রূপকথার গল্প পড়তে কে না ভালবাসে। ছোট থেকে বড় সকলের কাছেই রয়েছে এর আবেদন। ছোটবেলায় রূপকথার গল্প পড়তে পড়তে আমরা সবাই হারিয়ে যেতাম কল্পনার রাজ্যে। হয়তো কখনো নিজেকে কল্পনাও করতাম সিনডারেলার মত পরিশ্রমী হিসেবে, আবার কখনো নিজেকে কল্পনা করতাম জ্যাকের মত সাহসী সেই ছেলেটি যে কিনা দৈত্যের সাথে লড়াই করেছিল। সেই প্রাচীনকাল থেকে সারা পৃথিবীতেই প্রচলিত আছে বহু ফেইরি টেলস বা রূপকথা। কিন্তু তার মাঝে কিছু গল্প সমানভাবে জনপ্রিয় পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে, যে গল্পগুলো শতাব্দীর পর শতাব্দী জয় করে চলেছে মানুষের মন। চলুন জেনে নিই তেমন কিছু রুপকথার গল্প আর তার উৎপত্তি।
১. সিনডারেলা
ছোটবেলায় কে না পড়েছি সিনডারেলার গল্প। যদিও বিভিন্ন দেশে এই গল্পের কাহিনীর বিভিন্নতা রয়েছে আর তা প্রায় পনেরশ রকম। আমাদের চিরচেনা সিনডারেলার গল্পটি মূলত রচিত হয়েছে সতের শতকের মাঝামাঝি সময়ে। পরবর্তীতে এই গল্পটি নিয়ে তৈরি হয়েছে কার্টুন এবং সিনেমা। সিনডারেলা সেই যে পরিশ্রমী মেয়েটা, যার আপন বলতে কেউ ছিল না পৃথিবীতে। সৎ মা আর সৎ বোনেরা তাকে দিয়ে সারাদিন শুধু কাজই করাতো। কিন্তু মেয়েটি যেমন ছিল সুন্দরী, তেমনি ছিল লক্ষী। তার মনটা ছিল ফুলের মতই কোমল। তাই তো তার বন্ধু ছিল পাখি, ইঁদুর আর ঘোড়া। এভাবেই কাটছিল তার দিন।
একদিন তার জীবনে একটি সুযোগ এলো। রাজপুত্রের জন্য সারা রাজ্যজুড়ে খোঁজা হচ্ছে মেয়ে। তাই রাজ্যের সকল মেয়ের ডাক পড়লো রাজপ্রাসাদে। কিন্তু সিনডারেলার যে একটি সুন্দর জামাও নেই! অনেক বুদ্ধি করে সে তার পুরনো নাচের ড্রেস টাই রিপু করে পরে তৈরি হয়ে নিল রাজপ্রসাদে যাওয়ার জন্য। সৎ মা আর বোনেরা নানানভাবে তাকে বাধা দিল। কিন্তু শেষমেশ জাদুর বুড়ির সাহায্যে সব বিপত্তি পেরিয়ে সে পৌঁছালো রাজপ্রাসাদে আর জয় করে নিল রাজপুত্রের মন।
কিন্তু এখানেও ঘটলো বিপত্তি। রাজপুত্র কাছে পেয়েও হারিয়ে ফেললো সিনডারেলাকে। কারণ জাদুর বুড়ি যে তাকে রাত বারোটা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু তার কাঁচের একপাটি জুতা দিয়ে পরে রাজপুত্র খুঁজে পেলেন সিনডারেলার সন্ধান। এভাবেই লক্ষী মেয়ে সিনডারেলা পেল নতুন জীবন। হাজার বছর ধরে গোটা পৃথিবীতে সিনডারেলার এই গল্প মানুষের মুখে মুখে।যেমন প্রাচীন মিশর ও চীনে এই গল্পটি ভিন্নভাবে প্রচলিত।
২. তুষারকন্যা ও সাত বামুন
একদেশে ছিল অনিন্দ্যসুন্দরী এক রানী। একদিন এক কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকালে সে জানালার পাশে বসে সেলাই করছিল। বাইরে অনবরত তুষারপাত হচ্ছিল। হঠাৎ তার হাত কেটে একফোঁটা রক্ত গড়িয়ে পড়লো সেই তুষারের ওপর। শ্বেতশুভ্র তুষারের ওপর লাল রক্তের ফোঁটা দেখে রানী ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করল তার যেন এমন একটি মেয়ে হয় যে হবে তুষারের মতো শুভ্র আর তার ঠোঁট হবে রক্তরাঙ্গা লাল। ঈশ্বর রানীর সেই ইচ্ছা পূরণ করলেন। রানীর কোলে জন্ম নিল ফুটফুটে এক রাজকন্যা। তার তুষারের মত ধবধবে শরীর আর রক্তের মত লাল ঠোঁট। তাই তার নাম রাখা হল তুষারকন্যা।
কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তুষারকন্যার জন্মের সময় রানী মারা গেলেন। তারপর সৎ মায়ের সংসারে ধীরে ধীরে বড় হতে লাগল তুষারকন্যা। যতই বড় হচ্ছিল তুষারকন্যা ততই যেন তার রূপ ফুটে উঠতে শুরু করল। সৎ মায়ের ছিল একটি জাদুর আয়না। সেই আয়নার সামনে সে যখনই প্রশ্ন করত কে বেশি সুন্দরী, জাদুর আয়না সবসময় উত্তরে রানীর নাম বলত। কিন্তু তুষারকন্যা বড় হলে জাদুর আয়না উত্তরে বলত তুষারকন্যার নাম।
তুষারকন্যার এই রূপের জন্য তার সৎ মা তাকে খুবই হিংসা করত। তার ওপর জাদুর আয়নার এই উত্তরে সে প্রচন্ড ক্ষেপে গিয়ে এক বিশ্বস্ত চরকে দায়িত্ব দিল তুষারকন্যাকে হত্যার জন্য। রানীর চর তুষারকন্যাকে হত্যা করার জন্য নিয়ে গেল গভীর জঙ্গলে। কিন্তু তুষারকন্যাকে দেখে তার মায়া হলো। তাই সে তাকে মারতে পারলো না। বরং একটি খরগোশ মেরে তার রক্ত নিয়ে গিয়ে রানীকে দেখাল। এদিকে গভীর জঙ্গলে তুষারকন্যা একা একা ঘুরে বেড়াতে লাগল।
একসময় সে একটি বাড়ি খুঁজে পেল জঙ্গলে। বাড়িটি ছিল সাতজন বামুনের। তারা তুষারকন্যাকে আশ্রয় দিল তাদের বাড়িতে। এভাবেই দিন কাটছিল। কিন্তু একদিন রানী জেনে গেলেন তুষারকন্যার কথা। সে তুষারকন্যাকে জঙ্গলে খুঁজতে এলো ছদ্মবেশে। তুষারকন্যাকে একটি বিষ মেশানো আপেল খেতে দিল সে। সেই আপেল খেয়ে তুষারকন্যা ঢলে পড়লো মৃত্যুর কোলে। সাত বামুন কাজ শেষে ঘরে ফিরে অচেতন তুষারকন্যাকে দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল। এমন সময় সেই পথ দিয়ে যাচ্ছিল এক রাজকুমার। সে ঘোড়া থামিয়ে এগিয়ে এলো। কফিনের মাঝে অপূর্ব সুন্দরী তুষারকন্যাকে দেখেই সে তার প্রেমে পড়ে গেল। তারপর রাজকুমারের ছোঁয়ায় মৃত্যু থেকে ফিরে এলো তুষারকন্যা।
আমাদের অতি পরিচিত এই রূপকথার গল্পটি ‘তুষারকন্যা আর সাত বামন’ নামে পরিচিত হলেও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামে এই গল্পটি থেকে তৈরি হয়েছে সিনেমা। এমনকি ডিজনীর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য রূপকথার চলচ্চিত্র ছিল এটি। তবে সবথেকে মজার কথা হলো, এই গল্পটি রূপকথার হলেও বাস্তবে ছিল এমনি একজন চরিত্র। যার নাম ছিল মার্গারেট। ষোল শতকের এক সম্ভ্রান্তবংশীয় তরুণী এই মার্গারেটের ওপর ভিত্তি করেই রচিত হয়েছিল তুষারকন্যার এই গল্প।
৩. জ্যাক ও শিমগাছ
জ্যাক অতি দরিদ্র একটি ছেলে। সে তার বিধবা মায়ের সাথে একটি ছোট্ট কুটিরে থাকতো। গোয়ালঘরে থাকা একটি গরুই ছিল তাদের একমাত্র সম্বল। গরুর দুধ বিক্রি করেই চলতো তাদের সংসার। একসময় গরুটি দুধ দেওয়া বন্ধ করলে জ্যাকের মা তাকে গরুটি বিক্রি করে টাকা নিয়ে আসতে বলে। মায়ের কথামত জ্যাক গরুটি বিক্রি করতে বাজারে যায়। কিন্তু পথিমধ্যে জ্যাকের সঙ্গে একজনের দেখা হয়, যে গরুটির বদলে তাকে কিছু জাদুর শিমের বিচি দিতে চায়।
লোকটি জ্যাককে আশ্বাস দেয়, এই শিমের বিচি তাদের সব কষ্ট দূর করে দিবে,তাদের প্রচুর অর্থ আয় হবে। জ্যাক লোকটিকে বিশ্বাস করে তাকে গরুটি দিয়ে দেয় আর কিছু শিমের বিচি নিয়ে ঘরে ফিরে আসে। কিন্তু যখন জ্যাক কোনো টাকা ছাড়াই ঘরে ফিরে আসলে তার মা ভীষণ রেগে গিয়ে শিমের বিচিগুলো মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। রাতের খাবার ছাড়াই জ্যাককে বিছানায় পাঠিয়ে দিল। জ্যাক খুবই আশাহত হয়ে বিছানায় চলে গেল।
এদিকে সেই রাতে মাটিতে ছুঁড়ে ফেলা শিমের বিচিগুলো থেকে দৈত্যাকৃতির একটি লতানো শিম গাছ বেরিয়ে এল। পরদিন ভোরবেলা জ্যাকের ঘুম ভেঙ্গে গেল। সে তার জানা্লা দিয়ে লতানো শিমগাছটি দেখে বাইরে বের হয়ে এল। তারপর সেই শিমগাছ বেয়ে সে একসময় অনেক উপরে পৌঁছাল। প্রায় আকাশের কাছাকাছি উচ্চতায়। সেখানে জ্যাক দেখল এক বিশাল দূর্গ। গুটিগুটি পায়ে জ্যাক প্রবেশ করল সেই দূর্গের ভিতরে।
দূর্গটির মালিক ছিল এক মানুষখেকো দৈত্য। সে জ্যাককে দেখতে পেয়েই বিকটস্বরে চিৎকার করে উঠল। সে জ্যাককে হত্যা করতে উদ্যত হলেও সে যাত্রায় জ্যাক কোনভাবে বেঁচে গেল। তারপর দৈত্যটি একসময় ঘুমিয়ে পড়লো। তখন জ্যাক একটি সোনার মুদ্রা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে নেমে এলো শিমগাছটি বেয়ে। তারপর জ্যাক আরো দু’বার শিমগাছ বেয়ে উপরে উঠল। প্রথমে একটি সোনার ডিম দেয়া হাঁস আর দ্বিতীয়বার একটি জাদুর বীণা নিয়ে আসল। জ্যাক ঘরে ফিরে তার মাকে এসব দেখাল।
জ্যাক মাকে বললো একটি কুড়াল আনতে। তারপর সেই কুড়ালটি দিয়ে জ্যাক শিমগাছের গোড়াটি কেটে দিল, যাতে দৈত্যটি নিচে আসতে না পারে। গাছটি কেটে দেওয়ায় দৈত্যটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো। আর জ্যাক ও তার মা সুখে স্বচ্ছন্দে বসবাস করতে লাগল। তাদের আর কোন অভাব থাকল না। রূপকথার চরিত্র জ্যাক মূলত ইংল্যান্ডে সৃষ্টি। ধারণা করা হয়, এই গল্পটি সৃষ্টি প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে। গত দশকে এই গল্পটি থেকে দুইটি সিনেমা তৈরি হয়েছে।
৪. রুপাঞ্জেল
রূপকথার সবচেয়ে বিখ্যাত চরিত্র বোধহয় রুপাঞ্জেল চরিত্রটি। যার ছিল অনেক লম্বা চুল। বাস্তবেও আমরা অনেক সময় লম্বা কারো চুল দেখলেই রুপাঞ্জেল চরিত্রটির সাথে তুলনা করি। এক দম্পত্তি একাকী বাস করত একটি বাড়িতে। তাদের পাশেই জঙ্গলের মধ্যে গোথেল নামক এক ডাইনী থাকতো। এক রাতে, লোকটি জঙ্গলে গেল তার অন্তঃস্বত্তা স্ত্রীর জন্য খাবারের সন্ধানে। কিছু ফল আর সবজি নিয়ে ফিরল সে। তার স্ত্রী এগুলো দিয়ে একটি সালাদ তৈরি করল। সালাদটির খুব সুস্বাদু হওয়ায় সে আরো একটু খেতে চাইল। তাই লোকটি দ্বিতীয়বার জঙ্গলে গেল খাবারের সন্ধানে। কিন্তু এবার জঙ্গলের দেয়াল বেয়ে বেরিয়ে আসার সময় ডাইনী গোথেল তাকে ধরে ফেলল এবং তাকে শাস্তি দিতে উদ্যত হল চুরির অভিযোগে।
লোকটি অনেকবার ক্ষমা চাইল। সে তার ক্ষুধার্ত স্ত্রীর কথা বলল। কিন্তু গোথেলের মন গললো না এতে। শেষমেশ গোথেল তাকে এক শর্তে মুক্তি দিতে রাজি হল। শর্তটি হল, যখন তাদের বাচ্চা জন্ম নিবে তখন সেই বাচ্চাটিকে গোথেলকে দিয়ে দিতে হবে। কোনো উপায় না দেখে অবশেষে লোকটি এই শর্ত মেনে নিল। তার কিছুদিন পর তাদের একটি মেয়ে জন্ম নিল। শর্তমতে, গোথেল সেই মেয়েটিকে নিয়ে গেল তার কাছে। গোথেল মেয়েটির নাম দিল রুপাঞ্জেল।
ধীরে ধীরে রুপাঞ্জেল বড় হয়ে ঊঠল। সে হয়ে উঠল খুব সুন্দরী আর তার ছিল অনেক লম্বা সোনালী চুল। যখন তার বয়স ১২, তখন গোথেল তাকে গভীর জঙ্গলে কাঠের তৈরি অনেক উঁচু একটি ঘরে বন্দী করে রেখে দিল। সেই ঘরটির কোনো দরজা ছিল না। শুধু ছিল একটি জানালা। গোথেল মাঝেমাঝে রুপাঞ্জেলকে দেখতে আসতো। তখন রুপাঞ্জেল তার লম্বা সোনালী চুল জানালা দিয়ে মেলে দিত। সেই চুল বেয়েই উপরে উঠত গোথেল।
এভাবেই দিন চলছিল। একদিন এক রাজকুমার সেই জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে একটি মিষ্টি মেয়েলি কণ্ঠে গান শুনতে পেল। সে তার চারপাশে খুঁজতে লাগল মেয়েটিকে। তারপর সে কাঠের টাওয়ারটি দেখতে পেল, যার জানালা দিয়ে গানটি ভেসে আসছিল। কিন্তু সেই জানালার কাছে পৌঁছানোর উপায় জানা ছিল না রাজপুত্রের। অবশেষে সে একদিন উপায় পেল গোথেলের চুল বেয়ে উপরে উঠা দেখে। গোথেল চলে গেলে সেও একইভাবে উপরে ঊঠে গেল এবং রুপাঞ্জেলকে দেখতে পেল।
রাজকুমার রুপাঞ্জেলকে বিয়ের প্রস্তাব দিল। রুপাঞ্জেলও তাতে সায় দিলে রাজকুমার তাকে উদ্ধার করতে চাইল এই বন্দীদশা থেকে। তাই রাজকুমার তাকে একটি রেশমের কাপড়ের টুকরা দিয়ে গেল যেটা দিয়ে মই বানিয়ে রুপাঞ্জেল নিচে নেমে আসতে পারবে। তারপর থেকে রাজকুমার প্রতিরাতেই সেখানে যেত রুপাঞ্জেলের সাথে দেখা করতে। কিন্তু এর মাঝেই একদিন ডাইনি গোথেল সব জেনে গেল। সে ক্রোধে রুপাঞ্জেলের চুল কেটে দিল আর তাকে আরো গভীর এক জনহীন জায়গায় পাঠিয়ে দিল যাতে রাজকুমার তার খোঁজ না পায়।
এক রাতে রাজকুমার টাওয়ারের নিচে গিয়ে রুপাঞ্জেলকে ডাক দিতেই গোথেল রুপাঞ্জেলের কাটা চুল নিচে মেলে দিল। রাজকুমার উপরে গিয়ে রুপাঞ্জেলকে দেখতে পেল না। তার বদলে দেখল গোথেলকে। রুপাঞ্জেলকে আর কোনদিন দেখতে পাবে না বলে সে সেখান থেকে লাফ দিল। মাটিতে পড়ে থাকা কিছু পাথরে আঘাত লেগে সে তার দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলল। এভাবে অনেকমাস কেটে গেল। তারপর একদিন রাজকুমার আপনমনে বনের মাঝে হাঁটছিল। হাঁটতে হাঁটতে সে আরো গহীন জঙ্গলে এসে পৌঁছাল।
এমন সময় সে রুপাঞ্জেলের কণ্ঠে গান শুনতে পেল। রুপাঞ্জেলও রাজকুমারকে দেখে ছুটে এল। এভাবেই তারা আবার মিলিত হলো আর রুপাঞ্জেলের স্পর্শে রাজকুমার আবার তার দৃষ্টি ফিরে পেল। জনপ্রিয় এই রূপকথার গল্পটির উৎপত্তি জার্মানিতে। গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৬৯৮ সালে। ধারণা করা হয়, গল্পটি ইতালিয়ান গল্প ‘রুবাদা’ থেকে অনুপ্রাণিত যেটি ১৬৩৪ সালে প্রকাশিত হয়। রুপাঞ্জেল গল্পের কাহিনী নানান সময়ে ব্যবহৃত হয়েছে অনেক অ্যানিমেটেড সিনেমায়। তাছাড়াও বাচ্চাদের খেলার পুতুল তৈরিতেও রুপাঞ্জেলের চেহারার আদল ব্যবহার ও সমানভাবে জনপ্রিয়।