নিউজিল্যান্ড দল? সবচেয়ে বেশি ধৈর্যের পরিচয় তো দিতে হয়েছে সাব্বির রহমানকে। নিউজিল্যান্ড দল তবু মাঠে ব্যস্ত ছিল। আর সাব্বির? যেকোনো মুহূর্তে মাঠে নামতে হতে পারে বলে প্যাড-ট্যাড পরে বসে ছিলেন সেই সকাল থেকে। ৮২ ওভার ২ বল অপেক্ষা করে অবশেষে মাঠে নামার সুযোগ পেলেন সাব্বির। দিনের শেষভাগে! মুশফিকুর রহিম ১৫৯ করে আউট হওয়াতেই ভাঙল সাকিবের সঙ্গে তাঁর জুটি।
আর ততক্ষণে এই জুটি ঢুকে গেছে ইতিহাসের পাতায়। বাংলাদেশের পক্ষে যেকোনো উইকেটে এটিই এখন সর্বোচ্চ জুটি। ২০১৫ সালে খুলনা টেস্টে তামিম-ইমরুলের গড়া ৩১২ রানের জুটির রেকর্ড আজ ভেঙে দিলেন সাকিব-মুশফিক। শুধু তা-ই নয়, টেস্ট ইতিহাসে পঞ্চম উইকেটে চতুর্থ সর্বোচ্চ জুটি হয়ে গেল এটি।
নিউজিল্যান্ডের মাঠে এটি সফরকারী দলগুলোর যেকোনো উইকেট জুটিতে নতুন রেকর্ডও। সাকিব-মুশফিক ভাঙলেন ৪৪ বছরের পুরোনো রেকর্ড। ১৯৭৩ সালে ডানেডিন টেস্টে চতুর্থ উইকেটে ৩৫০ রান যোগ করেছিলেন পাকিস্তানের আসিফ ইকবাল ও মুশতাক মোহাম্মদ। সেটিই ছিল নিউজিল্যান্ডে ভিনদেশি দলগুলোর সর্বোচ্চ জুটি।
সাকিব-মুশির এই জুটির ওপরে যেকোনো দল মিলিয়েই আছে মাত্র দুটি জুটি। দুটিই নিউজিল্যান্ডে, তা বলে না দিলেও চলছে।
১৯৯১ সালে এই ওয়েলিংটনে তৃতীয় উইকেটে ৪৬৭ যোগ করেছিল ক্রো-জোন্সের জুটি। সেটি এখনো নিউজিল্যান্ডে সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড হয়ে আছে।
সব দেশ মিলিয়ে প্রতিপক্ষে মাটিতে পঞ্চম উইকেটে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড। ১৯৯৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে জোহানেসবার্গ টেস্টে স্টিভ ওয়াহ আর গ্রেগ বিলওয়েট পঞ্চম উইকেটে ৩৮৫ রান এনে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়াকে। এরপর প্রতিপক্ষের মাঠে সাকিব-মুশির জুটিটাই পঞ্চম উইকেটের রেকর্ড।
যেকোনো উইকেটে প্রতিপক্ষের মাঠে সবচেয়ে বেশি রান তোলায় টেস্ট ইতিহাসে সাকিব-মুশির এই জুটি থাকল ১৪ নম্বরে। যে তালিকায় সবার ওপরে আছে ১৯৩৪ সালে ওভালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ব্র্যাডম্যান-পন্সফোর্ডের ৪৫১ রানের জুটিটি।