দেশ্য ছিল কোন তা পুরুষ এবং কোনটা মেয়ে তা বের করা কিছু ভুল ইনফরমেশন প্রোভাইড করে। ১৯৯০ সালে, Hugh Loebner (businessman), Loebner প্রাইজ কম্পেটিশন আয়োজন করে , এবং $১০০০০০ প্রাইজ মানি ঘোষণা করে।  যে টিউরিং টেস্ট পাস করতে পারবে সেই পাবে এই মানি।

How the Turing test inspired AI:

Marvin Minsky (one of the fathers of AI ) ১৯৯৫ সালে লিখেছিলেন,

“ I do hope that someone will volunteer to violate this proscription so that Mr Loebner will indeed revoke his stupid prize, save himself some money, and spare us the horror of this obnoxious and unproductive annual publicity campaign ”

টিউরিং কে নিয়ে বেশি কথা হয়েছে তার ভবিষৎ ইমাজিনাবল মেশিন নিয়ে। অনেকে আর্গু করে থাকে যে, টিউরিং টেস্ট কখনই মেশিন ইন্টিলিজেন্ট কিনা তা বের করার বেস্ট অপশন না।

Turing Test:

টিউরিং টেস্ট আসলে একটা মানুষের জায়গায় ডিজাইন করা কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা, প্রশ্নকর্তার সাথে রিয়েল ইনফরমেশন নিয়ে ছলনা করে। এটা কি ডিটেক্ট করতে পারবে কোনটা মেয়ে ? আইডিয়াটা ছিল যদি কেউ প্রশ্ন করে কোনটা কে ? মানুষ নো মেশিনের মধ্যে ডিফারেন্স বের করাটা উদ্দেশ্য না ! কম্পিউটার যেন চিন্তা করা টাকে  কনসিডার করে এবং এটাই AI .

AI moves on:

টিউরিং যদি AI এর এখনকার মতো প্রগ্রেস দেখতো তবে অনেক উত্তেজিত হতো।  আমি এটা মেনেই নিবো, ১৯৯৭ সালে যখন Deep Blue কে হারিয়ে ওয়ার্ল্ড চেস চ্যাম্পিয়ন হয় কাস্পরভ , যদি টিউরিং এটা দেখতো তাহলে মাস্ট তিনি ড্যান্স করতেন। আমি তাকে এমনও চিন্তা করতে পারি যে উনি চেয়েরিং করছেন, টিভি শো জেওপারডি তে যখন IBM Watson প্রোগ্রাম দুজন বেস্ট মানুষকে হারিয়েছেন মার্কিন গেম হিস্টোরিতে। ইহা বলা খুবই কঠিন, টিউরিং এর অরজিনাল এবং ভিত্তিগত আইডিয়া থেকে কতটুকু অর্জন কিংবা ইন্সপাইরেশন পসিবল।

আমার ব্যাক্তিগত মতামত, টিউরিং টেস্ট আমাদের জন্য AI নিয়ে প্রোগ্রেসের একটা দুয়ার খুলে দিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, মানুষ AI নিয়ে সেঞ্চুরি ধরে থিংক ও আলোচনা করবে।

লাস্ট কথা বলবো তার ব্যাক্তিগত জীবন ও চলে যাওয়া নিয়ে। তিনি যখন স্কুলে পড়তেন তখন ফার্স্ট প্রেমে পড়েন তার বনধু ক্রিস্টোফার মরফমের ওপর।  কিনতু, তার বনধু স্কুল লাইফেই মারা যান।  তারপর, তার সহকর্মী জোয়ান ক্লার্ক কে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিনতু এনগেজমেন্ট ভেঙে যাই তার স্কুল বনধু ক্রিস্টোফারের সাথে সমকামিতার বিষয় নিয়ে।

১৯৫২ সালে টিউরিং তার নিজ বাড়িতে ১৯ বৎসরের বেকার অনলর্ডকে আশ্রয় দেন। তার বাড়িতে একটা চুরি সংঘটিত হয়.. পুলিশকে রিপোর্ট করলে , তদন্তের এক পর্যায়ে তার বিরুদ্ধে সমকামিতার অভিযোগ তোলেন।  তাকে এই জন্য কারাগার কিংবা কেমিকাল হরমোন নিতে বলা হয়। তিনি কেমিকাল হরমোন চয়েস করেন।  দীর্যদিনের কর্মস্থল GCHQ তে চাকরি হারান।  তার সমস্ত উদ্ভাবন রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়।

৮ জুন, ১৯৫৪ সালে, নিজ বাড়িতে তাকে মৃত দেখতে পান তার গৃহপরিচিকা।  ধারণা করা হয়, তার মৃত্যু আগেরদিন হয়েছে। তার মরা দেহের মাথার কাছে একটা অর্ধ খাওয়া সায়ানাইড মিশ্রিত আপেল পাওয়া যায় , যা পোস্টমেটাম রিপোর্টে বলা হয় তার মৃত্যু সায়ানাইড রিঅ্যাকশন এ হয়েছে।

ফিনিক্স পাখির মতোই হঠাৎ জেগে উঠে তার কথা ! রয়েল সোসাইটি তার আত্মজীবনী প্রকাশ করে। ১৯৬৬ সালে কম্পিউটার মিশনারি এসোসিয়েশন চাল করে টিউরিং অ্যাওয়ার্ড (যা কম্পিউটার এ নোবেল বলে পরিচিত) . বিবিসি যে ৪জন মারিটিয়াস ব্যাক্তির উপর ডকুমেন্টরি করেছে টিউরিং ওয়ান অফ দেম। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি তাকে সেকেন্ড মেধাবী বলে ঘোষণা করে। ব্রিটিশ রাজা জর্জ-৬ তাকে ব্রিটিশ সর্বোচ্চ খেতাব অর্ডার অফ ব্রিটিশ এম্পিয়ার দেন। ২০০২ সালে পাবলিক ওপিনিয়নে তিনি ১০০ ব্রিটিশ নাগরিক এ জায়গা পান।  ২০০৯ সালে ব্রিটেনে তার অভিযোগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়।  প্রাইম মিনিস্টার গর্ডন তাকে ক্ষমা করে দেন এবং এটা অনেক পেইনফুল বলে আখ্যা দেন। তার দায় মুক্তির জন্য এখনকার সর্বশ্রেষ্ট বিজ্ঞানী স্টিফেন হোকিংসও সরব হন। ২৪ ডিসেম্বর, ২০০৯ এলিজাবেথ-১১ তাকে সব অভিযোগ থেকে অব্যহতি দেন।

এত বড়ো একজন সায়েন্টিস্ট তাকে হইতে হয়েছে অনেক নিগৃহের শিকার। হয়তোবা সব অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে কিনতু তিনি নিজে তো অভিযোগের বোঝা নিয়েই আত্মহত্যা করেন। তাকে মডার্ন কম্পিউটারের জনক বলা হয়। যার হাত ধরেই আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সূচনা।

 

 

By

Raju Ahmed Rony

Data Science Enthusiast
Dept. of Software Engineering

Daffodil International University

& Communication Manager, Youth Carnival

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *