সাড়ে নয় হাজার নার্স নিয়োগ হচ্ছে

0

সরকারি হাসপাতালগুলোতে শিগগিরই সাড়ে নয় হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ হচ্ছে। প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। দ্রুতই চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। এরপরই নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

পিএসসি সূত্র বলছে, পদ বেশি হওয়ায় মৌখিক পরীক্ষা দেওয়া ১১ হাজার ৯৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৮৬ শতাংশই নিয়োগ পাবেন। কাজেই যাঁরা মৌখিক পরীক্ষা ভালো বা মোটামুটি দিয়েছেন, তাঁরা এমনিতেই নিয়োগ পাবেন।

তবে কয়েকজন প্রার্থী বলেছেন, এরপরও চাকরি নিশ্চিত করতে কিছু প্রার্থী স্বেচ্ছায় বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধিসহ কিছু লোককে ঘুষ দিচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিএসসির একজন সদস্য বলেন, ঘুষ বাজে সংস্কৃতি। যেখানে বেশির ভাগ প্রার্থী এমনিতেই চাকরি পাবেন, সেখানে কাউকে টাকা দেওয়া অর্থহীন।

জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ‘আমরা প্রায় সাড়ে নয় হাজার নার্স নিয়োগের চাহিদা পেয়েছি। প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ১১ হাজার ৯৫ জন। গত ২৩ আগস্ট মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। আশা করছি, দ্রুতই চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা যাবে।’

নার্স পদটিকে বর্তমান সরকার দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করায় পিএসসির মাধ্যমে এই নিয়োগ হচ্ছে। পিএসসি সূত্র বলেছে, এ বছরের ৩ জুন সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের প্রাথমিক বাছাই (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষায় প্রার্থী ছিলেন ১৮ হাজার ৬৩ জন। ৭ জুন প্রকশিত ফলে ১১ হাজার ৯৫ জন উত্তীর্ণ হন। ১১ জুলাই থেকে তাঁদের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়।

এ বছরের ২৮ মার্চ ৩ হাজার ৬১৬টি সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে আরও ৬ হাজার পদে নিয়োগের চাহিদা পায় পিএসসি। ফলে ৯ হাজার ৬১৬টি পদে নিয়োগ হচ্ছে।

আগে লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও নার্সদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে শুধু প্রাথমিক বাছাই ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র বলেছে, এর আগে ২০১৩ সালে ৪ হাজার ১০০ জনকে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে নার্স হিসেবে নিয়োগ করা হয়।

নার্সদের দেখভালের দায়িত্বে থাকা সেবা পরিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নাসিমা পারভীন বলেন, বর্তমানে হাসপাতালগুলোতে ১৮ হাজার নার্স আছেন। আরও প্রায় ১০ হাজার নিয়োগ পেলে সরকারি হাসপাতালগুলোতে সেবা বাড়বে।’

বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইরা দিবরা বলেন, অনেক চাকরিপ্রার্থী চাকরি পাবেন, এটি যেমন ভালো খবর, তেমনি এই খাতেও গতি আসবে।

 

One Comment

Leave a Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *