হাইতিকে ৭-১ গোলে হারিয়ে দুঙ্গার দল ব্রাজিল

দুই দলের শক্তির পার্থক্য অনেকটা। কতটা, যেন সেটাই বোঝাতে নেমেছিল ব্রাজিল। হাইতিকে ৭-১ গোলে হারিয়ে দুঙ্গার দল বুঝিয়ে দিল ব্রাজিল-হাইতির শক্তির পার্থক্য আকাশ-পাতালই। হ্যাটট্রিক করেছেন ফিলিপে কুতিনহো। পাশাপাশি ছিল রেনাতো আগুস্তোর জোড়া গোল। কোপা আমেরিকা শতবর্ষী প্রতিযোগিতায় নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই প্রত্যাশিত ছন্দে ফিরেছে ব্রাজিল।

এই জয়ে দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট হলো ব্রাজিলের। আগামী রোববার গ্রুপের শেষ ম্যাচে পেরুর মুখোমুখি হবে পাঁচবারের কোপা বিজয়ীরা। অন্য ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েও ২-২ ড্র করেছে ইকুয়েডর। এই ড্রয়ে ব্রাজিলেরই লাভ হলো সবচেয়ে বেশি। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল দুঙ্গার দল। শুধু তা-ই নয়, শেষ ম্যাচটা ড্র করলেও শেষ আট নিশ্চিত।

ব্রাজিলের জন্য এটি ছিল নিজেদের সম্মান পুনরুদ্ধারের ম্যাচ। অপর দিকে হাইতির জন্য উপলক্ষটা ছিল স্মরণীয়। পুঁচকে একটা দেশ, ফুটবলের সবচেয়ে গৌরবময় দেশের বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়া। নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ব্রাজিলের মুখোমুখি হলো হাইতি। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে তারা বুঝতে পেরেছে পার্থক্যটা কত বিশাল। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা হয়ে গেল ব্রাজিলের গোল উৎসবের।
খেলার ১৪ মিনিটেই এগিয়ে যায় ব্রাজিল। গোলটি করেন কুতিনহো। ডি-বক্সের একটু বাইরে থেকে করা তাঁর লক্ষ্যভেদ ছিল চমৎকার। ২৯ মিনিটে কুতিনহো ব্যবধান বাড়ান। ৩২ মিনিটেই হ্যাটট্রিক পূরণ করে ফেলতেন। কিন্তু উইলিয়ানের বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে নেওয়া কুতিনহোর শটটি হাইতির রক্ষণভাগের খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে দিগ্‌ভ্রষ্ট হয়।

৩৫ মিনিটে ব্রাজিল এগিয়ে যায় ৩-০ গোলে। জনি প্লাসিডের থ্রো থেকে বল ধরে দানি আলভেজ দারুণ এক ক্রস নেন হাইতির গোলমুখে। সেই ক্রস থেকে দুর্দান্ত হেডে গোল করে আগুস্তো।
দ্বিতীয়ার্ধে হাইতিকে আরও ঠেসে ধরে ব্রাজিল। ৫৯ মিনিটে ব্রাজিলের চতুর্থ গোলটি করেন বদলি গাব্রিয়েল। ৬৭ মিনিটে স্কোর লাইন পরিণত হয় ৫-০। আলভেসের ক্রস থেকে দারুণ হেডে গোলটি করেন লিমা। ৬১ মিনিটে হাইতির সান্ত্বনাসূচক গোলটি করেন জেমস মার্সেলিন।
৮৬ মিনিটে আবারও ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন আগুস্তো। কুতিনহোর হ্যাটট্রিকটি আসে ম্যাচের যোগ করা সময়ে। ডি-বক্সের অনেক বাইরে থেকে করা গোলটি ছিল দারুণ দর্শনীয়।

সহজ এই জয়ের পর কোচ দুঙ্গার কণ্ঠে ছিল কুতিনহোর প্রশংসা, ‘কুতিনহো আজ সত্যি সত্যিই তাঁকে যে সুযোগটা দেওয়া হয়েছে, সেটা কাজে লাগিয়েছে। আমরা তাঁকে অনেক দিন ধরেই বলছি, “লিভারপুলের কুতিনহো” হয়ে উঠতে, একটু উদ্যোগী হয়ে, নিজের মতো করেই দলের নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা গ্রহণ করতে।’
ব্রাজিল মিডফিল্ডার লুইজ অবশ্য সতর্ক করে দিয়েছেন দলকে। সহজ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বড় এই জয়ের পর দলের মধ্যে যেন কোনো আত্মতুষ্টির জন্ম না হয় লুইজ বলেছেন সে কথাই, ‘জয়টা দারুণ। কিন্তু এই জয়ে খুব বেশি উল্লসিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা এখনো কিছুই করিনি। এই ম্যাচটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, ম্যাচটা আমরা জিততে পেরেছি। এবার আমাদের লক্ষ্য পেরুর বিপক্ষে জয়।’ সূত্র: এএফপি।

Youth Carnival: