ইউটিউব থেকে টাকা আয় করবেন কীভাবে?

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে তথ্য প্রযুক্তির ছোঁয়া পৌছায়নি এমন কোন কিছুই মনে হয় আর বাকি নাই। বিনোদন, কাজকর্ম, ব্যবসা, যোগাযোগ সবকিছুর জন্যই এখন আমরা প্রযুক্তির দ্বারস্থ হই।প্রযুক্তির কল্পনাতীত প্রসারে এখন অনেক প্রযুক্তি নির্ভর কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে। আমরা যারা প্রযুক্তি তথা ইন্টারনেটের জগতে দিনরাত ডুবে থাকি এবং সারাজীবনই থাকতে চাই, তাদের জন্য এটি অত্যন্ত খুশির সংবাদ যে আমরা প্রযুক্তির সাগরে ডুবে থেকে আমাদের ক্যারিয়ার গড়তে পারি! আর প্রযুক্তি নির্ভর ক্যারিয়ারগুলোর মাঝে সবচেয়ে সেরা বলা যায় ইউটিউবকে। আপনি যদি মনে করেন আপনি অন্যদের থেকে কোন বিষয়ে ভালো জানেন এবং উক্ত বিষয়টি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারেন, তবে ইউটিউবকে বেছে নিতে পারেন আপনার ক্যারিয়ার হিসেবে।

{ "slotId": "2452885053", "unitType": "in-article" }

বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ নিউজ, বিনোদন এবং শিক্ষণীয় ব্যপারগুলো হয়ে উঠছে ভিডিও ভিত্তিক। আর এর প্রধান প্লাটফর্মই হল ইউটিউব। এই ইউটিউবে আপনি আপনার তৈরি করা সহ যে কোনো ধরনের বিনোদনমূলক বা শিক্ষণীয় ভিডিও আপলোড করে অর্থ আয় করতে পারেন।

ইউটিউব এ ইনকাম হয় কীভাবে?

সাধারণভাবে যেকোনো পণ্য বা কোনো কিছুর বিজ্ঞাপন ইউটিউবে দেয়া হয়ে থাকে। যেগুলো আমরা সাধারণত ইউটিউবে কোনো ভিডিও দেখার সময় দেখি। এসমস্ত বিজ্ঞাপন যে সকল কোম্পানিগুলো দেয় তারা যে অর্থ ইউটিউবকে দেয় তা থেকেই কিছু পরিমাণ অর্থ ইউটিউব তার অধিনস্ত ইউটিউবারদের দেয়।

যখন কোনো ইউটিউবার অর্থ উপার্জন এর লক্ষ্য নিয়ে তার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করে থাকে, তখন তার গুগল এডসেন্সে এই অ্যাড বা বিজ্ঞাপন অনুযায়ী ক্লিক এবং ভিউ এর ভিত্তিতে টাকা জমা হতে থাকে ।

{ "slotId": "", "unitType": "in-article", "pubId": "pub-6767816662210766" }
view প্রতি আয়

image source: http://www.flickspoint.com/technology/how-much-money-youtubers-5078.html

নতুন ইউটিউবার হতে হলে যা যা জানতে হবে এবং করতে হবে

ইনকামের উদ্দেশ্য নিয়ে যদি আপনার নতুন চ্যানেল ওপেন করার ইচ্ছা থাকে, তবে অবশ্যই নতুন চিন্তাধারা নিয়ে ভিডিও তৈরী করতে হবে। যেমন আজকাল অনেকেই ফানি/প্রাঙ্ক ভিডিও তৈরী করে অনেক টাকা উপার্জন করছেন এবং এটি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বেই বেশ গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে আসছে। আবার বর্তমানে নতুন নতুন নিউজ, টেক রিলেটেড চ্যানেলগুলো ভালো সাড়া পাচ্ছে। নতুন পুরাতন সব ইউটুবারকে অবশ্যই কোনো একটি বিষয়ের উপর দক্ষ থাকতে হয়, যে বিষয়ের উপরে তার চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করা হবে

ভিডিওকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য এখন সব ধরনের ভিডিওতেই প্রায় এডিট করার প্রয়োজন হয়, সুতরাং যেকোনো একটা ভিডিও এডিটর সফটওয়্যারের ভালো না হলেও মোটামোটি কাজ জানতে হবে।

যারা ভিডিও টিউটোরিয়াল বা অন্য ধরনের ভিডিও তৈরী করতে চান তাদের অনেকেই মোবাইল দিয়ে এই কাজ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সাধারণ মোবাইল বা স্মার্টফোনের চাইতে নিম্নমানের DSLR ক্যামেরা দিয়ে ভালো কোয়ালিটির ভিডিও তৈরী করতে পারবেন।
ইউটিউব ক্যারিয়ার নিয়ে এই ভিডিও টি দেখতে পারেন

ইউটিউব চ্যানেল যে ধরেন হওয়া উচিত

সাধারণত যদি ইউটিউব চ্যানেল অর্থ উপার্জন এর লক্ষ্য নিয়ে খোলা হয়, তবে এটি অবশ্যই অন্য সাধারণ চ্যানেলের চাইতে আলাদা হতে হবে। একটি নির্দিষ্ট ক্যাটাগরি নিয়ে সব ভিডিও আপলোড করতে হবে এবং সকল ভিডিও অবশ্যই ইউনিক হতে হবে।অন্যান্য বিষয় যা আপনার চ্যানেলের ক্যাটাগরির সাথে মিলে না, সে সকল ভিডিও আপলোড করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আর সবচাইতে বড় কথা হলো আপনার চ্যানেলটিকে অবশ্যই মনিটাইজেশন এর আও্তাভুক্ত হতে হবে, তবেই আপনি ভালমানের ইনকাম করতে পারবেন।

ইউটিউব এর নতুন রুলস এবং এর নতুনদের জন্য কিছু পরামর্শ

ইউটিউবে যারা নতুন ইউটিউবার হতে চান তাদের জন্য বর্তমান সময়ে কাজ করে ইনকাম করা একটু কষ্টকর, কারণ আপনার চ্যানেলে যত দিন ১০,০০০ ভিউয়ার্স না হবে ততদিন পর্যন্ত আপনি মনিটাইজেশন এর সুবিধা পাবেন না। আর ভিডিও মনিটাইজ না করতে পারলে ইনকাম করতে পারবেন না। এর জন্য প্রথমে আপনার চ্যানেলে ১০,০০০ ভিউয়ার্স দরকার হবে। এর জন্য আগে প্রচুর পরিমাণে ইউনিক ভিডিও তৈরী করতে হবে এবং টানা ৭ থেকে ১০ দিন একাধারে দৈনিক ৫ থেকে ৬টা করে ভিডিও আপলোড করতে হবে। আর সবগুলো ভিডিওই আকর্ষণীয় টাইটেল এবং ভালো ট্যাগ যুক্ত হতে হবে ।

নতুন ইউটিউব চ্যানেলে আয় করতে হলে সর্বনিম্ন ১০০০০ views থাকতে হবে

image source: http://computernewsreport.com/10000-views-required-to-enter-youtube-partner-program-april-2017/

ভিডিও এডিট প্যানেল ও সফটওয়্যার

যদি আপনি অনেক বেশি দক্ষ ইউটিউবার হতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে সেরাটাই বেছে নিতে হবে। ইনভেস্টমেন্ট এখানে একটি চিন্তার বিষয়, তবে নরমাল একটি পিসি থাকলে মোটামোটি কাজ করা সম্ভব। অধিক অর্থ ব্যয় করে প্রথমেই কোনো এডিটিং প্যানেল তৈরী না করাই উওম। প্রথম অবস্থায় হাল্কা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহার করা উচিত। কারণ ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারগুলো সাধারণত একই ধরনের হয়ে থাকে, যার কা্রণে একটার কাজ ভালো পারলে অন্যগুলার কাজও করতে পারা যায়। বর্তমানে নানা ধরনের ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার পাওয়া যাচ্ছে তাদের কিছু রয়েছে ফ্রী ভার্সন আবার কিছু পেইড ভার্সন। এদের মধ্যে প্রফেশনাল কিছু ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার হল –

এভিএস ভিডিও এডিটর, ফাইনাল কাট প্রোএডোবি প্রমিয়ার প্রো, সনি ভেগাস, লাইট ওয়ার্কস, কোরেল ভিডিও স্টুডিও, আই মুভি, সাইবারলিংক পাওয়ার ডিরেক্টর ইত্যাদি।

{ "slotId": "2452885053", "unitType": "in-article" }
Video Editing Software

image source: https://www.amazon.com/Cyberlink-PDR-EE00-RPU0-00-PowerDirector-14-Ultra/dp/B01537HQS8 

বাংলাদেশের  কয়েকজন নামকরা ইউটিউবার ও তাদের মাসিক আয়

সালমান মুক্তাদির: তার দুটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে।
SalmoN TheBrounFish
Salmon ThePutimaas
দুটি চ্যানেল মিলিয়ে তার সাবস্ক্রাইব সংখ্যাঃ 736k + মাসিক আয়ঃ ৭ লাখ+

তাওহীদ আফ্রিদি: তার ইউটিউব চ্যানেলের নাম হল
TAWHID AFRIDI
সাবস্ক্রাইব সংখ্যাঃ 309k+
মাসিক আয়ঃ ৬ লাখ+

{ "slotId": "2452885053", "unitType": "in-article" }

সৈয়দ গোলাম তানভীর লনিঃ তার ইউটিউব চ্যানেল হল
Lony’s Works
সাবস্ক্রাইব সংখ্যাঃ সাবস্ক্রাইব সংখ্যা hide করা, তবে 200k+ এর বেশি নিশ্চিত
মাসিক আয়ঃ ২ লাখ+

রায়হান আহমেদঃ
Bangla Tech
সাবস্ক্রাইব সংখ্যাঃ 234k+
মাসিক আয়ঃ ২.৫ লাখ+

উম্মি সেলিমঃ
Cooking Studio by Umme
সাবস্ক্রাইব সংখ্যাঃ 302k+
মাসিক আয়ঃ ১০ লাখ+

{ "slotId": "2452885053", "unitType": "in-article" }

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *