যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সম্মানজনক বৃত্তি ‘শেভেনিং স্কলারশিপ’–এর আবেদন শুরু হয়েছে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে শেভেনিং স্কলারশিপের জন্য ২ আগস্ট থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ১ নভেম্বর পর্যন্ত। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী শেভেনিং বৃত্তির মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে পড়ছেন।
শেভেনিং বৃত্তির ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন এ বৃত্তির জন্য অর্থায়ন করে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থী ও ভবিষ্যতের নেতৃত্ব দেবেন—এমন যোগ্যতাসম্পন্ন তরুণদের বৃত্তির মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে স্নাতকোত্তর পড়ার সুযোগ করে দেয় শেভেনিং বৃত্তি। এ বৃত্তির আওতায় যুক্তরাজ্যের একটি নির্ধারিত বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর করার সুযোগ পাওয়া যায়।
এ বৃত্তি পেলে যুক্তরাজ্যের ১৫০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো একটিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য অধ্যয়ন করতে পারবেন। বৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সামাজিক দক্ষতা, নেতৃত্বদানের অভিজ্ঞতা, নিজের দেশ ও সমাজের ওপর ইতিবাচক প্রভাবের দিকে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়। বৃত্তির মাধ্যমে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে শিক্ষার্থীদের দুই বছর কাজের অঙ্গীকার করতে হয়।
https://www.facebook.com/CheveningFCDO/posts/430108519159222
বৃত্তির যোগ্যতা
শেভেনিং বৃত্তির আবেদনের জন্য যোগ্যতা হিসেবে পড়াশোনাকে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়। স্নাতক পর্যায়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ডিগ্রি আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে ভর্তির সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করা হয় বৃত্তির ক্ষেত্রে। বৃত্তির জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে ন্যূনতম কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া বৃত্তির জন্য ইংরেজি ভাষা দক্ষতার পরীক্ষা আইইএলটিএস দিতে হবে।
- আবেদনকারীকে শেভেনিং স্কলারশিপের আওতাভুক্ত দেশের নাগরিক হতে হবে।
- বৃত্তির মাধ্যমে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে শিক্ষার্থীদের দুই বছর কাজের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।
- নিজ দেশে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন হতে হবে।
- অন্তত দুই বছর (২৮০০ ঘণ্টা) কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
- যাঁরা স্কলারশিপ পাবেন, তাঁদের ২০২৩ সালের ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে যুক্তরাজ্যের তিনটি ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্সের জন্য আবেদন করতে হবে।
- ব্রিটিশ বা ডুয়াল ব্রিটিশ নাগরিক হলে আবেদন করা যাবে না।
- যুক্তরাজ্য সরকারের অর্থায়নে আগে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করলে আবেদন করা যাবে না।
বৃত্তির সুবিধা
শেভেনিং বৃত্তি একটি ফুল ফান্ডেড বৃত্তি। এর মধ্যে রয়েছে—
- বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি
- মাসিক বৃত্তি
- দেশ থেকে যুক্তরাজ্য যাওয়া–আসার ভ্রমণ ব্যয়
- যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর পর ভাতা
- ভিসা আবেদনের ফি
- যুক্তরাজ্যে শেভেনিংয়ের বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য ভ্রমণ ভাতা।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদ, রেফারেন্স, যুক্তরাজ্যের অন্তত একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শর্তহীন অফার লেটার অনলাইনে সাবমিট করতে হবে।
আবেদনের নিয়ম
যুক্তরাজ্য সরকারের শেভেনিং বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হয় অনলাইনের মাধ্যমে। যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কোর্সে আবেদন করতে হবে। আবেদনের জন্য বেশ কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন। ইংরেজি ভাষায় দুটি রেফারেন্স লেটার বা সুপারিশপত্র, পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্র, সর্বশেষ পড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে।
বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ভর্তির ‘অফার লেটার’ সংযুক্ত করতে হবে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচনের পর মৌখিক পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয় ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনে। এই লিংকে শেভেনিং বৃত্তি ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের টাইমলাইন জানা যাবে। আর এই লিংক থেকে শেভেনিং বৃত্তি ও আবেদনের বিস্তারিত তথ্য জেনে APPLY TODAY-তে ক্লিক করে আবেদনে করতে হবে।
আবেদনের শেষ সময়: আগামী ১ নভেম্বর ২০২২ রাত ১২টা পর্যন্ত (যুক্তরাজ্য সময়)।