অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে অর্থ উপার্জনের ছয়টি কার্যকর পরামর্শ

বর্তমান চাকরির সাথে খন্ডকালীন কাজ করে কিছু বাড়তি অর্থ রোজগারের জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি দুর্দান্ত উপায়। তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার অল্প দিনের মধ্যেই আপনি ধনী হতে পারবেন না।

{ "slotId": "2452885053", "unitType": "in-article" }

Source: Mile IQ

এই ক্ষেত্রে সফল হতে হলে আপনাকে যথেষ্ট সময় এবং শ্রম দিতে হবে। তবে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে গেলে এই সময় এবং শ্রম আপনার কাছে কষ্টসাধ্য মনে হবে না। একবার ভালো একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারলে নিশ্চিতভাবেই অর্থ আসা শুরু করবে। আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আরও সহজ করতে আজকের নিবন্ধে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

নির্দিষ্ট কিছু পণ্য নিয়ে কাজ করুন

সিংহভাগ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার সাধারণত যে ভুলটা করে তা হলো, নিজেকে অসংখ্য অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত করে ফেলে, এবং বিশেষ কোনো পণ্যের প্রতি মনোযোগ না রেখে সব ধরনের পণ্য নিয়ে কাজ করে। একই সমসাময়িক সময়ে একাধিক পণ্য নিয়ে কাজ করাই সুনির্দিষ্টভাবে কোনো পণ্যের যথাযথ মার্কেটিং তারা করতে পারে না।

{ "slotId": "", "unitType": "in-article", "pubId": "pub-6767816662210766" }

Source: Business News Daily

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সফল হতে হলে সাধারণ মানুষ আপনার উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে এমন বিশ্বাসযোগ্য পণ্য নিয়ে কাজ করুন। বিশেষ করে আপনার ওয়েবসাইট বা কন্টেন্টের থিমের সাথে মিল রেখে উপযুক্ত পণ্য নির্বাচন করুন এবং সব সময় একই জাতীয় পণ্য নিয়ে কাজ করুন।

বিভিন্ন ট্রাফিক উৎস ব্যবহার করে পণ্য প্রচার করুন

অধিকাংশ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার শুধুমাত্র তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পণ্য প্রচার করে থাকে। অবশ্য এই পদ্ধতি ভুল না। কিন্তু বিজ্ঞাপনের অনুলিপি করা এবং তা একাধিক ট্রাফিক সোর্সে ব্যবহার করা খুব সহজ। তাই শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটের উপর নির্ভর করে বসে থাকবেন না। আপনার অ্যাফিলিয়েট বিজ্ঞাপনের লিংক একাধিক ট্রাফিক উৎসে ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে প্রচার করলে যেমন অধিক সংখ্যক মানুষের কাছে পৌছতে পারবেন, তেমনি আপনার রোজগার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।

Source: Affiliate Marketing

উদাহরণস্বরূপ আপনি গুগল এডওয়ার্ড ব্যবহার করে একাধিক উৎসে বিজ্ঞাপন পোস্ট করতে পারেন। যে উৎস থেকেই ক্লিক করা হোক না কেন সবগুলো ক্লিক গ্রাহককে একই বিজ্ঞাপন বা বিক্রয় পেজে নিয়ে যাবে। ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করলে উক্ত ভিডিও লিংক আপনি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন। এমনকি ব্যক্তিগত ওয়েব সাইটে যুক্ত করতে পারেন। এই সবগুলো উৎস থেকে দর্শক আপনার ইউটিউব লিংকে প্রবেশ করবে, যা আপনার অধিক অর্থপ্রাপ্তি নিশ্চিত করবে।

একাধিক প্রচার কৌশল ব্যবহার

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সফল হওয়ার সর্বোত্তম উপায় হলো একাধিক প্রচার কৌশল ব্যবহার করা। যেমন আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পেজ এবং আর্টিকেলে আলাদা আলাদাভাবে একই বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারেন। তাতে বিজ্ঞাপনটি সকল দর্শকের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে। এভাবে আপনি সংযুক্ত অন্যান্য সফটওয়্যার ব্যবহার করেও একই বিজ্ঞাপনের একাধিক প্রচার নিশ্চিত করতে পারেন।

পণ্যের বাজার চাহিদা নিয়ে গবেষণা

যত ভালো প্রচার করা হোক না কেন বাজারে যথেষ্ট চাহিদা নেই এমন পণ্য বিক্রি করা সত্যিই খুব কঠিন। তাই আপনি যত ভালো মার্কেটার হোন না কেন, পণ্যের বাজার চাহিদা না জেনে অভিনব উপায়ে মার্কেটিং করলেও আশানুরূপ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন না।

Source: Social Enablers

সুতরাং যে পণ্য নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা করুন। বাজারে তার চাহিদা কেমন সে সম্পর্কিত পরিসংখ্যান জোগাড় করুন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো অনলাইনে এ ব্যাপারে জরিপ চালানো।

{ "slotId": "2452885053", "unitType": "in-article" }

নতুন নতুন কৌশল প্রয়োগ করুন

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সফল হতে হলে আপনাকে অনলাইনে সব সময় নতুন নতুন কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে মানুষের ট্রেন্ড বা প্রবণতা সম্বন্ধে খোঁজ খবর রাখতে হবে এবং ট্রেন্ড হয়ে ওঠা যেকোনো নতুন কৌশল দ্রুত লুফে নিতে হবে। কেননা এই ক্ষেত্রটি তীব্র প্রতিযোগিতার। মানুষ সব সময় নতুন কিছু আশা করে। আপনি যদি নিজেকে নতুন নতুন কৌশলের সাথে আপডেট না করেন তাহলে নিশ্চিতভাবেই আপনি পিছিয়ে পড়বেন।

সঠিক কোম্পানি নির্বাচন করুন

সবশেষ এই পরামর্শটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কেননা অনলাইনে কোনো পণ্যের প্রচার করার মধ্য দিয়ে আপনি আসলে এই পণ্যের উৎপাদনকারীর প্রচার করেন। অথচ প্রচারের সময় তাকে কেউ দেখে না, দেখে আপনাকে, অর্থাৎ আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা কাজে লাগিয়ে অন্যের প্রচার নিশ্চিত করতে হয়। এখন ভেবে দেখুন আপনি কি এমন কারো প্রচার করবেন যার পণ্যের গুণগত মান ভালো না?

Source: Charles Ngo

{ "slotId": "2452885053", "unitType": "in-article" }

আপনি যদি ভুল কোম্পানি বা পণ্য উৎপাদক নির্বাচন করেন তবে অচিরেই আপনি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারাবেন। কেননা দীর্ঘমেয়াদে আপনার গ্রহণযোগ্যতা আপনার বিজ্ঞাপন করা পণ্যের গুণগত মানের উপর নির্ভর করে। সুতরাং দেখে শুনে সঠিক মান সম্পন্ন কোম্পানি নির্বাচন করুন, যেন তাদের প্রচার করে আপনার কমিউনিটিতে নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের সাফল্য যতটা পণ্যের গুণগত মান এবং প্রচার কৌশলের উপর নির্ভর করে ঠিক ততটাই আপনার দক্ষতার উপর নির্ভর করে। যেমন সমসাময়িক সময়ে একই বিষয়ের উপর ইন্টারনেটে অসংখ্য মানুষ কনটেন্ট লেখে। কিন্তু সবার লেখা কনটেন্ট মানুষ পছন্দ করে না। একইভাবে একই বিষয় নিয়ে অসংখ্য মানুষ ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করে, কিন্তু সবাইকে সাধারণ দর্শক সমান ভালোবাসে না। একজন দক্ষ মার্কেটের হিসেবে অন্যদের সাথে এখানেই আপনার তফাৎ। সুতরাং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের কৌশল সম্বন্ধে জানার সাথে সাথে নিজেকে অনেক বেশি সময় উপযোগী করে গড়ে তুলুন। তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে আপনার সাফল্য নিশ্চিত।

Feature Image: Affiliate Marketing

{ "slotId": "2452885053", "unitType": "in-article" }

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *