সকল ধরনের উদ্যোক্তাদের সবসময় মনে রাখা উচিত যে ভাগ্য এবং সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় থাকা অনেক সাফল্য বয়ে আনতে পারে।
পর্যায়ক্রমে আগাতে হবে, কিন্তু ধীরে ধীরে। উদ্যোক্তা যদি দ্রুত কাজ শেষ করতে যান তাহলে স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তা জন্য অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই আপনাকে প্রথমে জানতে হবে বিস্তারিত, জানতে হবে একটা সুসংগঠিত পদ্ধতি সম্পর্কে, জানতে হবে সেই পদ্ধতিটি কীভাবে কাজ করে।
তবে খুব বেশি যথাযথ গঠন হতে হবে তা-ও নয়। বরং পর্যায়ক্রম তৈরি করুন অনেকটা অটোম্যাটিক বিজনেস প্রসেসের মাধ্যমে। যেমন ধরুন ট্রেইনিং ভিডিও তৈরি করলেন দ্রুত কাস্টমার পাবার জন্য বা কর্মী পাবার জন্য। তারপর ক্লায়েন্টের সাথে কীভাবে ভালো সম্পর্ক রাখা যায়, কীভাবে ক্লায়েন্ট সংখ্যা বাড়ানো যায় সেগুলো নিয়ে ভাবুন। যত দ্রুত সব কিছু করতে যাবেন, তত দ্রুত আপনার স্বপ্নের বিজনেস তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়বে। তাই সময় হাতে নিয়ে আগে-পিছে ভেবে সিধান্ত নেওয়া চাই।
অটল নেশাঃ আপনি কি ভালবাসেন এ ধরনের উপদেশ এখন গতানুগাতিক হয়ে গেছে। একজন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্যে প্রতিশ্রুতি এবং উৎসর্গীকরণের প্রয়োজন হয় – আমি বলতে চাই অনেক চাকরির চেয়েও বেশী। আপনি যদি আপনার পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে দ্বিধায় বা অলসভাবে উদ্দীপিত হন, তবে তা উচ্চ এবং নিম্ন স্তরের মাধ্যমে আপনাকে টিকিয়ে রাখতে পারবে না যা, অনিবার্যভাবে ঘটবে। আপনি যদি ভালোবাসার মত কিছু খুজে পান সেটাই অন্যদের সাথে ভাগ করার জন্য যথেষ্ট হবে, যে ভালবাসা আপনাকে জ্বালানি এবং উদ্দেশ্য দেবে।
উন্মুক্ত মানসিকতাঃ সবচেয়ে সফল উদ্যোক্তারা অন্যদের থেকে যতটা শিখে তা কখনও ভুলতে পারেনা । তারা পরামর্শ চায়। তারা পরিবর্তনশীল হয়। তারা একটি স্পঞ্জএর মত তাদের চারপাশের সেরা চর্চাটা করেন। ব্যর্থতার ভয় লোহার মুষ্টির সাথে আপনার লক্ষকে আকড়ে থাকার পথ সহজতর করতে পারে, কিন্তু কট্টর ভাব আপনাকে রক্ষা করবে না।
অভিজ্ঞ হওয়ার আকাঙ্ক্ষাঃ উদ্যোক্তারা একটি চ্যালেঞ্জ এর মত। যদি তারা করতে না পারে, হতে পারে তারা অন্য পথে কাজ করতে পছন্দ করবে। কিন্তু একটি নতুন ক্ষেত্র বিবেচনা করা খুবই উত্তেজনাপূর্ণ, উচ্চমানের উদ্যোক্তারা জানেন যে একটানা একই শিল্পে লেগে থাকার সুবিধা অপরিমেয়। যখন আপনি একই শিল্পে অনেক বছর কাটান, আপনি তার ইতিহাস শিখতে পারবেন। আগে কি করা হয়েছে তা জানা আপনাকে সাহায্য করতে পারে যে কীভাবে চলা উচিত এবং সামনে এগিয়ে যাওয়া উচিত। ইতিমধ্যে, আপনি ভবিষ্যতে রাজত্ব প্রতিষ্ঠায় আপনাকে সমর্থন করার নেটওয়ার্ক তৈরি করতে সক্ষম হবেন, বিশেষ করে যখন সময় খারাপ হয়। এই সম্পর্ক গুলো অমূল্য হয়।
সুনির্দিষ্ট এগিয়ে চলার পদ্ধতিঃ সফল উদ্যোক্তারা সবসময় এগিয়ে চিন্তা করেন। তারা তাদের রোডম্যাপ থেকে বিপথগামী হতে পারে, এবং এটা ঠিক আছে, কিন্তু তাদের মনে এটা আছে ।সুস্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠিত লক্ষ্য ঠিক করা আপনাকে বিপদগামি হওয়া থেকে রক্ষা করবে। আপনার লক্ষ্য ক্রমাগত বিকশিত হতে পারে, কিন্তু আপনি যদি না জানেন যে আপনি কোথায় যেতে চান, সম্ভবত, আপনি কোথাও যেতে পারবেন না।
স্থির ধারনাঃ ভালভাবে একটি প্রকল্প সম্পূর্ণ করা বিরাট ব্যপার। কিন্তু যারা সফল উদ্যোক্তারা তারা সফলতার পরে বিশ্রাম করে না। বরং তারা নিজেদেরকে জিজ্ঞাসা করে, “এরপর কি?” তারা বুঝতে পারে যে একজন সফল উদ্যোক্তা হচ্ছে জীবন যাপনের ধরন , একটি মাত্র গন্তব্য নয়।
নিজের ভেতর প্রতিনিয়ত কৃতজ্ঞতাবোধের অভ্যাস আপনাকে শুধুই একজন বিজনেস লিডার করে তুলবে তা নয়, বরং অভাবনীয় সাফল্য এনে দেবে আপনার ব্যক্তিগত ও ব্যাবসায়িক ক্ষেত্রে। নিজের প্রতিও কৃতজ্ঞতাবোধ আপনাকে অন্যের সাথে সুসম্পর্ক সৃষ্টিতে সাহায্য করবে। আর সুসম্পর্ক সৃষ্টি সাফল্যের অনেক বড় একটা উপাদান বলা চলে। শুধু তাই নয়, কৃতজ্ঞতবোধ আপনার সার্বিক মানসিকতারও পরিবর্তন আনতে পারে।
এই গুণসমূহ ধরে রাখুন আর হয়ে উঠুন একজন ভাল উদ্যোক্তা।