জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দিচ্ছে ইয়ুথ কার্নিভাল
উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমাতে কে না চায়? উন্নত মানের শিক্ষা, চাকুরির সুবিধাসহ অন্যান্য রকমফের সুবিধা তো আছেই! তবে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলোকে বিবেচনায় রাখে। কিন্তু সেন্ট্রাল ইউরোপের দেশ জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা যেমন বেশ গুণগত মান্সম্পন্ন তেমনি সেখানকার বেকারত্বের হারও প্রায় নেই বললেই চলে, অর্থাৎ ৩.৫ শতাংশ (ফেব্রুয়ারি ২০১৮)। এমনই সমৃদ্ধশালী একটি দেশে উচশিক্ষার জন্য ইয়ুথ কার্নিভাল কর্তৃপক্ষ সহযোগিতায় পাশ আছে শিক্ষার্থীদের। আজ কথা হবে সেই বিষয় নিয়েই।
উচ্চশিক্ষার জন্য কেন জার্মানিতে যাবেন-
জার্মানি হলো প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিষয়ের উপযুক্ত ক্ষেত্র। তাছাড়া ইউরোপের অন্য যেকোন দেশের চাইতে জার্মানির লোকেরা বেশ অমায়িক। বর্তমান সময় থেকে শুরু করে পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে ১০ মিলিয়ন মানুষকে কাজের সুযোগ করে দিবে। অন্যদিকে তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও দারুণ। নানান ক্ষেত্র থেকে আসা মানুষের জন্যও একই ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও ব্যবসায়িক কাজের জন্য জার্মানিকে যথাযথ জায়গা হিসেবে বিবেচনা করলে ভুল হবে না।
ভর্তি সংক্রান্ত কাজের জন্য যা যা প্রয়োজন-
বাংলাদেশের খ্যাতনামা যেকোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করতে হবে। আর জার্মানির কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তির জন্য পরীক্ষার্থীকে ভাষার ক্ষেত্রে B-1 পর্যায় সম্পন্ন করতে হবে। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর এই দুটি ক্ষেত্রের জন্যই পূর্ববর্তী শিক্ষা কার্যক্রমের (এস.এস.সি, এইচ.এস.সি, স্নাতক) সনদ ও মার্কশিট দেখাতে হবে। ভিসা ইন্টার্ভিউয়ের জন্য প্রার্থীকে আইইএলটিএস (ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম) পরীক্ষায় ৬.০ পেতে হবে। এছাড়াও থাকতে হবে বৈধ জন্ম সনদ এবং পাসপোর্ট। পাসপোর্টের ক্ষেত্রে নূন্যতম বারো মাসের বৈধতা থাকতে হবে। এর সাথে দিতে হবে একটি motivation letter এবং একটি টেবুলার ফরমেট সিভি বাবায়োডাটা । আর জার্মানিতে ভর্তি সংক্রান্ত ব্যাপারে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দুটি পত্র বা কাগজ ছাড়া জার্মানিতে ভর্তির বিষয়টি সত্যিকার অর্থেই অসম্ভব।
ভিসা ইন্টার্ভিউয়ের জন্য প্রস্তুতি-
পূর্বের সব অভিজ্ঞতায় আমরা যা দেখেছি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈধ ভর্তি থাকা সত্ত্বেও মানসম্মত ইন্টার্ভিউ না দেয়ার কারণে ভিসা প্রত্যাখ্যান বা বাতিল হয়ে যায়। তাই ভিসা ইন্টার্ভিউটা ভালোভাবে দেয়া খুব জরুরী। মনে রাখতে হবে যে, ভিসা ইন্টার্ভিউতে করা প্রশ্ন অনুযায়ী যথাযথ উত্তর দিতে না পারলে ভিসা হওয়া সম্ভব না। তবে এখন আনার চিন্তার কোন কারণ নেই। আমাদের ইয়ুথ কার্নিভাল কর্তৃপক্ষ আপনার মানসম্মত ইন্টার্ভিউয়ের বিষয়টিতে আপনাকে সহযোগিতা করবে। আপনি ভর্তি সম্পর্কিত কাগজপত্র পাওয়ার পর আমাদের জার্মানির ইয়ুথ কার্নিভাল কর্তৃপক্ষ টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে আপনাকে ভিসা ইন্টার্ভিউয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে সহযোগিতা করবে।
কেন ইয়ুথ কার্নিভাল?-
সাধারণত খুব ভালো একটি অনুপ্রেরণামূলক আবেদনপত্র ছাড়া ভর্তি হওয়াটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিজিপিএ যতোই ভালো হোক ন কেন, মোটিভেশন লেটার যদি ভালো না হয় তাহলে ভর্তি হওয়াটা কঠিন। এই মোটিভেশন লেটার প্রস্তুত করতে আমাদের ইয়ুথ কার্নিভাল কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য প্রার্থীদেরকে সাহায্য করবেন। এছাড়াও সুপারিশ পত্রে সাহায্যের জন্যও তারা প্রার্থীদের পাশে থাকবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য যাবতীয় যেসন কাগজপত্র দরকার, তার প্রক্রিয়াতেও সহায়তা করবে ইয়ুথ কার্নিভাল কর্তৃপক্ষ। খুব ভালো সিজিপিএ ছাড়া জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হওয়াটা কঠিন বিষয়। তবে যাদের সিজিপিএ খুব ভালো নেই তাদের ভর্তি প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা করে দিবে ইয়ুথ কার্নিভাল কর্তৃপক্ষ। উচ্চশিক্ষার জন্য যে প্রার্থীরা জার্মানি যেতে চাচ্ছেন তাদের অনলাইনএর বিষয়গুলোতেও আমাদের কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করবে। এছাড়া ভিসা হয়ে যাওয়ার পর এয়ার টিকিটও সহজে পাওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে আমাদের কর্তৃপক্ষ।
জার্মানিতে যাওয়ার পর পার্টটাইম চাকুরি পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য। তবে আমাদের ইয়ুথ কার্নিভাল কর্তৃপক্ষ প্রার্থীদের পার্টটাইম চাকুরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে। এছাড়াও তারা প্রার্থীদের শহর নিবন্ধন করার বিষয়টির দিকেও দৃষ্টিপাত অরবে। খেয়াল রাখতে হবে যে, শহর নিবন্ধন করা ছাড়া জার্মানিতে কোন রকম পার্টটাইম চাকুরি করা সম্ভব না। সাধারণত একজন শিক্ষার্থীর সেখানে থাকা খাওয়ার জন্য ৫০০ ইউরো প্রয়োজন। তবে শহরভেদে এই অর্থের পরিমাণের তারতম্য হতে পারে। সাধ্যের মধ্যে থাকার জায়গার ব্যবস্থা করে দেয়ার বিষয়ে সহযোগিতা করবে ইয়ুথ কার্নিভাল কর্তৃপক্ষ। আর উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর ফুলটাইম চাকরির জন্য উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন ক্ষেত্র সম্পর্কেও জানিয়ে দিবে তারা।
জার্মানিতে আসার পর সহযোগিতা-
- শহর নিবন্ধনের সহায়তা।
- ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে সাহায্য করবে।
- শিক্ষার্থীর থাকার ব্যবস্থা করতেও এগিয়ে আসবে ইয়ুথ কার্নিভাল কর্তৃপক্ষ।
- এয়ারপোর্ট থেকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও করবে তারা।
- যাতায়াত সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে পাবেন আমাদের কর্তৃপক্ষের সহায়তা।
- উপযুক্ত পার্টটাইম চাকুরি পেতেও সহায়ক ভূমিকা পাওন করা হবে।
- কোন ধরনের বাৎসরিক ফি ছাড়াই ক্রেডিট কার্ড পেতেও আমাদের সহায়তা পাবেন।
আবেদনের সময়সীমা-
- উইন্টার সেমিস্টারের কোর্স শুরু হওয়ার সময় (সাধারণত অক্টোবরের দিকে)
- আবেদনের সময়সীমা: (সাধারণত মে মাসের শেষের দিক থেকে ১৫ই জুলাই পর্যন্ত)
- লেটার অব অ্যাক্সেপ্টেন্স বা অফার লেটার অগাস্ট বা সেপ্টেম্বর মাসে পাঠানো হয়।
- প্রত্যাখ্যানের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয় সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসে।
- সামার সেমিস্টারের কোর্স শুরু হওয়ার সময় (মার্চ বা এপ্রিল মাসে)
- আবেদনের সময়সীমা: (ডিসেম্বরের শুরু থেকে ১৫ই জানুয়ারি পর্যন্ত)
- লেটার অব অ্যাক্সেপ্টেন্স বা অফার লেটার ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসে পাঠানো হয়।
- প্রত্যাখ্যানের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয় মার্চ বা এপ্রিল মাসে।
CONTACT INFORMATION:
phone:+4915758930639