পূর্ব পরিকল্পনা কেন সফলতা অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

কর্মজীবন হোক আর ব্যক্তিজীবন সফলতা বিষয়টি সবারই কাম্য। সফলতার জন্য আমরা যতটা না কাজ করি তার চেয়ে দ্বিগুণ সফলতার স্বপ্ন দেখতে বেশি ভালোবাসি। আমাদের সবারই এরকম পরিচিত অপরিচিত কেউ না কেউ আছে বা আমরা নিজেরাই সফলতার জন্য সবসময় উন্মুখ। সবমিলিয়ে সাফল্য বিষয়টি নিজের মধ্যে ধারণের স্বপ্ন আমাদের সবারই আছে। কিন্তু এই সফলতার জন্য পরিশ্রমের বিকল্প যেমন নেই ঠিক তেমনই কিছু সহজ পরিকল্পনারও বিকল্প কিছু হতে পারে না। কখনোই কোনো সফলতাকে পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়া হাতের মুঠোয় পাবেন এই চিন্তা করা যাবে না। আপনি প্রতিনিয়ত যা ভাবছেন সেই ভাবনাগুলোর সরাসরি প্রভাব কিন্তু আচার আচরণ থেকে শুরু করে আপনার পরিকল্পনাতেও থাকে। আর তাই সঠিকভাবে সঠিক ভাবনাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আপনার কার্যকরী পরিকল্পনার ক্ষেত্রে।

{ "slotId": "2452885053", "unitType": "in-article" }

আপাতদৃষ্টিতে ছোট একটি বিষয়ও বড় পরিবর্তণ নিয়ে আসতে পারে পরিকল্পনায়। আর পূর্ব পরিকল্পনাই পার্থক্য তৈরি করে যারা সফল তাদের আর যারা সফল হয়নি তাদের মাঝে। আর আপনি যদি গুরুত্ব সহকারে জীবনের যেকোনো ক্ষেত্রে সফলতার জন্য স্বপ্ন দেখেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে পূর্ব পরিকল্পনার দিকে নজর দিতে হবে। আপনার পরিকল্পনাগুলোই জীবনের পাথেয় হিসেবে কাজ করবে। কেন পূর্ব পরিকল্পনা এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ জেনে নিতে পারেন।

১. উচ্চাকাঙ্ক্ষা তৈরি

যেকোনো কাজে সফলতার কৃতিত্ব পেতে হলে সেই কাজটি সফলভাবে শেষও করতে হবে। শুধুমাত্র কাজ শুরু করলেন আর ভাবলেন কাজটি শেষ হবেই কোনোভাবে তাহলে সেই কাজের মাঝে আপনার নিজস্ব কোন কৃতিত্ব থাকলো না। কাজ শুরু করলে শেষ হবেই কিন্তু কতটুক সফলতার সাথে সেই কাজটি আপনি শেষ করতে পেরেছেন আপনার সাফল্য কিন্তু সেখানেই। আর কাজটি সফলতার সাথে শেষ করতে হলে আপনার উচ্চ পরিকল্পনা বিশাল ভূমিকা পালন করবে। উচ্চাকাঙ্ক্ষা এমন একটি অভ্যাস যা নির্ধারণ করে আমরা কিভাবে নিজের মূল্যায়ন করছি।

মূল্যায়নের এই অবস্থানটি আপনার উচ্চাকাঙ্ক্ষা দ্বারা কাঠামো তৈরি করে আপনি ইতিবাচকভাবে ভাববেন নাকি নেতিবাচকভাবে। অর্থাৎ উচ্চাকাঙ্ক্ষা যখন আপনাকে নিজের মূল্যয়ণ এর বিষয়টি অবগত করছে, আপনি নিজেই তখন আপনার কাজের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। আর উচ্চাকাঙ্ক্ষার অভ্যাসটি অবশ্যই পরিকল্পনা থেকে শুরু হয়। ভেবে দেখুন সব উচ্চ স্বপ্নই কিন্তু আপনি চিন্তা করুন, আর আপনার এই চিন্তাই হলো পূর্ব পরিকল্পনা।

{ "slotId": "", "unitType": "in-article", "pubId": "pub-6767816662210766" }

পরিকল্পনা হলো প্রধান হাতিয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা করার। আর এই উচ্চাকাঙ্ক্ষাই নিজের প্রতি বিশ্বাস, মনোভাব, অনুভূতি আর আবেগের জায়গাগুলোকে তৈরি করে দেয়। আর তাই মনের দরজার দ্বাররক্ষক নিজেই হোন, ইতিবাচক ভাবনাগুলোকে মূল্য দিন,আর যেকোনো কাজের শুরুর পূর্বে সেই কাজটি সফল হবার উচ্চাকাঙ্ক্ষা রাখুন। দেখবেন আপনার এই পরিকল্পনা আর নিজের প্রতি বিশ্বাসই কাজটিতে সফলতা এনে দিবে।

souce: chobibazar.com

২. বিজয়ী হবার মনোভাব গড়ে তোলা

কোনো কাজে সফলতা অর্জনের ক্ষেত্রে আপনার মনোভাব অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। আর এই মনোভাব গড়ে তোলার জন্য ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ প্রয়োজন। কোন কাজের শুরুতেই যদি ভাবেন এই কাজটি আপনাকে দিয়ে হবে না, তাহলে আপনি আপনার মনের শক্তির কাছে পরাজিত হলেন। মনে রাখতে হবে, কাজটি যত কঠিনই হোক আপনার সেই কাজের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ একটি সুষ্ঠ মনোভাব গড়ে তুলতে সহায়ক। একটি অর্ধেক গ্লাস পানিকে আপনি কিভাবে দেখবেন, “গ্লাসটি অর্ধেক খালি নাকি গ্লাসটি অর্ধেক পূর্ণ” নির্ভর করে আপনার দৃষ্টিকোণের উপর।

‎আর পরিকল্পনা হলো সেই হাতিয়ার যা আপনার দৃষ্টিকোণকে আকৃতি প্রদান করবে। আপনি কাজের শুরুতেই পরিকল্পনা করুন কাজটি আপনি সফলভাবে শেষ করবেন। এই পরিকল্পনা আপনাকে ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ তৈরি করবে আর এই দৃষ্টিকোণ আপনার ভেতর বিজয়ী হবার মনোভাব তৈরি করবে। আমাদের মূল বিশ্বাস, মনোভাব, গোঁড়ামি প্রভাবিত হয় আমরা যা তথ্য পাই এবং একই সাথে আমরা যা অভিজ্ঞতা অর্জন করি তার মাধ্যমে। আর তাই প্রতিটি পরিকল্পনা যখন আমরা সফল হবার আশায় সাজাবো, তখন প্রাকৃতিক ভাবেই আমাদের মাঝে বিজয়ী হবার মনোভাব গড়ে উঠবে।

source: chobibazar.com

৩. অগ্রসর হবার সাহস অর্জন করা

কোন কাজের জন্য অগ্রসর হবার জন্য চাই শক্ত মনোবল আর এই অগ্রগামী মনোভাবই কাজটি সফলভাবে অর্ধেক শেষ হবার সমতুল্য। কোন কাজ শুরু না করলে সে কাজে সফলতা পাবেন কিভাবে? আর তাই কাজের জন্য অগ্রগামী হতে হবে। এই অগ্রগামী মনোভাবের মাঝে অর্ন্তভুক্ত রয়েছে সফল হবার দর্শন এবং কাজটি শেষ পর্যন্ত করার মতো মানসিকতা। পরিকল্পনা আপনার দর্শন এবং মানসিকতাকে সাহায্য করে সফল হবার জন্য।

যারা অগ্রগামী তারা নিজেরাই নিজেদের প্রেরণার উৎস এবং সবকিছুকে সফলভাবে অর্জনও তারা করতে পারে। তারা নিজের পরিস্থিতিকে কোনকিছুর জন্য দায়ী করেন না। পূর্ব পরিকল্পনার মাধ্যমে যেকোনো কাজ করার সাহস তাদের মাঝে ঝুঁকি নেবার প্রবণতা বৃদ্ধি করে।

source: chobibazar.com

৪. খারাপ পরিস্থিতি মোকাবিলা

আপনি যে কাজই করেন না কেন,আপনার সফলতার পথে কিছু সমস্যা থাকবেই। আপনাকে না চাইলেও অনেক সময় বৈরি পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। আপনি খারাপ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে চান তাহলে আপনাকে ঝুঁকি নিতে হবে এবং পরিস্থিতির সাথে যুদ্ধ করার মানসিকতাও রাখতে হবে।

পূর্ব পরিকল্পনার বিষয়টি কিন্তু এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বৈরি অবস্থার মাধ্যমে মানুষের মনের সাহসের পরিমাপ করা যায়। একটি কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য পরিকল্পনা আপনার মানসিকতাকে স্থির করবে,আর তাই পূর্ব পরিকল্পনা সহায়ক খারাপ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য।

source: chobibazar.com

৫. লক্ষ্য অর্জন করা

লক্ষ্য নির্ধারণের বিষয়টি অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। আর যেকোনো কাজে লক্ষ্য নির্ধারণ সফলতার মূল মন্ত্র। পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়া আপনি বেশি দূর এগোতে পারবেন না। লক্ষ্যগুলোকে সাজিয়ে ধাপে ধাপে সফলতার দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আপনি যখন পরিকল্পনার মাধ্যমে আপনার লক্ষ্যকে ঠিক করেছেন, সে লক্ষ্যের রাস্তায় হাঁটা আপনার জন্য অনেক বেশি সহজ। আপনি আগেই অবগত কোথায় কতটুকু ঝুঁকি আপনার জন্য রয়েছে। কারণ পরিকল্পনা আপনাকে ঝুঁকি নিতে যেমন সাহস যোগাচ্ছে একই সাথে পূর্ব পরিকল্পনা আপনাকে অবগত করছে কোথায় আপনার জন্য কতটুকু ঝুঁকি রয়েছে। আগে থেকে সর্তকতা আপনার লক্ষ্যের রাস্তাকে করছে সহজ। কাজেই পূর্ব পরিকল্পনা নিঃসন্দেহে লক্ষ্য অর্জনের জন্য ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখে।

source: chobibazar.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *