২০২০ সালে শুধুমাত্র ব্যবসা ক্ষেত্রেই নয় বরঞ্চ টেকনোলজি খাতেও ক্যারিয়ার গড়ার অনেক সুযোগ থাকবে। আইওটি, ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ডেটা সায়েন্সের মতো বিষয়গুলোতে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য ২০২০ খুবই উপযুক্ত সময়কাল। শুধু তাই নয়, টেকনোলজি ও ব্যবসা খাতের পাশাপাশি অন্যান্য খাতেও ক্যারিয়ার গড়ার অনেক সুযোগ থাকবে। চলুন তাহলে জেনে নিই, এমন কিছু ট্রেন্ডিং খাত সম্পর্কে, যেগুলোতে ২০২০ সালে ক্যারিয়ার গড়ার যথেষ্ট সুযোগ থাকবে। দুই পর্বের এই আর্টিকেলের আজকে হচ্ছে প্রথম পর্ব।

Source: wordpress.com

সিনিয়র ডেটা সায়েন্টিস্ট

গণিত খাতে একজন সিনিয়র ডেটা সায়েন্টিস্ট মূলত অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিভাগে কাজ করে থাকেন। একজন সিনিয়র ডেটা সায়েন্টিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে আপনার যে সকল দক্ষতা থাকতে হবে সেগুলো হচ্ছে,

১. কম্পিউটার সায়েন্স, স্ট্যাটিস্টিকস, ইনফরমেশন সায়েন্স, গণিত, অর্থনীতি অথবা অপারেশন রিসার্চের উপর কমপক্ষে ২ বছরের অনার্স অথবা মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হবে।

২. মেশিন লার্নিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও এনএলপির উপর দক্ষতা থাকতে হবে।

৩. ডেটা ড্রাইভেন স্ট্যাটিস্টিক্যাল অ্যানালাইসিস ও মডেলিংয়ের উপর গভীর জ্ঞান থাকতে হবে।

৪. পাইথন, আর, সি প্লাস প্লাস, স্ক্যালা এবং মেশিন লার্নিং ভাষার উপর দক্ষ হতে হবে।

৫. টেনসর ফ্লো, কেরাস, ক্যাফে, ম্যাক্স নেট, স্পার্ক এবং হ্যাডপ ফ্রেমওয়ার্কের উপর কমপক্ষে ৩ থেকে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

৬. কাস্টম অ্যালগরিদম ও এনভায়রনমেন্টের উপর কমপক্ষে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

Source: tmc-employeneurship.com

ইউনিক্স এন্ড সি প্লাস প্লাস ডেভেলপার

গণিত খাতে একজন ইউনিক্স এন্ড সি প্লাস প্লাস ডেভেলপার মূলত ব্যাংকের অ্যাপ্লিকেশন ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট বিভাগে কাজ করে থাকেন। একজন ইউনিক্স এন্ড সি প্লাস প্লাস ডেভেলপার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে আপনার যে সকল দক্ষতা থাকতে হবে সেগুলো হচ্ছে,

১. সি প্লাস প্লাস ও মডার্ন সি প্লাস প্লাসের উপর কমপক্ষে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

২. সার্ভার সাইড অ্যাপ্লিকেশনের মডেল ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টের উপর যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে।

৩. ডিস্ট্রিবিউটেড সিস্টেম ডিজাইন, নেটওয়ার্ক প্রটোকল ও মেসেজিং ফ্রেমওয়ার্কের উপর গভীর জ্ঞান থাকতে হবে।

৪. লো লেটেন্সি সার্ভার আর্কিটেকচারের উপর দক্ষ হতে হবে।

৫. ডিবাগিং টেকনিক ও কোড টার্গেটিং সম্পর্কে জানতে হবে।

৬. জিসিসি, জিডিবি, এমএসভিসি এবং এসভিএনের উপর দক্ষ হতে হবে।

৭. পাইথন, পার্ল ও শেল স্ক্রিপ্টিং ভাষার উপর কমপক্ষে ৩ থেকে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

Source: teamopenoffice.org

জাভা হেজ ফান্ড ডেভেলপার

গণিত খাতে একজন জাভা হেজ ফান্ড ডেভেলপার মূলত হেজ ফান্ড ও ট্রেডিংয়ের উপর বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকেন। একজন জাভা হেজ ফান্ড ডেভেলপার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে আপনার যে সকল দক্ষতা থাকতে হবে সেগুলো হচ্ছে,

১. জাভা প্রোগ্রামিং ভাষার উপর কমপক্ষে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা।

২. জাভা ও সি প্লাস প্লাস এবং মাল্টি থ্রেডেড প্রোগ্রামিংয়ের উপর যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে।

৩. ফিক্স ও অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।

৪. মার্কেট ডেটা এপিআই, ব্লুমবার্গ ও রিউটারসের উপর দক্ষ হতে হবে।

৫. মেসেজিং ফ্রেমওয়ার্ক, জিরো এমকিউ, একটিভ এমকিউ, জিআরপিসির উপর দক্ষ হতে হবে।

৬. ডিজাইন প্যাটার্ন ও ইঞ্জেকশন ফ্রেমওয়ার্কের উপর কমপক্ষে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

৭. ইউনিট টেস্টিং, জিআইটি ও কম্পিউটার অ্যালগরিদমের উপর দক্ষতা থাকতে হবে।

Source: fiverr.com

অপারেশনাল রিসার্চার

গণিত খাতে একজন অপারেশনাল রিসার্চার মূলত যেকোনো কোম্পানির মার্কেটিং, ম্যানেজমেন্ট ও সেলসের উপর গবেষণা করে থাকেন। একজন অপারেশনাল রিসার্চার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে, আপনার যে সকল দক্ষতা থাকা লাগবে,

১. অরগানাইজেশনাল অপারেশন, প্র্যাকটিক্যাল অপারেশন, ফিল্ড অপারেশন এবং ম্যানেজমেন্ট অপারেশনের উপর কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

২. মার্কেট রিসার্চ, মার্কেট অ্যানালাইসিস, ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানিং ও রিসার্চিংয়ের উপর যথেষ্ট দক্ষতা থাকতে হবে।

৩. বিভিন্ন অরগানাইজেশনাল সিস্টেম থেকে ডেটা সংগ্রহ ও সংরক্ষন করার দক্ষতা থাকতে হবে।

৪. বিভিন্ন প্রজেক্ট মডেল ও সিস্টেম মডেল রিসার্চ করে ডেটা অ্যানালাইসিস ও ডেভেলপ করার দক্ষতা থাকতে হবে।

৫. স্প্রেডশিট, ডেটাবেজ ও সফটওয়্যার প্রোগ্রামিংয়ের উপর দক্ষতা থাকতে হবে।

৬. নিউমেরিক্যাল ও আলফা নিউমেরিক্যাল প্রোগ্রামিংয়ে দক্ষ হতে হবে।

৭. থ্রেডেড সিমুলেশন, নেটওয়ার্ক অ্যানালাইসিস, ডিসিশন অ্যানালাইসিস, মাল্টি  ক্রাইটেরিয়া অ্যানালাইসিস, সিনেরিও অ্যানালাইসিসের উপর যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে।

৮. সফট সিস্টেম মডেলিং, অপটিমাইজেশন, গেইম ও কোয়ারি থিওরি ডেভেলপমেন্টের উপর যথেষ্ট দক্ষ হতে হবে।

Source: sokanu.com

ই-কমার্স স্পেশালিষ্ট

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট খাতে, একজন ইকমার্স স্পেশালিস্ট মূলত একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির অনলাইন বিজনেস বিভাগের দায়িত্বে থাকেন। একজন ই-কমার্স স্পেশালিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে আপনাকে যেসকল বিষয়গুলোতে দক্ষ হতে হবে সেগুলো হচ্ছে,

১. মার্কেটিং রিসার্চ, পারফরম্যান্স অ্যানালাইসিস ও স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিংয়ের উপর কমপক্ষে ৪ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

২. পাইথন, আর, এসএএস, লার্জ স্কেল কম্পিউটিং এবং প্রোগ্রাম মডেলিংয়ের উপর যথেষ্ট দক্ষতা থাকতে হবে।

৩. ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেলিং ও ইকমার্স ডিজাইনিংয়ের উপর পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

৪. এসকিউএল, এসএএস ও ডেটা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার থেকে ডেটা ড্রাইভিং ও ডেটা সংরক্ষণে দক্ষতা থাকতে হবে।

৫. প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, অ্যানালিটিক্যাল থিংকিং ও প্রব্লেম সলভিংয়ের জ্ঞান থাকতে হবে।

৬. মাইক্রোসফট অফিস স্যুইটের উপর পারদর্শী হতে হবে।

৭. ট্যাব্লিউ, এসকিউএল কোডিং ও অ্যাইল কোডিংয়ে দক্ষ হতে হবে।

consulente ecommerce specialist

Source: sarao.it

এসইও অ্যানালিস্ট

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট খাতে, একজন এসইও অ্যানালিস্ট মূলত একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির মার্কেটিং ও অ্যাডভার্টাইজমেন্ট বিভাগে কাজ করে থাকেন। একজন এসইও অ্যানালিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে আপনাকে যেসকল বিষয়গুলোতে দক্ষ হতে হবে সেগুলো হচ্ছে,

১. বিভিন্ন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির ওয়েবসাইট ও অ্যাপ্লিকেশনে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনে করার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

২. এসইও কোডিং ও এসইও কনটেন্ট সম্পর্কে দক্ষ হতে হবে।

৩. ইউজার এক্সপেরিয়েন্সের উপর নির্ভর করে এসইও করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

৪. এসইও, এসইএম, গুগল ট্রেন্ড, গুগল আপডেট ও সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ে দক্ষ হতে হবে।

৫. রিসার্চিং, টেস্টিং ও  অ্যানালাইসিস করার দক্ষতা থাকতে হবে।

৬. ডেটা ড্রাইভেন এসইও ও এর কোডিং করা সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে।

৭. দলগতভাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।