নোবেল বিড়ম্বনা

২০১১ সালের কথা। সেই বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী তিনজনের একজন ছিলেন ব্রায়ান পল স্মিট। মহাবিশ্ব সম্প্রসারণের গতি যে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এটি প্রমাণের জন্যই তারা পুরষ্কারটি পান।

স্মিটের দাদী থাকতেন নর্থ ডাকোটার ফার্গোতে। নাতির এতবড় পুরষ্কার জেতায় তিনি বেজায় খুশি হলেন। তাই নাতির পুরষ্কারটি স্বচক্ষে দেখতে চাইলেন তিনি। নাতিও এক কথাতেই রাজি হয়ে গেলেন, নোবেল নিয়ে উড়ে গেলেন ফার্গোতে। তবে ফার্গো থেকে আসার সময় বিমানবন্দরে ঘটলো বিপত্তি।

নোবেল পুরষ্কারটি রাখা ছিলো তার ল্যাপটপের ব্যাগে। বিমানবন্দরে চেকিংয়ের জন্য এটি এক্সরে মেশিনে রাখা হলো। ঝামেলাটা বাধলো তখনই। মেডেলটি সোনা দিয়ে বানানো থাকায় এটি এক্সরে শোষণ করে নিলো। ফলে ব্যাগের ভেতরের অন্যান্য জিনিস সাদা দেখালেও এটি দেখাচ্ছিলো কালো। আর এতেই সন্দেহ দেখা দেয় দায়িত্বরত কর্মীদের মনে। এরপর তাদের মাঝে কথোপকথনটি ছিলো বেশ মজার।

= স্যার, আপনার ব্যাগে কিছু আছে।

== হ্যাঁ, এটা এই বক্সেই আছে।

= এই বক্সে কী আছে?

== একটা বড় সোনার মেডেল।

= (এবার তারা বক্স খুললো) এটা কী দিয়ে বানানো?

== সোনা।

= এটা আপনাকে কে দিয়েছে?

== সুইডেনের রাজা!

= তিনি কেন এটা আপনাকে দিলেন?

== কারণ মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের হার যে বৃদ্ধি পাচ্ছে এটা আমি আবিষ্কার করতে সাহায্য করেছি।

এবার সিকিউরিটির লোকগুলো যেন ধৈর্য হারিয়ে ফেললো। যতই স্মিট তাদের বোঝাতেচান যে, এটা একটা নোবেল প্রাইজ ততই তারা জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনি কেন ফার্গোতে এসেছিলেন?’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে এমার্জিং গ্লোবাল লিডার স্কলারশিপ

car2

ডেডলাইনঃ ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৫।

স্থানঃ USA.

যাদের জন্যঃ আমেরিকান ইউনিভার্সিটি, ওয়াশিংটন ডিসিতে ভর্তি ইচ্ছুক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য।

প্রতি বছর আমেরিকান ইউনিভার্সিটি, ওয়াশিংটন সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীদের জন্য এমার্জিং গ্লোবাল লিডার স্কলারশিপ (AU EGL scholarship) প্রদান করে থাকে। এই বৃত্তির আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ধরণের টিউশন ফি, থাকা, খাওয়ার খরচ প্রদান করা হয়ে থাকে। এর জন্য F-1 কিংবা J-1 ভিসার জন্য আবেদন করা লাগে। স্নাতকে ভর্তি হওয়ার পর প্রতি বছরই এই বৃত্তির সুবিধা নেয়া যাবে তবে সেটা নির্ভর করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পারফর্মেন্সের উপর।

যোগ্যতাঃ

অ্যামেরিকার নাগরিক, কিংবা আমেরিকাসহ অন্য যেকোনো দেশের দ্বৈত নাগরিক হলে এই বৃত্তির জন্য আবেদন করা যাবে না। প্রতিযোগিকে অবশ্যই উচ্চ মাধ্যমিক লেভেলের শিক্ষার্থী হতে হবে। ইতিমধ্যে অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে থাকলে আবেদনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে, অর্থাৎ শিক্ষার্থীকে অবশ্যই নিয়মিত হতে হবে।

আসন্ন Fall 2016 (August) সেশনের জন্য আবেদন করতে হবে। সেই সব প্রতিযোগিকে প্রাধান্য দেয়া হবে যারা ইতিমধ্যে দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। তবে ন্যূনতম যেসব যোগ্যতা লাগবে –

  • নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত GPA কমপক্ষে 3.8 থাকতে হবে (অথবা ক্লাসের সেরা ১০ শতাংশের মধ্যে থাকতে হবে)।
  • লিডারশিপ, ভলান্টারিজম, কম্যুনিটি সার্ভিস এসবের প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে হবে।
  • মৌখিক ও লিখিত ইংরেজিতে চমৎকার দক্ষতা থাকতে হবে। কমপক্ষে 95 TOEFL iBT, 7.0 IELTS or 600 paper-based TOEFL।

বৃত্তির মূল্যঃ 

এই বৃত্তির আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় টিউশন ফি, থাকা, খাওয়া ইত্যাদির খরচ বহন করা হলেও হেলথ ইন্স্যুরেন্স, বইপত্র, বিমান ভাড়া ইত্যাদি শিক্ষার্থীকে নিজেই বহন করতে হবে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীকে প্রায় ৪,০০০ ইউএস ডলার খরচ করা লাগতে পারে।

আবেদন প্রক্রিয়াঃ 

আবেদনপত্র অনলাইনে জমা দিতে হবে। কেউ যদি EducationUSA এর মাধ্যমে আবেদন করে থাকে তাহলে এই প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীর যোগ্যতার লেটার জমা দিতে হবে।

এপ্লিকেশন ফর্মঃ লিংক

অফিশিয়াল ওয়েবসাইটঃ লিংক