“হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির আন্ডারগ্রান্ড স্টুডেন্টদের মেন্টর” হিসেবে অফার পেয়েছেন বাংলাদেশি শাহীনূর আলম জনি!” নেক্সট চার বছর হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির আন্ডারগ্রান্ড স্টুডেন্টদের মেন্টরিং করবেন বা পরামর্শ দিবেন তিনি!

একটি মজার বিষয় হলো, তিনি দেশের বাইরে থাকলেও বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য শিক্ষার্থীদের কাছে তিনি বেশ জনপ্রিয়। সবাই তাকে ‘জনি ভাই’ বলেই চেনেন। তিনি তরুনদের কাছে একজন লিজেন্ড, একজন আইকন, একজন অনুপ্রেরণা ।

বর্তমানে তিনি ‘এরিকসন’ (Ericsson), ইউরোপের ‘সলিউশন ও প্রোগ্রাম ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত এবং ‘ইয়ুথ কার্নিভাল’ নামক একটি সামাজিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা, যার ফেসবুক ফলোয়ার সংখ্যা ২৭ লক্ষ। সাথে বিশ্বের শীর্ষ এবং সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয় এমআইটির স্লন স্কুল অফ ম্যানেজমেন্ট থেকে Advanced Certificate for Executives (ACE) এবং হার্ভার্ড বিসনেস স্কুল থেকে General Management Program (GMP ) কমপ্লিট করেছেন সাথে এমআইটি ও হার্ভার্ড অ্যালামনাই হিসেবে নিজেকে চিহ্নিত করতে পেরেছেন, যেটা বাংলাদেশি হিসেবে সম্মানের বিষয়।।

প্রকৌশলী শাহীনূর আলম জনি বলেন, বাংলাদেশের প্রচুর কৃতি সন্তান আজ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে শীর্ষপদে কাজ করছেন, তবুও আমাদের দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা অস্বাভাবিকরকম বেশি। মূলত এই শিক্ষিত তরুণদের সাথে বাংলাদেশের এই কৃতি সন্তানদের মেলবন্ধনের উদ্দেশ্যেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইয়ুথ কার্নিভাল। ইয়ুথ কার্নিভালের মূল লক্ষ্য বিপুল এই জনগোষ্ঠীকে জনশক্তিতে রূপান্তরিত করা।

তাছাড়া, ১৯ বছর ধরে ৫৬টি দেশে ১২০ টি মাল্টিমিলিয়ন অ্যাকাউন্ট বা প্রজেক্টকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে শাহীনূর আলমের। ১৮০টার বেশি প্রোফেশনাল সার্টিফিকেশন, ট্রেনিং ও কোর্স করেছেন তিনি।

চাকরির পাশাপাশি বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে লেখাপড়া করেছেন শাহীনূর আলম জনি। কখনো বিজনেস, কখনো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, যেমন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং, ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং, বিগ ডাটা, IOT, ক্লাউড কম্পিউটিং, রোবোটিক্স, 5G, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব (Industry 4.0) ইত্যাদি নিয়েও পড়াশোনা ও কাজ করতে পছন্দ করেন।