হাথুরুর মাস্টার প্লানে ধরাশায়ী বাংলাদেশ!!

0

হাথুরুর মাস্টার প্লানে ধরাশায়ী বাংলাদেশ!!

এিদেশীয় কোন সিরিজ আগে জিতা হয়নি টাইগার দের। তাই প্রথমবারের মত সিরিজ জয়ের হাতছানি নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচের ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠার জন্য বাংলাদেশ দল তিনটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে। একাদশে ফিরেন সাইফুউদ্দীন, মিথুন ও মিরাজ। শ্রীলংকা দল একটি পরিবর্তন করে একাদশ সাজায়।

এই সিরিজে একটানা টস জিতার পর, ফাইনালে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ। বোলিং এর শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। নাসির এর পরিবর্তে একাদশে ফিরা মেহেদি হাসান মিরাজ এর বলে প্রথম শিকার হন শ্রীলংকান ওপেনার গুণাতলিকা(6) রানে। তখন দলীয় রান 8। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে কুশাল মেন্ডিশ আচমকা আক্রমণ করেন টাইগার বোলারদের। তিনি মাএ 9 বলে 28 রান সংগ্রহ করেন। তার এই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার আগে তাকে থামান টাইগার ক্যাপ্টেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। শ্রীলঙ্কার তখন দলীয় রান 42/2 উইকেট। তৃতীয় উইকেট জুটিতে উপুল থারাঙ্গা ও নিরোশন ডিকওয়ালা(71) রানের জুটিতে বিপদ সামাল দেন। 24 তম ওভারে মাশরাফি আক্রমণে আনেন সাইফুউদ্দীনকে। অধিনায়ক এর আস্হার প্রতিদান দিয়ে তিনি ডিকভেলাকে 36 রানে সাব্বির রহমানের ক্যাচে পরিণত করেন। 113 রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় শ্রীলংকা।


চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক দিনেশ চান্ডিমাল এর সঙ্গে 45 রানের জুটি গড়ে শ্রীলঙ্কাকে বড় সংগ্রহ দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন উপুল থারাঙ্গা। কিন্তু 36 তম ওভারে থারাঙ্গাকে (56) রানে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে পাঠান মুস্তাফিজুর রহমান। এই উইকেটের মাধ্যমে ওয়ানডেতে প্রথম বাংলাদেশি হিসাবে দ্রুত তম 50 উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজুর রহমান। এই জন্য. তিনি 27 টি ওয়ানডে খেলেছেন। ওয়ানডেতে মুস্তাফিজের এই 50 উইকেট যুগ্নভাবে অষ্টম দ্রুতগতির। এইবার বোলিং আক্রমণ এ আসেন পেসার রুবেল। ফর্ম থাকা থিসারা পেরারাকে ফেরান রুবেল। আগুন জরানো বোলিং এ রুবেল দ্রুত শ্রীলংকার শেষ 4 উইকেট তুলে নিলে  221 রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলংকা। বাংলাদেশের হয়ে পেসার রুবেল হোসেন 46 রানে 4 উইকেট শিকার করেন। মুস্তাফিজ নেন 29 রানে 2 উইকেট।


ইনিংসের মাঝপথে ফিল্ডিং করতে গিয়ে হাতে চোট পান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল.হাসান। এইজন্য তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার ব্যাট হাতে নামার সম্ভাবনা খুব কম। তারপরেও চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে দলের প্রয়োজনে তাকে মাঠে নামানোর।

222 রানের টার্গেট এ ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা একদম ভালো হয়নি। দলীয় 11 রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তামিম ইকবাল (3) রানে। দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান কে হারিয়ে শুরুতে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় উইকেটে সাকিবের জায়গায় ব্যাট করতে নামা সাব্বির জুটি বাধেন মিথুন এর সাথে। তারা দলকে বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি। 8 ওভারে দলীয় 17 রানের মাথায় রান আউটে কাটা পরেন বিজয় এর জায়গায় খেলতে নামা মুহাম্মদ মিথুন। 17/2 উইকেট হারিয়ে চাপা পড়া বাংলাদেশ আরো বিপদে পড়ে দলীয় 22 রানে অফ ফর্মে থাকা সাব্বির রহমানকে হারিয়ে।

তিন উইকেট হারিয়ে অতল সাগরে পড়া বাংলাদেশকে টেনে তুলার দায়িত্ব নেন, দুই ভাইরা ভাই মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ। তারা দেখে শুনে খেলে 58 রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বির্পযয় সামাল দেন। খুব দারুণ খেলতে থাকা মুশফিক মন হয় বেশীক্ষণ মাঠে থাকতে চাইল না, দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে সুইপ শট খেলতে গিয়ে ব্যাক্তিগত 22 রানে আউট হয়ে ফিরেন আকিলার বলে। বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ 80/4। পঞ্চম উইকেট জুটিতে মিরাজ মাহমুদুল্লাহকে বেশীক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেন নি। মাএ 5 রান করে আউট হয়ে যান মেহেদি হাসান মিরাজ। 37 রানের জুটিতে মাহমুদুল্লাহ ও সাইফুউদ্দীন দলকে টেনে তুলার চেষ্টা করলেও, ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফিরে যান সাইফুউদ্দীন। এক প্রান্তে অবিচল থেকে মাহমুদুল্লাহ তার অর্ধশতক তুলে নেন। শেষের দিকে মাশরাফি, রুবেল দের দ্রত উইকেট হারিয়ে 142 রানে অলআউট বাংলাদেশ। 79 রানের পরাজিত হয়ে আরেকটি ব্যর্থতার গল্প রচনা করল বাংলাদেশ।প্রথমবারের মত এিদেশীয় সিরিজ জয়ের সপ্ন সপ্নই রয়ে গেল টাইগার সমর্থকদের। উল্লেখ্য যে হাতের ইনজুরির কারণে ব্যাট হাতে দেখা যায় নি সাকিব আল হাসান কে।

শ্রীলঙ্কার হয়ে অভিষিক্ত মাধুশঙ্কা  3 উইকেট ও দুশমান্তা 2 উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার সহজ জয়ে নেতৃত্ব দেন।

ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ : উপুল থারাঙ্গা।

ম্যান অফ দ্যা টূর্ণামেন্ট : থিসারা পেরেরা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

শ্রীলংকা : 221/10 (50 ওভার) থারাঙ্গা 56, চান্দিমাল 45,ডিকওয়ালা 42 ( রুবেল 46/4, মুস্তাফিজ 29/2)

বাংলাদেশ : 142/9 মাহমুদুল্লাহ 76, মুশফিক 22 ( দুশমান্তা 17/2,মাধুশঙ্কা 26/3 )

Reported By

Mohammad Ali

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *