ডিজিটাল মার্কেটিং – ১

সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ডিজিটাল মার্কেটিং হল ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে পণ্য বা ব্র্যান্ডের প্রচারকে বোঝায়। ডিজিটাল মার্কেটিং সনাতন মার্কেটিং থেকে ভিন্ন কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং একটি প্রতিষ্ঠানকে রিয়েল টাইমে চ্যানেল ও বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে বিপণন প্রচারাভিযানের বিশ্লেষণ করতে এবং তা কাজ করছে কি করছে না তা বুঝতে সক্ষম করে।

ডিজিটাল বিপণন-কারীরা নিরীক্ষণ করে দেখে কি দেখা হচ্ছে, কতক্ষণ দেখা হচ্ছে, বিক্রয়ের পরিবর্তন, কোন বিষয়বস্তুগুলো কাজ করে এবং কোনগুলো করে না। ইন্টারনেট ডিজিটাল মার্কেটিং এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। এছাড়া অন্যান্য মাধ্যমগুলো যেমন: তারবিহীন টেক্সট মেসেজিং , মোবাইল ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং , মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড , ডিজিটাল টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেল ইত্যাদিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

কেন ডিজিটাল মার্কেটিং গুরুত্বপূর্ণ

ডিজিটাল মিডিয়া এমনভাবে বিস্তৃত যা ভোক্তাদের যে কোন সময় এবং যে কোন স্থানে তথ্য অ্যাক্সেস করতে সাহায্য করে। ডিজিটাল মিডিয়া বিনোদন,খবর ,কেনাকাটা এবং সামাজিক ইন্টার‍্যাকশনের একটি বর্ধমান উৎস। ভোক্তারা শুধু আপনার কোম্পানি আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে কি বলছে তার উপর নির্ভর করে না, এছাড়াও তারা মিডিয়া,বন্ধু,আত্মীয়,সহকর্মীদের উপরও নির্ভর করে। আর তারা আপনার চেয়ে তাদেরকেই বেশি বিশ্বাস করে। মানুষ বিশ্বাসযোগ্য ব্র্যান্ড চায়, এমন কোম্পানি চায় যা তাদের সাথে ব্যক্তিগত এবং প্রাসঙ্গিক যোগাযোগ রাখবে এবং তাদের চাহিদা এবং পছন্দ মতন অফার দেবে।

সব উপায়ে ক্রেতার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা

ডিজিটাল মার্কেটিং এবং তার সাথে যুক্ত সব চ্যানেলই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু অন্যগুলোও গুরুত্বহীন নয়। আপনি আপনার গ্রাহকদের চেনেন এটাই যথেষ্ট নয়। আপনাকে তাদের সম্পর্কে অন্য সবার থেকে ভাল জানতে হবে। তাহলে তারা কোথায়, কখন এবং কিভাবে আপনার বার্তা ধারণক্ষম হবে তা বুঝে যোগাযোগ করতে পারবেন। এজন্য আপনার সব চ্যানেল জুড়ে গ্রাহকের পছন্দ এবং প্রত্যাশার একটি একত্রীকৃত প্রতিচ্ছবি থাকা প্রয়োজন। বিপণন-কারীরা এসব তথ্য ব্যবহার করে সামঞ্জস্যতা তৈরি করে। গ্রাহকদের সমন্বিত অভিজ্ঞতা তাদের ক্রয়ের দিকে ধাবিত করে। ক্রেতার আচরণ এবং পছন্দের দিকে আপনার গভীর অন্তর্দৃষ্টি আপনাকে তাদেরকে লাভজনক কথাবার্তায় ব্যস্ত রাখতে সাহায্য করবে।

ডিজিটাল বিপণন-কারীরা যেসকল চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন:

ডিজিটাল চ্যানেল বিস্তার

ভোক্তারা একাধিক ডিজিটাল চ্যানেল এবং বিভিন্ন ডিভাইস ব্যবহার করে যা বিভিন্ন প্রোটোকল এবং ইন্টারফেস ব্যবহার করে। তারা বিভিন্ন উপায়ে এবং বিভিন্ন কাজের জন্য ঐ ডিভাইসগুলো ব্যবহার করে।

তীব্র প্রতিযোগিতা

ডিজিটাল চ্যানেলগুলি সনাতন মিডিয়ার চেয়ে তুলনামূলক ভাবে সস্তা এবং এটা সবধরনের ব্যবসার নাগালের মধ্যে। ফলস্বরূপ ভোক্তাদের মনোযোগ ধরে রাখা অনেক কঠিন হয়ে উঠছে।

তথ্য ব্যাপকতা

ভোক্তারা ডিজিটাল চ্যানেলে অনেক তথ্য পিছনে ফেলে যায়। এ তথ্যগুলো নিয়ন্ত্রণ করা এবং সঠিক তথ্য খুঁজে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত কাজ।

ডিজিটাল মার্কেটিং এ সফলতার তিন চাবি

১। বিভিন্ন চ্যানেল জুড়ে সনাতন ও ডিজিটাল উভয় ভাবেই গ্রাহক সম্পর্ক বজায় রাখুন।

২। গ্রাহকদের কথায় সাড়া দিন এবং সম্পর্ক বজায় রাখুন।

৩। অনেক তথ্য থেকে মূল্যবানগুলো খুঁজে বের করুন যা আপনাকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।

Courtesy: sas

One Comment

Leave a Reply

One Ping

  1. Pingback:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *