যে কারণে সকলেরই প্রতিদিন বই পড়া উচিত (পর্ব ১)

প্রমথ চৌধুরীর বলা কিছু কথা মনে পরে কি? “জ্ঞানের ভাণ্ডার যে ধনের ভাণ্ডার নয়, সত্য তো প্রত্যক্ষ; কিন্তু সমান প্রত্যক্ষ নাহলেও এও সমান সত্য যে, এযুগে যেজাতির জ্ঞানের ভাণ্ডার শূন্য, সেজাতির ধনের ভাণ্ডারও ভবানী। তার পর যেজাতি মনে বড়ো নয়, সেজাতি জ্ঞানেও বড়ো নয়; কেননা, ধনের সৃষ্টি যেমন জ্ঞান সাপেক্ষ তেমনি জ্ঞানের সৃষ্টিও মন সাপেক্ষ। এবং মানুষের মনকে সচল, সরাগ সমৃদ্ধ করবার ভার আজকের দিনে সাহিত্যের উপর ন্যস্ত হয়েছে। কেননা মানুষের দর্শনবিজ্ঞান, ধর্মনীতি, অনুরাগবিরাগ, আশানৈরাশ্য, তার অন্তরের স্বপ্ন সত্য, এই সকলের সমবায়ে সাহিত্যের জন্ম।’’ বলা হয়ে থাকে যারা বই পড়ে তাদের শত্রু কম থাকে। মানুষের মাঝে বিশাল পরিবর্তন আসে প্রতিদিন বই পড়ার অভ্যাসের কারণে। কি সেই পরিবর্তন জানতে চান? চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক।

{ "slotId": "2452885053", "unitType": "in-article" }

স্ট্রেস কমানো

দৈনন্দিন জীবনের ব্যক্তিগত সম্পর্কে সমস্যা কিংবা কর্মক্ষেত্রে চাপের বৃদ্ধি, সকল সমস্যা আপনি নিমিষেই ভুলে যাবেন যখন আপনি একটি সুন্দর গল্পের মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলবেন। গল্পের আকর্ষক আপনাকে উত্তেজিত করবে আর আপনি সক্ষম হবেন সকল স্ট্রেস কমানোর ক্ষেত্রে।

 

মানসিক উদ্দীপনা

{ "slotId": "", "unitType": "in-article", "pubId": "pub-6767816662210766" }

গবেষণায় দেখা গেছে মানসিকভাবে অনুপ্রাণিত মানুষদের আল্জ্হেইম এবং ডিমেনশিয়ার অগ্রগতি মন্থর করতে পারে, কারণ আপনার মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে যখন আপনি বই পড়েন। শরীরের অন্য কোন পেশীর মত, মস্তিষ্ককে শক্তিশালী এবং সতেজ রাখার জন্য ব্যায়ামের প্রয়োজন।

তাছাড়া ২০০৯ সালে সাকেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিরক্তি ক্লান্তিভাব দূর করতে গান শোনা, হাটা কফি বা চা পানের চেয়ে বই বেশি উপকারী। মাত্র মিনিট মনোযোগের সাথে বই পড়লে হ্নদস্পন্দন পেশি সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়। যা ক্লান্তিভাব বিরক্তি দূর করে। তাই প্রতিদিন বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

 

জ্ঞান

নতুন বই মানেই নতুন কিছু জানা। তথ্যের ভাণ্ডার মানেই বই। যেকোনো ধরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে দক্ষ হতে পারেন আপনি খুব সহজেই। উপয়া হচ্ছে প্রতিদিন বই পড়ুন। এই অভ্যাস আপনার জীবনকে করবে উন্নত। 

উপরন্তু, কখনও ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে অবতীর্ণ হলে আপনার উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে তা থেকে নিষ্পত্তি পেতে পারেন। বই পড়া আপনার উপস্থিত বুদ্ধি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।

আপনার অনেক কিছুই চুরি হতে পারে যেমন ধনসম্পদ আর হারাতে পারেন টাকা এমনকি আপনার স্বাস্থ্য। কিন্তু জ্ঞান কখনো কেউ আপনার কাছ থেকে চুরি করতে পারবে না। তাই জ্ঞান বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে বই।

 

স্মৃতি উন্নয়ন

বই পড়ার সময় আপনি সেই বইয়ের ব্যাকগ্রাউন্ড, উচ্চাভিলাষ, ইতিহাস, এবং তারতম্য সম্পর্কে জানেন এবং তা আপনার একটি নতুন পথ উন্মুচন করে দেয় স্মৃতি উন্নয়নের পথকে। আপনার তৈরি করা প্রতিটি নতুন মেমরি নতুন সাইনেপ্স (মস্তিষ্কের পথ) আরোপ করে এবং স্বল্পমেয়াদী মেমরিকে শক্তিশালী করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *