সাকিবের ডাবল সেঞ্চুরি

0

সাজঘরে ফেরার পথে একে একে নিউজিল্যান্ডের প্রায় সব খেলোয়াড় এসে হাত মিলিয়ে গেলেন। সবার আগে হাত মেলালেন নিল ওয়েগনার, তাঁর বলেই তো সাকিব ফিরলেন প্লেড অন হয়ে। এর আগে খেললেন ২১৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।

তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করলেন সাকিব আল হাসান। এর আগে ২০১৩ সালে মুশফিকুর রহিম ও ২০১৫ সালে তামিম ইকবাল টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন। ওয়েলিংটন টেস্টে আজ ৫ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা সাকিব সারা দিনে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে টেস্টে তাঁর প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিটি তুলে নিয়েছেন।

টেস্টে এটি সাকিবের চতুর্থ সেঞ্চুরি। দুই বছর পর টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। সেটিকেই রূপ দিলেন ডাবলে। ইনিংসের ১২৫তম ওভারে গ্রান্ডহোমকে চার মেরে ডাবল সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান সাকিব। এর আগে সাকিবের ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ছিল ১৪৪ রান। ২০১১ সালে মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই ইনিংসটি খেলেছিলেন। শুধু টেস্ট নয়, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও সেটি ছিল সাকিবের ক্যারিয়ার সেরা।

সেটিকেই এবার ডাবলে নিয়ে যাওয়া সাকিব পরে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ডও নিজের করে নেন। ২০১৫ সালে খুলনা টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে করা তামিমের ২০৬ ছিল টেস্টে কোনো বাংলাদেশির করা সর্বোচ্চ ইনিংস। আজ ড্রেসিং রুমের সিঁড়িতে বসে তামিম দেখছেন সাকিবের ইতিহাস গড়ার সেই মুহূর্তটি। সাকিবর ২০৭ করার পর ক্যামেরা ধরা ছিল তামিমের মুখে। তামিম সজোরে করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন বন্ধুকে।

আর প্রথম বাংলাদেশি ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মুশফিক সাকিবের সঙ্গে উইকেটেই ছিলেন দীর্ঘক্ষণ। গড়েছেন ৩৫৯ রানের অবিশ্বাস্য এক জুটি। মুশফিক ১৫৯ রান করে ফেরায় ভেঙেছেন এই জুটি।

পরে মুশফিকের পথ ধরে সাকিবও ফিরেছেন সাজঘরে। ফেরার পথে তাঁর অভিব্যক্তি বলছিল, এভাবে আউট হওয়াটা সাকিবের পছন্দ হয়নি। ২৭৬ বলে খেলা ৩১টি চারের ইনিংসে কবার ভাগ্যের সাহায্য পেয়েছেন। কিন্তু এ ছাড়া আজ সাকিব যেভাবে যে শট খেলতে চেয়েছেন, তা-ই হয়েছে। তা ছাড়া দিনের খেলাও বাকি ছিল না খুব বেশি। অপরাজিত থেকে ফিরলে রাতভর বিশ্রাম নিয়ে কাল নতুন করে শুরু করতে পারতেন।

দিনের শেষ বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মেহেদী মিরাজও। ৭ উইকেটে ৫৪২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ।

 

Source: Prothom-Alo

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *